চিকিৎসা শিক্ষা কেন্দ্র

চিকিৎসা শিক্ষা কেন্দ্র (Centre for Medical Education/CME)  ইউএনডিপি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় ঢাকার মহাখালীতে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত। প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রকল্প হিসেবে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত স্বাস্থ্য তথ্য এবং স্বাস্থ্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়। সিএমই-এর রয়েছে বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন, ১. পেশাজীবী স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মশালা পরিচালনা করা; ২. পেশাজীবী স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য অন্যান্য সাহায্যকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা; ৩. বিভিন্ন প্রশিক্ষণ পরিচালনা, পরিকল্পনা এবং বিশ্লেষণে অন্যান্য পেশার সঙ্গে স্বাস্থ্য পেশার ব্যক্তিবর্গের একত্রে কাজ করা; ৪. স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা দিতে বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করা; ৫. স্বাস্থ্যশিক্ষা ছকের মাধ্যমে মান বজায় রেখে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদান করা; ৬. পেশাজীবী স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণে নব নব ধারার উপস্থাপন করা; ৭. প্রশিক্ষণ, শিক্ষা এবং পেশাজীবী স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি সম্পর্কিত গবেষণা করা; এবং ৮. প্রচার মাধ্যমে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও প্রচারের জন্য বিষয় বস্ত তৈরি করা।

১৯৮৫ সালের নভেম্বর থেকে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা প্রদানে বিভিন্ন নিয়মের ওপর কর্মশালা আয়োজন করে এবং এর রয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষার ওপর স্নাতকোত্তর, ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেট কোর্সের ব্যবস্থা। এ প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য শিক্ষায় স্নাতক পর্যায়ে পাঠ্যসূচির উন্নয়ন, ১৯৮৮-৮৯ শিক্ষাবর্ষে এ পাঠ্যসূচির প্রয়োগ শুরু হয়; ১৯৮৭ সালে মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের পাঠ্যসূচি পুনঃসংযোজন ও সংশোধন, আটটি মেডিক্যাল কলেজে মেডিক্যাল এডুকেশন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করাসহ ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট ফর প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন এবং তদান্তিন ইনিস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ প্রতিষ্ঠা, ১৯৮৪-৮৫ ও ১৯৮৫-৮৬ এর শিক্ষা বর্ষের এম.বি.বি.এস ১ম বর্ষ মেডিক্যাল ছাত্রছাত্রী নির্বাচন করে তাদের স্বাস্থ্য পেশার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। এর কার্যক্রমে আরও রয়েছে চিকিৎসা শিক্ষার বিভিন্ন অনুষদে কারিগরি সহায়তা প্রদান। পরিচালক প্রতিষ্ঠানের প্রধান। এ ছাড়া ১০ জন প্রাতিষ্ঠানিক সদস্য রয়েছেন। প্রায় ৯০ জন স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ বা প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট অনুষদের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। চিকিৎসা শিক্ষা কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ ইকোনমিক্স এবং ইউনিসেফ ছাড়াও বিভিন্ন অনুষদকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে।  [এম মাজাহারুল হক]