চিহিল গাজী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''চিহিল গাজী''' (ফার্সি>‘চিহিল’ চল্লিশ, ‘গাজী’  ধর্মযুদ্ধে বিজয়ী)  ধর্মযুদ্ধজয়ী চল্লিশজন মুসলমান সাধক। তবে কোন যুদ্ধে এ চল্লিশজন মুসলমান গাজী হন, তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। জনশ্রুতি আছে, তাঁরা  [[ইসলাম|ইসলাম]] প্রচারক সুফি সাধক ছিলেন; স্থানীয় রাজাকে যুদ্ধে পরাজিত করে ‘গাজী’ উপাধি লাভ করেছিলেন।  [[দিনাজপুর জেলা|দিনাজপুর]] জেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কি.মি উত্তরে পাকা রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে চিহিলগাজী মসজিদ এবং মসজিদ সংলগ্ন চিহিল গাজীর মাজারে অবস্থান।
'''চিহিল গাজী''' (ফার্সি>‘চিহিল’ চল্লিশ, ‘গাজী’  ধর্মযুদ্ধে বিজয়ী)  ধর্মযুদ্ধজয়ী চল্লিশজন মুসলমান সাধক। তবে কোন যুদ্ধে এ চল্লিশজন মুসলমান গাজী হন, তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। জনশ্রুতি আছে, তাঁরা  [[ইসলাম|ইসলাম]] প্রচারক সুফি সাধক ছিলেন; স্থানীয় রাজাকে যুদ্ধে পরাজিত করে ‘গাজী’ উপাধি লাভ করেছিলেন।  [[দিনাজপুর জেলা|দিনাজপুর]] জেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কি.মি উত্তরে পাকা রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে চিহিলগাজী মসজিদ এবং মসজিদ সংলগ্ন চিহিল গাজীর মাজারে অবস্থান।


মসজিদের সময় নির্দেশক তিনটি শিলালিপির মধ্যে একটি দিনাজপুর জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। শিলালিপিটি রুকন্উদ্দীন বারবক শাহে্র আমলে (১৪৫৯-৭৪) উৎকীর্ণ। এ শিলালিপি থেকে জানা যায়, ৮৬৫ হিজরির ১৬ সফর (১৪৬০ খ্রি. ১ ডিসেম্বর) ওয়াজির ইকরার খান মসজিদটি নির্মাণ করার আদেশ দেন এবং জোড় (পুর্ণিয়া) এবং বারুর (দিনাজপুর) পরগণার ফৌজদার এবং জংদার উলুঘ নুসরত খান চিহিল গাজীর মসজিদটি নির্মাণ করেন। শিলালিপিতে চিহিল গাজীর রওজা মেরামতের কথার উল্লেখ রয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, মাজারটি আগেই উক্ত স্থানে ছিল। চিহিল গাজীর দলনেতা ছিলেন জয়নুদ্দীন বাগদাদী। তিনি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ইরাক থেকে বাংলাদেশে আসেন। শিলালিপির সূত্রানুসারে বলা হয় যে, চিহিল গাজী, তের-চৌদ্দ শতকের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে বাংলায় আবির্ভূত হয়েছিলেন।
মসজিদের সময় নির্দেশক তিনটি শিলালিপির মধ্যে একটি দিনাজপুর জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। শিলালিপিটি রুকন্উদ্দীন বারবক শাহে্র আমলে (১৪৫৯-৭৪) উৎকীর্ণ। এ শিলালিপি থেকে জানা যায়, ৮৬৫ হিজরির ১৬ সফর (১৪৬০ খ্রি. ১ ডিসেম্বর) ওয়াজির ইকরার খান মসজিদটি নির্মাণ করার আদেশ দেন এবং জোড় (পুর্ণিয়া) এবং বারুর (দিনাজপুর) পরগণার ফৌজদার এবং জংদার উলুঘ নুসরত খান চিহিল গাজীর মসজিদটি নির্মাণ করেন। শিলালিপিতে চিহিল গাজীর রওজা মেরামতের কথার উল্লেখ রয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, মাজারটি আগেই উক্ত স্থানে ছিল। চিহিল গাজীর দলনেতা ছিলেন জয়নুদ্দীন বাগদাদী। তিনি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ইরাক থেকে বাংলাদেশে আসেন। শিলালিপির সূত্রানুসারে বলা হয় যে, চিহিল গাজী, তের-চৌদ্দ শতকের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে বাংলায় আবির্ভূত হয়েছিলেন। [দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী]
 
[দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী]


[[en:Chihilgazi]]
[[en:Chihilgazi]]

০৯:০৫, ১৬ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

চিহিল গাজী (ফার্সি>‘চিহিল’ চল্লিশ, ‘গাজী’  ধর্মযুদ্ধে বিজয়ী)  ধর্মযুদ্ধজয়ী চল্লিশজন মুসলমান সাধক। তবে কোন যুদ্ধে এ চল্লিশজন মুসলমান গাজী হন, তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। জনশ্রুতি আছে, তাঁরা  ইসলাম প্রচারক সুফি সাধক ছিলেন; স্থানীয় রাজাকে যুদ্ধে পরাজিত করে ‘গাজী’ উপাধি লাভ করেছিলেন।  দিনাজপুর জেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কি.মি উত্তরে পাকা রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে চিহিলগাজী মসজিদ এবং মসজিদ সংলগ্ন চিহিল গাজীর মাজারে অবস্থান।

মসজিদের সময় নির্দেশক তিনটি শিলালিপির মধ্যে একটি দিনাজপুর জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। শিলালিপিটি রুকন্উদ্দীন বারবক শাহে্র আমলে (১৪৫৯-৭৪) উৎকীর্ণ। এ শিলালিপি থেকে জানা যায়, ৮৬৫ হিজরির ১৬ সফর (১৪৬০ খ্রি. ১ ডিসেম্বর) ওয়াজির ইকরার খান মসজিদটি নির্মাণ করার আদেশ দেন এবং জোড় (পুর্ণিয়া) এবং বারুর (দিনাজপুর) পরগণার ফৌজদার এবং জংদার উলুঘ নুসরত খান চিহিল গাজীর মসজিদটি নির্মাণ করেন। শিলালিপিতে চিহিল গাজীর রওজা মেরামতের কথার উল্লেখ রয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, মাজারটি আগেই উক্ত স্থানে ছিল। চিহিল গাজীর দলনেতা ছিলেন জয়নুদ্দীন বাগদাদী। তিনি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ইরাক থেকে বাংলাদেশে আসেন। শিলালিপির সূত্রানুসারে বলা হয় যে, চিহিল গাজী, তের-চৌদ্দ শতকের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে বাংলায় আবির্ভূত হয়েছিলেন। [দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী]