চট্টল ধর্মমন্ডলী সভা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''চট্টল ধর্মমন্ডলী সভা'''  পূর্ববঙ্গে  [[সংস্কৃত|সংস্কৃত]] চর্চা ও সনাতন ধর্মের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ শতকের প্রথম দশকে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত একটি শিক্ষামূলক ও ধর্মীয় সংগঠন। চট্টগ্রাম সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ  [[রজনীকান্ত সাহিত্যাচার্য|রজনীকান্ত সাহিত্যাচার্য]] (১৮৬৯-১৯২৯) ছিলেন এ সভার অন্যতম উদ্যোক্তা এবং সম্পাদক। চট্টগ্রামসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি জেলার টোল ও চতুষ্পাঠীসমূহের অধ্যাপকবৃন্দ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কবি  [[সেন, নবীনচন্দ্র|নবীনচন্দ্র সেন]] ছিলেন সভার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। নবীনচন্দ্রের মৃত্যুতে সভার সদস্যবৃন্দ শোকসভায় মিলিত হয়ে তাঁর সম্মানে সংস্কৃত ভাষায় একখানা কাব্য রচনা করার প্রস্তাব গ্রহণ করেন। উক্ত প্রস্তাব অনুযায়ী চট্টলাবিলাপ নামক কাব্য রচনা করেন রজনীকান্ত সাহিত্যাচার্য, যা ১৯০৯ সালে সভা কর্তৃক প্রকাশিত হয়।
'''চট্টল ধর্মমন্ডলী সভা'''  পূর্ববঙ্গে  [[সংস্কৃত|সংস্কৃত]] চর্চা ও সনাতন ধর্মের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ শতকের প্রথম দশকে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত একটি শিক্ষামূলক ও ধর্মীয় সংগঠন। চট্টগ্রাম সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ  [[রজনীকান্ত সাহিত্যাচার্য|রজনীকান্ত সাহিত্যাচার্য]] (১৮৬৯-১৯২৯) ছিলেন এ সভার অন্যতম উদ্যোক্তা এবং সম্পাদক। চট্টগ্রামসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি জেলার টোল ও চতুষ্পাঠীসমূহের অধ্যাপকবৃন্দ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কবি  [[সেন, নবীনচন্দ্র|নবীনচন্দ্র সেন]] ছিলেন সভার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। নবীনচন্দ্রের মৃত্যুতে সভার সদস্যবৃন্দ শোকসভায় মিলিত হয়ে তাঁর সম্মানে সংস্কৃত ভাষায় একখানা কাব্য রচনা করার প্রস্তাব গ্রহণ করেন। উক্ত প্রস্তাব অনুযায়ী চট্টলাবিলাপ নামক কাব্য রচনা করেন রজনীকান্ত সাহিত্যাচার্য, যা ১৯০৯ সালে সভা কর্তৃক প্রকাশিত হয়।


এই সভার মাধ্যমে  [[চট্টগ্রাম জেলা|চট্টগ্রাম]] অঞ্চলে সংস্কৃত চর্চার ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। এখান থেকে সংস্কৃত বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের উপাধি প্রদান করা হতো। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর সংস্কৃত পন্ডিতদের ব্যাপক দেশত্যাগের ফলে উক্ত সভার বিলুপ্তি ঘটে।
এই সভার মাধ্যমে  [[চট্টগ্রাম জেলা|চট্টগ্রাম]] অঞ্চলে সংস্কৃত চর্চার ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। এখান থেকে সংস্কৃত বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের উপাধি প্রদান করা হতো। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর সংস্কৃত পন্ডিতদের ব্যাপক দেশত্যাগের ফলে উক্ত সভার বিলুপ্তি ঘটে। [রবীন্দ্রনাথ সরকার]
 
[রবীন্দ্রনাথ সরকার]


[[en:Chattal Dharmamandali Sabha]]
[[en:Chattal Dharmamandali Sabha]]

০৮:৩৬, ১২ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

চট্টল ধর্মমন্ডলী সভা  পূর্ববঙ্গে  সংস্কৃত চর্চা ও সনাতন ধর্মের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ শতকের প্রথম দশকে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত একটি শিক্ষামূলক ও ধর্মীয় সংগঠন। চট্টগ্রাম সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ  রজনীকান্ত সাহিত্যাচার্য (১৮৬৯-১৯২৯) ছিলেন এ সভার অন্যতম উদ্যোক্তা এবং সম্পাদক। চট্টগ্রামসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি জেলার টোল ও চতুষ্পাঠীসমূহের অধ্যাপকবৃন্দ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কবি  নবীনচন্দ্র সেন ছিলেন সভার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। নবীনচন্দ্রের মৃত্যুতে সভার সদস্যবৃন্দ শোকসভায় মিলিত হয়ে তাঁর সম্মানে সংস্কৃত ভাষায় একখানা কাব্য রচনা করার প্রস্তাব গ্রহণ করেন। উক্ত প্রস্তাব অনুযায়ী চট্টলাবিলাপ নামক কাব্য রচনা করেন রজনীকান্ত সাহিত্যাচার্য, যা ১৯০৯ সালে সভা কর্তৃক প্রকাশিত হয়।

এই সভার মাধ্যমে  চট্টগ্রাম অঞ্চলে সংস্কৃত চর্চার ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। এখান থেকে সংস্কৃত বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের উপাধি প্রদান করা হতো। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর সংস্কৃত পন্ডিতদের ব্যাপক দেশত্যাগের ফলে উক্ত সভার বিলুপ্তি ঘটে। [রবীন্দ্রনাথ সরকার]