করিম, আব্দুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''করিম, আবদুল''' (১৯২৮-২০০৭)  ইতিহাসবেত্তা, মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসের গবেষক। ধ্রুপদী আরবি ফার্সি ভাষায় দক্ষ ইতিহাস গবেষকদের মধ্যে তিনি অন্যতম। এ জ্ঞানের মাধ্যমে আবদুল করিম ইতিহাসের মূল উৎস অনুসন্ধান করেছেন যা মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। তিনি  [[মুদ্রা|মুদ্রা]] ও  [[শিলালিপি|শিলালিপি]] নিয়ে গভীর অধ্যয়ন করেন এবং মুসলিম লিপিকলা ও মুদ্রাবিদ্যা আয়ত্ত করেন। তাঁর এ গবেষণার মাধ্যমে তিনি যেমন মৌলিক অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন তেমনি মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসের নতুন নতুন গবেষণার ক্ষেত্র উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
'''করিম, আব্দুল''' (১৯২২-১৯৭৩) শিক্ষাবিদ বিজ্ঞানী। আব্দুল করিমের জন্ম ১৯২২ সালে কুমিল্লা জেলায়। হোমনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৩৯ সালে ম্যাট্রিক এবং  [[ঢাকা কলেজ|ঢাকা কলেজ]] থেকে ১৯৪২ সালে আই.এসসি পাস করেন। তিনি  [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে  [[রসায়ন|রসায়ন]] শাস্ত্রে ১৯৪৫ সালে বি.এসসি (সম্মান) এবং ১৯৪৬ সালে এম.এসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।
[[Image:KarimAbdul(ctg).jpg|thumb|400px|right|আবদুল করিম]]
আবদুল করিমের জন্ম ১৯২৮ সালের ১ জুন চট্টগ্রামে। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় নিজ গ্রামের মাদ্রাসায়। তিনি ১৯৪৪ সালে হাই মাদ্রাসা পাস করেন। পরে মাদ্রাসা শিক্ষা ছেড়ে তিনি সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি আই এ পাস করেন এবং একই বছর ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ে ভর্তি হন। ১৯৪৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে বি.(সম্মান) এবং ১৯৫০ সালে একই বিভাগ থেকে এম.ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫১ সালে তিনি উক্ত বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন।


আবদুল করিম অধ্যাপক  [[দানী, আহমদ হাসান|আহমদ হাসান দানী]]র অনুপ্রেরণায় গবেষণা কর্ম শুরু করেন। ড. দানীর তত্ত্বাবধানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে পিএইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর অভিসন্দর্ভের শিরোনাম ছিল ‘Social History of the Muslims in Bengal’ যা পরে পাকিস্তান এশিয়াটিক সোসাইটি (বর্তমানে  [[বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি|বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি]]) থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। ১৯৬০-৬১ সালে আবদুল করিম লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের School of Oriental and African Studies থেকে ‘Murshid Quli Khan and His Times’ শিরোনামে দ্বিতীয় পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এটিও পরে পাকিস্তান এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
[[Image:KarimAdbul.jpg|thumb|400px|right|আব্দুল করিম]]


অধ্যাপক আবদুল করিম ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে নতুন প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। ১৯৭৫-১৯৮১ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ এ সিনিয়র ফেলো হিসেবে যোগ দেন। এ সময়ে (১৯৮৯-১৯৯০) তিনি দুই খন্ডে বাংলায় মুগলদের ইতিহাস রচনা করেন যা পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়। অধ্যাপক আবদুল করিমের পান্ডিত্য এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের জন্য ২০০১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক অধ্যাপক ইমেরিটাস নিযুক্ত করে।
আব্দুল করিম ১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন শাস্ত্রের একজন প্রভাষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি অ্যাডিলেইড বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞান শাস্ত্রে অধ্যয়নের জন্য ইউনেস্কো ফেলোশিপের আমন্ত্রণ লাভ করেন এবং এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৫১ সালে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫১ সালে দেশে প্রত্যাবর্তন করে আব্দুল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নব প্রতিষ্ঠিত মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। এ পেশায় কর্মরত থাকাকালীন তিনি দেশের  মৃত্তিকা সম্পদের বিভিন্ন আঙ্গিক নিয়ে গবেষণাকর্ম পরিচালনা করেন এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল দেশিয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নালে প্রকাশ করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি রিডার পদে উন্নীত হন এবং ১৯৬৩ সালে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানের পদ অলঙ্কৃত করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ময়মনসিংহে অবস্থিত  [[বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়|বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়]]-এর কৃষি রসায়ন বিভাগে প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডীন এবং সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন।


অধ্যাপক আবদুল করিমের মধ্যযুগের মুদ্রাবিদ্যায় দক্ষতা ও পান্ডিত্যের জন্য Numismatic Society of India ১৯৬১ সালে তাঁকে Akbar’s Silver Medal প্রদান করে। ইতিহাস গবেষণায় তাঁর অবদানের জন্য বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি ২০০৬ সালে তাঁকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করে। তিনি [[বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি|বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি]]র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং আজীবন এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি অধ্যাপক আবদুল করিমকে ১৯৯৫ সালে ফেলোশিপ এবং ২০০৫ সালে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক প্রদান করে। অধ্যাপক আবদুল করিম এশিয়াটিক সোসাইটির প্রাথমিক পর্যায়ে এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। International Society for Religious Freedom ১৯৯৫ সালে তাঁকে শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। আবদুল করিম ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় খেতাব একুশে পদক লাভ করেন।
আব্দুল করিমের গবেষণা কর্মকান্ড মৃত্তিকা রসায়ন, পেডোলজি, কৃষি রসায়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিস্তৃত ছিল। একজন খ্যাতনামা মৃত্তিকা বিজ্ঞানী হিসেবে মৃত্তিকা গবেষণার পথ পরিক্রমায় আব্দুল করিম সিলেট বালি (Sylhet sand) থেকে উন্নতমানের কাচ তৈরীর পদ্ধতি নির্ণয়ে সফল হন। বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায়  [[জৈবগ্যাস|জৈবগ্যাস]] উৎপাদনের প্রযুক্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রে আবদুল করিম ছিলেন পথিকৃৎ। চালের তুষ থেকে ভোজ্য তেল উৎপাদনের ওপরও তিনি গবেষণাকর্ম পরিচালনা করেন। তিনি মাটির মুক্ত আয়রন অক্সাইড নির্ণয়ে নতুন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। আন্তর্জাতিক মৃত্তিকা বিজ্ঞান কংগ্রেসে তিনি বিশ্ব মৃত্তিকার একটি নতুন শ্রেণিবিন্যাস উপস্থাপন করে প্রশংসিত হন।


অধ্যাপক আবদুল করিম মধ্যযুগে বাংলার ইতিহাসে অবদানের জন্য স্মরণীয়। তিনি আরবি ও ফার্সি ভাষায় দক্ষতার কারণে মধ্যযুগের ইতিহাসের মূল উৎস অনুসন্ধান করেছেন এবং মুসলিম মুদ্রা ও লিপির পাঠ উদ্ধার ও তার ব্যাখ্যা করেছেন। মুদ্রা ও লিপির গভীর অধ্যয়ন তিনি Corpus of the Muslim Coins of Bengal এবং Corpus of the Arabic and Persian Inscription of Bengal গ্রন্থে প্রকাশ করেন। Social History তাঁর প্রথম দিকের প্রকাশিত একটি গ্রন্থ। তাঁর উল্লেখযোগ্য ইংরেজি গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-History of Bengal, Mughal Period (2 vol.); Murshid Quli Khan and His Times; Dhaka the Mughal Capital ‰es The Rohingya Muslims: Their History and Culture। বাংলা ভাষায় তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো বাংলার ইতিহাস (সুলতানী আমল)। এছাড়া History of Bengal, Mughal Period গ্রন্থের বাংলা সংস্করণ (দুই খন্ড) প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়ায় (২০০৩) অধ্যাপক আবদুল করিমের শতাধিক ভুক্তি রয়েছে। এর বাইরে তিনি বিভিন্ন সেমিনার প্রবন্ধ এবং জার্নালে নিবন্ধ লেখেন। তাঁর প্রবন্ধগুলি পরবর্তীকালের গবেষকদের নতুন নতুন চিন্তা ও প্রশ্নের জন্ম দেয়। ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই চট্টগ্রামে এই গবেষকের মৃত্যু হয়।  [আবদুল মমিন চৌধুরী]
কৃষি ও মৃত্তিকা বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আব্দুল করিমকে ১৯৮০ সালে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়। নিবেদিত প্রাণ এ মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ১৯৭৩ সালের ২২ ডিসেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। [তানজিনা খান মুন্নী]


[[en:Karim, Abdul1]]
[[en:Karim, Abdul1]]

০৬:২৩, ৩ আগস্ট ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

করিম, আব্দুল (১৯২২-১৯৭৩) শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী। আব্দুল করিমের জন্ম ১৯২২ সালে কুমিল্লা জেলায়। হোমনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৩৯ সালে ম্যাট্রিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৪২ সালে আই.এসসি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রে ১৯৪৫ সালে বি.এসসি (সম্মান) এবং ১৯৪৬ সালে এম.এসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।

আব্দুল করিম

আব্দুল করিম ১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন শাস্ত্রের একজন প্রভাষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি অ্যাডিলেইড বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞান শাস্ত্রে অধ্যয়নের জন্য ইউনেস্কো ফেলোশিপের আমন্ত্রণ লাভ করেন এবং এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৫১ সালে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫১ সালে দেশে প্রত্যাবর্তন করে আব্দুল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নব প্রতিষ্ঠিত মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। এ পেশায় কর্মরত থাকাকালীন তিনি দেশের মৃত্তিকা সম্পদের বিভিন্ন আঙ্গিক নিয়ে গবেষণাকর্ম পরিচালনা করেন এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল দেশিয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নালে প্রকাশ করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি রিডার পদে উন্নীত হন এবং ১৯৬৩ সালে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানের পদ অলঙ্কৃত করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-এর কৃষি রসায়ন বিভাগে প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডীন এবং সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন।

আব্দুল করিমের গবেষণা কর্মকান্ড মৃত্তিকা রসায়ন, পেডোলজি, কৃষি রসায়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিস্তৃত ছিল। একজন খ্যাতনামা মৃত্তিকা বিজ্ঞানী হিসেবে মৃত্তিকা গবেষণার পথ পরিক্রমায় আব্দুল করিম সিলেট বালি (Sylhet sand) থেকে উন্নতমানের কাচ তৈরীর পদ্ধতি নির্ণয়ে সফল হন। বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় জৈবগ্যাস উৎপাদনের প্রযুক্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রে আবদুল করিম ছিলেন পথিকৃৎ। চালের তুষ থেকে ভোজ্য তেল উৎপাদনের ওপরও তিনি গবেষণাকর্ম পরিচালনা করেন। তিনি মাটির মুক্ত আয়রন অক্সাইড নির্ণয়ে নতুন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। আন্তর্জাতিক মৃত্তিকা বিজ্ঞান কংগ্রেসে তিনি বিশ্ব মৃত্তিকার একটি নতুন শ্রেণিবিন্যাস উপস্থাপন করে প্রশংসিত হন।

কৃষি ও মৃত্তিকা বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আব্দুল করিমকে ১৯৮০ সালে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়। নিবেদিত প্রাণ এ মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ১৯৭৩ সালের ২২ ডিসেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। [তানজিনা খান মুন্নী]