খরগোশ

খরগোশ (Hare)  Lagomorpha বর্গের Leporidae গোত্রের লেজবিশিষ্ট তৃণভোজী স্তন্যপায়ী প্রাণী। এ গোত্রের আরেক দল শশক (rabbit) নামে পরিচিত। শশক বাংলাদেশে নেই। খরগোশ দৌড়ের পরিবর্তে লাফিয়ে চলে। পৃথিবীতে শশক ও খরগোশের প্রজাতি সংখ্যা প্রায় ৪৪, বাংলাদেশে দু প্রজাতির খরগোশ আছে। খরগোশরা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়াতে পারে।

খরগোশ

পিঙ্গল-লেজ খরগোশ Lepus nigricollis ভারতীয় খরগোশ নামেও পরিচিত। এদের পেছনের পা সামনের পায়ের তুলনায় লম্বা, বড় বড় চোখ, কান লম্বা, লেজ খাটো। বড় কানের সুবাদে খরগোশ শত্রুদের সহজে, বিশেষত মাথা নিচু করে ঘাস খাওয়ার সময়ও শনাক্ত করতে পারে, অধিকন্তু গরমের সময় তাপমোচনের জন্য এ কানের চওড়া পৃষ্ঠভাগ বিশেষ সহায়তা যোগায়। শরীরের রং ধূসর হলুদ থেকে পিঙ্গল-বাদামি, মাঝে মাঝে কালচে অাঁচ; পা ও বুক হালকা হলুদ, দেহের অবশিষ্ট অংশ মুখ, ঘাড়, লেজের তলা সাদাটে। মাথাসহ দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৩ সেমি, লেজ লোমশ ১০ সেমি ও কান ১৩ সেমি লম্বা। পুরুষ খরগোশ স্ত্রী খরগোশের চেয়ে আকারে বড়। এরা সাধারণত নিশাচর, নিঃসঙ্গ বা ছোট ছোট দলে থাকে। স্ত্রী খরগোশ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ১-৩টি বাচ্চা প্রসব করে। আবাসস্থল ধ্বংস ও নির্বিচার শিকারের জন্য এরা বিপন্ন। শিয়াল,  বেজি ও বনবিড়াল, এমনকি কুকুরও এদের শত্রু। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং ভুটানেও খরগোশ আছে। পোশাপ্রাণী হিসেবে অনেকে খরগোশ রাখেন। [মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম]