গরীবুল্লাহ মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
(Text replacement - "\[মুয়ায্যম হুসায়ন খান\]" to "[মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]")
 
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
মসজিদের অভ্যন্তরভাগে রয়েছে তিনটি মিহরাব। এদের মূল অলঙ্করণের কিছুই অবশিষ্ট নেই এবং এর একটি এখন আলমারি হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। মসজিদের বাইরের দেয়াল আস্তর করা এবং এতে রয়েছে আয়তাকার প্যানেল নকশা। এ প্যানেলের অভ্যন্তরভাগ খাজকাটা অর্ধবৃত্তাকার খিলান শোভিত।
মসজিদের অভ্যন্তরভাগে রয়েছে তিনটি মিহরাব। এদের মূল অলঙ্করণের কিছুই অবশিষ্ট নেই এবং এর একটি এখন আলমারি হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। মসজিদের বাইরের দেয়াল আস্তর করা এবং এতে রয়েছে আয়তাকার প্যানেল নকশা। এ প্যানেলের অভ্যন্তরভাগ খাজকাটা অর্ধবৃত্তাকার খিলান শোভিত।


কয়েকবারই মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে। উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে ইটনির্মিত স্তম্ভের উপর স্থাপিত টিনশেড বারান্দা সংযোজন করে মসজিদের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এটি বর্তমানে জামে মসজিদরূপে ব্যবহূত হচ্ছে।  [মুয়ায্যম হুসায়ন খান]
কয়েকবারই মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে। উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে ইটনির্মিত স্তম্ভের উপর স্থাপিত টিনশেড বারান্দা সংযোজন করে মসজিদের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এটি বর্তমানে জামে মসজিদরূপে ব্যবহূত হচ্ছে।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]


[[en:Gharibullah Mosque]]
[[en:Gharibullah Mosque]]

১৬:০৩, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

গরীবুল্লাহ মসজিদ  নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বারি মজলিস গ্রামে অবস্থিত। মসজিদটি বারি মজলিশ জামে মসজিদ নামেও পরিচিত। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মোগরাপাড়া ক্রসিংএর প্রায় অর্ধ কিলোমিটার উত্তরে মসজিদটির অবস্থান। একটি শিলালিপি থেকে জানা যায় যে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক যাচনদার (বস্ত্র পরীক্ষক) শেখ গরীবুল্লাহ ১৭৩৯-৪০ খ্রিস্টাব্দে (১১৫২ হিজরি) মসজিদটি নির্মাণ করেন।

এক গম্বুজ বিশিষ্ট বর্গাকৃতির এ মসজিদের বহির্ভাগের চারকোণে রয়েছে চারটি সন্নিহিত বুরুজ। বুরুজগুলো ছাদ-পাঁচিল ছাড়িয়ে উর্ধ্বে প্রলম্বিত এবং এদের শীর্ষভাগ চূড়াবিশিষ্ট ক্ষুদ্র গম্বুজ শোভিত। স্কুইঞ্চের উপর ভর করা বিশাল গোলাকার গম্বুজটি একটি অষ্টকোণী ড্রামের উপর স্থাপিত, এবং এর শীর্ষভাগে রয়েছে উল্টানো পদ্মফুল ও কলস চূড়ার অলঙ্করণ। ড্রামটির চারপাশ ঘিরে ক্ষুদ্রাকৃতির স্তম্ভের উপর বসানো আছে বদ্ধ-খিলান সারি, এবং এর উপরিভাগে রয়েছে সারিবদ্ধ মারলন অলংকরণ। মসজিদের পূর্বদিকে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে রয়েছে একটি করে প্রবেশপথ। প্রবেশপথের খিলানগুলো আদিতে ছিল অর্ধবৃত্তাকার ও খাজকাটা এবং উপরিভাগ পুষ্পগুচ্ছ অলঙ্করণ শোভিত।

মসজিদের অভ্যন্তরভাগে রয়েছে তিনটি মিহরাব। এদের মূল অলঙ্করণের কিছুই অবশিষ্ট নেই এবং এর একটি এখন আলমারি হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। মসজিদের বাইরের দেয়াল আস্তর করা এবং এতে রয়েছে আয়তাকার প্যানেল নকশা। এ প্যানেলের অভ্যন্তরভাগ খাজকাটা অর্ধবৃত্তাকার খিলান শোভিত।

কয়েকবারই মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে। উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে ইটনির্মিত স্তম্ভের উপর স্থাপিত টিনশেড বারান্দা সংযোজন করে মসজিদের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এটি বর্তমানে জামে মসজিদরূপে ব্যবহূত হচ্ছে।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]