চৌধুরী, দেওয়ান তৈমুর রাজা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৮ নং লাইন: ৮ নং লাইন:
তৈমুর রাজা ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৯-১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তৈমুর রাজা চৌধুরী শেষ বয়সে এসে মরমী কবিতা ও গান রচনায় হাত দেন। তাঁর কয়েকটি গান প্রকাশিত হয়েছে। মৃত্যুর কিছুদিন আগে তিনি ইসলামী ব্যাংক সিলেট শাখায় দেওয়ান তৈমুর রাজা ট্রাস্ট গঠন করেন। এই ট্রাস্ট  ফান্ড থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেয়া হয়ে থাকে।
তৈমুর রাজা ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৯-১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তৈমুর রাজা চৌধুরী শেষ বয়সে এসে মরমী কবিতা ও গান রচনায় হাত দেন। তাঁর কয়েকটি গান প্রকাশিত হয়েছে। মৃত্যুর কিছুদিন আগে তিনি ইসলামী ব্যাংক সিলেট শাখায় দেওয়ান তৈমুর রাজা ট্রাস্ট গঠন করেন। এই ট্রাস্ট  ফান্ড থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেয়া হয়ে থাকে।


১৯৯৭ সালের  ১৪ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।
১৯৯৭ সালের  ১৪ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। [দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী]
 
[দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী]


[[en:Chowdhury, Dewan Taimur Raja]]
[[en:Chowdhury, Dewan Taimur Raja]]

০৭:১৩, ২৩ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

চৌধুরী, দেওয়ান তৈমুর রাজা (১৯১৭-১৯৯৭)  রাজনীতিক। সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার রামপাশা গ্রামে ১৯১৭ সালের ৫ নভেম্বর তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা ছিলেন খানবাহাদুর দেওয়ান একলিমুর রাজা এবং মাতা মেহেরজান বানু। মরমী কবি দেওয়ান হাসন রাজা ছিলেন তাঁর পিতামহ।

তৈমুর রাজা চৌধুরী রাজাগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, রসময় হাইস্কুল ও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। তিনি সরকারি মুরারিচাঁদ কলেজের ছাত্র ছিলেন। ছাত্র জীবনেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি ছিলেন আসাম প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সম্পাদক।

দেওয়ান তৈমুর রাজা ১৯৪৩ সাল থেকে পরবর্তী তিন বছর সিলেটে অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তিনি ১৯৪৫ সালে সিলেট লোকাল বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং পরে লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান হন। তিনি ১৯৪৬ সালে আসাম প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। সিলেটের রেফারেন্ডামে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আসামের লাইন প্রথার বিরুদ্ধে তিনি সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কিছুকাল তিনি আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য, দলের পার্লামেন্টারি কমিটির সদস্য এবং সিলেট জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি ছিলেন।

তৈমুর রাজা ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৯-১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তৈমুর রাজা চৌধুরী শেষ বয়সে এসে মরমী কবিতা ও গান রচনায় হাত দেন। তাঁর কয়েকটি গান প্রকাশিত হয়েছে। মৃত্যুর কিছুদিন আগে তিনি ইসলামী ব্যাংক সিলেট শাখায় দেওয়ান তৈমুর রাজা ট্রাস্ট গঠন করেন। এই ট্রাস্ট  ফান্ড থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেয়া হয়ে থাকে।

১৯৯৭ সালের  ১৪ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। [দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী]