গওহর, আসাদুজ্জামান খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
আসাদুজ্জামান  [[ফারসি|ফারসি]] ও  [[উর্দু|উর্দু]] ভাষার বিশিষ্ট কবি ছিলেন। তুহফায়ে আউয়াল (১ম খন্ড, ১৯১৪) নামে তাঁর একটি ফারসি দীউয়ান কলকাতার উসমানিয়া প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। ঢাকার এশিয়াটিক সোসাইটির গ্রন্থাগারে এর একটি কপি সংরক্ষিত আছে। তিনি ভাল সঙ্গীতজ্ঞ ও সেতারবাদক ছিলেন। Indian Music: Vocal and Instrumental (১৮৯৫) শীর্ষক তাঁর একটি পুস্তিকা ব্যাপ্টিস্ট মিশন প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। এর একটি কপি লন্ডনের ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে।
আসাদুজ্জামান  [[ফারসি|ফারসি]] ও  [[উর্দু|উর্দু]] ভাষার বিশিষ্ট কবি ছিলেন। তুহফায়ে আউয়াল (১ম খন্ড, ১৯১৪) নামে তাঁর একটি ফারসি দীউয়ান কলকাতার উসমানিয়া প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। ঢাকার এশিয়াটিক সোসাইটির গ্রন্থাগারে এর একটি কপি সংরক্ষিত আছে। তিনি ভাল সঙ্গীতজ্ঞ ও সেতারবাদক ছিলেন। Indian Music: Vocal and Instrumental (১৮৯৫) শীর্ষক তাঁর একটি পুস্তিকা ব্যাপ্টিস্ট মিশন প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। এর একটি কপি লন্ডনের ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে।


আসাদুজ্জামান আবজাদ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ঘটনা ও সন-তারিখ সম্বলিত ফারসি শে’র রচনায় অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। কলকাতার কবরস্থানে তাঁর রচিত ও পাথরে খচিত এরূপ সন-তারিখযুক্ত স্মৃতিফলক এখনও পরিলক্ষিত হয়। ১৯২২ সালের ৪ এপ্রিল কলকাতায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আসাদুজ্জামান আবজাদ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ঘটনা ও সন-তারিখ সম্বলিত ফারসি শে’র রচনায় অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। কলকাতার কবরস্থানে তাঁর রচিত ও পাথরে খচিত এরূপ সন-তারিখযুক্ত স্মৃতিফলক এখনও পরিলক্ষিত হয়। ১৯২২ সালের ৪ এপ্রিল কলকাতায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। [আবু মূসা মোঃ আরিফ বিল্লাহ]
 
[আবু মূসা মোঃ আরিফ বিল্লাহ]


[[en:Gauhar, Asaduzzaman Khan]]
[[en:Gauhar, Asaduzzaman Khan]]

১০:২৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

গওহর, আসাদুজ্জামান খান (১৮৭২-১৯২২)  কবি ও সঙ্গীতজ্ঞ। তাঁর প্রকৃত নাম আসাদুজ্জামান খান। ‘গওহর’ (মণি-মুক্তা) তাঁর সাহিত্যিক নাম। ১৮৭২ সালের ১১ নভেম্বর কলকাতায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন, কিন্তু তাঁর পৈতৃক নিবাস মানিকগঞ্জে। তাঁর পিতা আদালত খান ছিলেন একজন প্রাচ্যবিদ্যাবিশারদ এবং ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের মুনশি।

আসাদুজ্জামান  কলকাতা মাদ্রাসা ও প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষালাভ করেন, কিন্তু পিতার অকাল মৃত্যুর কারণে বিএ পরীক্ষা দেওয়ার আগেই তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে। তিনি ছাত্রাবস্থায় ‘দি মির্জাপুর স্টুডেন্টস ডিবেটিং ক্লাব’ নামে একটি সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। দৈনিক স্টেটসম্যান ও ফ্রেন্ড অব ইন্ডিয়া পত্রিকায় এর কর্মকান্ডের খবর প্রকাশিত হতো। আসাদুজ্জামান কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটিতে প্রায় দশবছর রেসিডেন্ট রিসার্চ মৌলবি পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি এখানে আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দীর তত্ত্বাবধানে Printed Catalogue of Persian Manuscripts-এর সংশোধন ও সংবর্ধন করেন, যা পরে Concise Descriptive Catalogue of Persian Manuscripts নামে এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত হয়।

আসাদুজ্জামান  ফারসি ও  উর্দু ভাষার বিশিষ্ট কবি ছিলেন। তুহফায়ে আউয়াল (১ম খন্ড, ১৯১৪) নামে তাঁর একটি ফারসি দীউয়ান কলকাতার উসমানিয়া প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। ঢাকার এশিয়াটিক সোসাইটির গ্রন্থাগারে এর একটি কপি সংরক্ষিত আছে। তিনি ভাল সঙ্গীতজ্ঞ ও সেতারবাদক ছিলেন। Indian Music: Vocal and Instrumental (১৮৯৫) শীর্ষক তাঁর একটি পুস্তিকা ব্যাপ্টিস্ট মিশন প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। এর একটি কপি লন্ডনের ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে।

আসাদুজ্জামান আবজাদ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ঘটনা ও সন-তারিখ সম্বলিত ফারসি শে’র রচনায় অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। কলকাতার কবরস্থানে তাঁর রচিত ও পাথরে খচিত এরূপ সন-তারিখযুক্ত স্মৃতিফলক এখনও পরিলক্ষিত হয়। ১৯২২ সালের ৪ এপ্রিল কলকাতায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। [আবু মূসা মোঃ আরিফ বিল্লাহ]