গ্রে, স্যার উইলিয়ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৮ নং লাইন: ৮ নং লাইন:
১৮৬৮ সালে গ্রে অধীনস্থ নির্বাহী পদের চাকুরিতে মনোনয়ন এং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার যৌথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি অধীনস্থ নির্বাহী পদ বৃদ্ধি করেন। প্রদেশের স্বাস্থ্য সেবার উন্নতি কল্পে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় বাংলায় সচিবের একটি অতিরিক্ত পদ প্রবর্তিত হয়। ইতিপূর্বে সমগ্র বাংলার সেক্রেটারিয়েট ব্যবস্থাপনার জন্য বঙ্গীয় সরকারের ছিল মাত্র একজন সচিব।
১৮৬৮ সালে গ্রে অধীনস্থ নির্বাহী পদের চাকুরিতে মনোনয়ন এং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার যৌথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি অধীনস্থ নির্বাহী পদ বৃদ্ধি করেন। প্রদেশের স্বাস্থ্য সেবার উন্নতি কল্পে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় বাংলায় সচিবের একটি অতিরিক্ত পদ প্রবর্তিত হয়। ইতিপূর্বে সমগ্র বাংলার সেক্রেটারিয়েট ব্যবস্থাপনার জন্য বঙ্গীয় সরকারের ছিল মাত্র একজন সচিব।


পূর্ববর্তী লেফটেন্যান্ট গভর্নরদের আমলের চেয়ে গ্রে’র প্রশাসন ছিল সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্ত। ১৮৭১ সালের ১ মার্চ গ্রে চাকুরি থেকে অবসর নেন। এরপর ১৮৭৪ সাল থেকে তিন বছর তিনি জ্যামাইকার গভর্নর হিসেবে কাজ করেন। ১৮৭৮ সালের ১৫ মে তাঁর মৃত্যু হয়। [সিরাজুল ইসলাম]
পূর্ববর্তী লেফটেন্যান্ট গভর্নরদের আমলের চেয়ে গ্রে’র প্রশাসন ছিল সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্ত। ১৮৭১ সালের ১ মার্চ গ্রে চাকুরি থেকে অবসর নেন। এরপর ১৮৭৪ সাল থেকে তিন বছর তিনি জ্যামাইকার গভর্নর হিসেবে কাজ করেন। ১৮৭৮ সালের ১৫ মে তাঁর মৃত্যু হয়। [সিরাজুল ইসলাম]


[[en:Grey, Sir William]]
[[en:Grey, Sir William]]

০৯:৩৩, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

গ্রে, স্যার উইলিয়ম (১৮১৮-১৮৭৮)  বাংলার একজন বেসামরিক কর্মকর্তা ও লেফটেন্যান্ট গভর্নর (১৮৬৭-১৮৭১)। তিনি অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রেট ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী আর্ল গ্রে ছিলেন তাঁর পিতৃব্য। উইলিয়ম গ্রে প্রথম জীবনে শিক্ষা ক্ষেত্রে তেমন কোনো সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে পারেন নি। শিক্ষায় অনীহা এবং কোনো প্রকার ডিগ্রি অর্জন ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগের কারণে হতাশ হয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলেকে তাঁর জীবন গড়ে তোলার জন্য ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

১৮৪০ সালে পিতৃব্যের পৃষ্ঠপোষকতায় উইলিয়ম গ্রে বঙ্গীয় সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। এরপর থেকে তিনি একের পর এক উচ্চপদ লাভ করেন এবং শেষ পর্যন্ত বঙ্গীয় সরকারের সচিব (১৮৫৪-৫৭) ও গভর্নর জেনারেলের সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য (১৮৬২-১৮৬৭) হন। কাউন্সিলে তিনি এক অসাধারণ যোগ্য ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন অফিসার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেন। জনসাধারণের স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে গভর্নর জেনারেলকেও চ্যালেঞ্জ করার সাহস তাঁর ছিল। একজন কাউন্সিল সদস্য হিসেবে গ্রে আয়কর আরোপ এবং ডাক বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণের প্রচেষ্টাকে সফলতার সঙ্গে বাধা প্রদান করেন।

একজন অভিজাত হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক চিন্তা চেতনায় গ্রে ছিলেন উদার। গভর্নর জেনারেল লরেন্স ১৮৬৮ সালে নবপ্রতিষ্ঠিত বঙ্গীয় লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের অবলুপ্তির প্রস্তাব আনেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, প্রদেশের প্রশাসনিক উন্নয়ন সাধনে কাউন্সিল ব্যর্থ হয়েছে। বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে গ্রে গভর্নর জেনারেলের প্রস্তাবের দ্বিমুখী নীতির তীব্র সমালোচনা করেন। বঙ্গীয় লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের বিলুপ্তি তো দূরের কথা, গ্রে বরং বাংলাকে বোম্বে ও মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির ন্যায় পূর্ণ গভর্নরশাসিত প্রদেশের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব করেন। যদিও ভারতীয়দের প্রতি তাঁর উদারনীতি ইঙ্গ-ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে ক্রমাগতভাবে সমালোচিত হয়, তথাপি উদারতার জন্য দেশীয় সংবাদপত্র ও পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গের নিকট তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

১৮৬৮ সালে গ্রে অধীনস্থ নির্বাহী পদের চাকুরিতে মনোনয়ন এং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার যৌথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি অধীনস্থ নির্বাহী পদ বৃদ্ধি করেন। প্রদেশের স্বাস্থ্য সেবার উন্নতি কল্পে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় বাংলায় সচিবের একটি অতিরিক্ত পদ প্রবর্তিত হয়। ইতিপূর্বে সমগ্র বাংলার সেক্রেটারিয়েট ব্যবস্থাপনার জন্য বঙ্গীয় সরকারের ছিল মাত্র একজন সচিব।

পূর্ববর্তী লেফটেন্যান্ট গভর্নরদের আমলের চেয়ে গ্রে’র প্রশাসন ছিল সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্ত। ১৮৭১ সালের ১ মার্চ গ্রে চাকুরি থেকে অবসর নেন। এরপর ১৮৭৪ সাল থেকে তিন বছর তিনি জ্যামাইকার গভর্নর হিসেবে কাজ করেন। ১৮৭৮ সালের ১৫ মে তাঁর মৃত্যু হয়। [সিরাজুল ইসলাম]