চুলকানি

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২০:৪৪, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)

চুলকানি (Scabies)  অতীব ছোঁয়াচে চর্মরোগ। এ রোগের কারণ ক্ষুদ্র এক ধরনের মাইট, Sarcoptes scabiei hominis-  এর সংক্রমণ।

খোস-পাঁচড়া সমস্ত পৃথিবীতেই দেখতে পাওয়া যায় এবং বাংলাদেশে সব বয়সের এবং সব ধরনের মানুষের মধ্যে এ চর্মরোগ খুব বেশি হতে দেখা যায়। একজনের শরীরের স্পর্শ থেকে অন্যজনে সরাসরি এটি সংক্রমিত হয়। কাপড়-চোপড় এবং বিছানাপত্র থেকে এ রোগ সংক্রমিত হতে খুব কম দেখা যায়। কোনো কোনো সময় গোটা পরিবার এ রোগে আক্রান্ত হয়। খোস-পাঁচড়া সৃষ্টিকারী মাইট চামড়ায় গর্ত করে সেখানে ডিম পাড়ে। এ অবস্থায় ডিমপাড়া ওই  জায়গাগুলিতে বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত সুড়ঙ্গ তৈরি হয় যা দেখতে লাগে অনেকটা পেনসিলের দাগের মতো। ডিম থেকে পূর্ণাবস্থা মাইট হতে সময় লাগে একুশ দিন। চুলকানিজনিত ফুসকুড়ি হচ্ছে মাকড়ের বিরুদ্ধে শরীরের এক ধরনের অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া। শিশুদের ত্বকে মাইট খুব বেশি আক্রমণ করে। এর ফলে শিশুদের দেহে সর্বত্র ফুসকুড়ি এবং হাত ও পায়ের তালুতে ফোস্কার সৃষ্টি হয়। ছোট ছেলেমেয়েদের মাথা, ঘাড়, গলা, হাত ও পায়ের তালু আক্রান্ত হয়। একটু বেশি বয়সী বাচ্চাদের হাত, কব্জি এবং পেটে এ চর্মরোগের আক্রমণ হতে দেখা যায়।

এই রোগের লক্ষণসমূহ হচ্ছে চুলকানি, বিশেষ করে রাতের বেলায়; ত্বকের উপর হাল্কা পেনসিলের মতো দাগ এবং ফুসকুড়ি। খোস-পাঁচড়া বা চুলকানি বিরক্তিকর হলেও তা মারাত্মক কোনো রোগ নয়। তবে অত্যধিক চুলকানোর ফলে আনুষঙ্গিক সংক্রমণ হতে পারে।  [মোঃ শহীদুল্লাহ]