খান, ফজলুর রহমান২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:KhanFazlurRahman2.jpg|thumb|400px|right|ফজলুর রহমান খান]]
'''খান, ফজলুর রহমান২''' (১৯৩৯-১৯৭১)  শিক্ষাবিদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী। জন্ম ১৯৩৯ সালের ২ মার্চ নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার কাজিয়াটি গ্রামে। পিতা আবদুল হেকিম খান ছিলেন স্কুল শিক্ষক। ফজলুর রহমান ১৯৫৪ সালে মোহনগঞ্জ হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫৬ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে আই.এস.সি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬০ সালে বি.এস.সি (সম্মান) এবং ১৯৬২ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।
'''খান, ফজলুর রহমান২''' (১৯৩৯-১৯৭১)  শিক্ষাবিদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী। জন্ম ১৯৩৯ সালের ২ মার্চ নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার কাজিয়াটি গ্রামে। পিতা আবদুল হেকিম খান ছিলেন স্কুল শিক্ষক। ফজলুর রহমান ১৯৫৪ সালে মোহনগঞ্জ হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫৬ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে আই.এস.সি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬০ সালে বি.এস.সি (সম্মান) এবং ১৯৬২ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।


ফজলুর রহমান ১৯৬৩ সালের ১ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে উচ্চ শিক্ষার্থে ইংল্যান্ড যান। ১৯৬৪-১৯৬৮ সালে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে A Study on the Nutrient Metabolism in Soil at High Moisture Level  বিষয়ে উচ্চতর গবেষণাকর্মে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৬৮ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। ওই বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র লেকচারার পদে উন্নীত হন।
ফজলুর রহমান ১৯৬৩ সালের ১ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে উচ্চ শিক্ষার্থে ইংল্যান্ড যান। ১৯৬৪-১৯৬৮ সালে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে A Study on the Nutrient Metabolism in Soil at High Moisture Level  বিষয়ে উচ্চতর গবেষণাকর্মে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৬৮ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। ওই বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র লেকচারার পদে উন্নীত হন।


১৯৭১ সালে ফজলুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত আবাসিক এলাকার ২৩নং ভবনে বাস করতেন। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় এলাকা আক্রমণ করে। রাত ১২টার পর পাকিস্তানি সৈন্যরা ফজলুর রহমানের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। তাঁর ভাগ্নে কাঞ্চনও সৈন্যদের গুলিতে নিহত হন। ফজলুল রহমান খান ও কাঞ্চনকে আজিমপুর গোরস্তানে দাফন করা হয়।
১৯৭১ সালে ফজলুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত আবাসিক এলাকার ২৩নং ভবনে বাস করতেন। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় এলাকা আক্রমণ করে। রাত ১২টার পর পাকিস্তানি সৈন্যরা ফজলুর রহমানের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। তাঁর ভাগ্নে কাঞ্চনও সৈন্যদের গুলিতে নিহত হন। ফজলুল রহমান খান ও কাঞ্চনকে আজিমপুর গোরস্তানে দাফন করা হয়। [আবু মো. দেলোয়ার হোসেন]
 
[আবু মো. দেলোয়ার হোসেন]
 
 
[[Image:KhanFazlurRahman2.jpg|thumb|400px|right|ফজলুর রহমান খান
]]


[[en:Khan, Fazlur Rahman2]]
[[en:Khan, Fazlur Rahman2]]

০৬:৫৯, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ফজলুর রহমান খান

খান, ফজলুর রহমান২ (১৯৩৯-১৯৭১)  শিক্ষাবিদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী। জন্ম ১৯৩৯ সালের ২ মার্চ নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার কাজিয়াটি গ্রামে। পিতা আবদুল হেকিম খান ছিলেন স্কুল শিক্ষক। ফজলুর রহমান ১৯৫৪ সালে মোহনগঞ্জ হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫৬ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে আই.এস.সি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬০ সালে বি.এস.সি (সম্মান) এবং ১৯৬২ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।

ফজলুর রহমান ১৯৬৩ সালের ১ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে উচ্চ শিক্ষার্থে ইংল্যান্ড যান। ১৯৬৪-১৯৬৮ সালে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে A Study on the Nutrient Metabolism in Soil at High Moisture Level  বিষয়ে উচ্চতর গবেষণাকর্মে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৬৮ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। ওই বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র লেকচারার পদে উন্নীত হন।

১৯৭১ সালে ফজলুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত আবাসিক এলাকার ২৩নং ভবনে বাস করতেন। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় এলাকা আক্রমণ করে। রাত ১২টার পর পাকিস্তানি সৈন্যরা ফজলুর রহমানের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। তাঁর ভাগ্নে কাঞ্চনও সৈন্যদের গুলিতে নিহত হন। ফজলুল রহমান খান ও কাঞ্চনকে আজিমপুর গোরস্তানে দাফন করা হয়। [আবু মো. দেলোয়ার হোসেন]