ইউসুফ, হারুন কে.এম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

("'''ইউসুফ, হারুন কে.এম''' (১৯৪৭-২০০৯) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী এবং পুষ্টিবিদ। তিনি বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলায় ১৯৪৭ সালের ৩১শে জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। Image..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১০ নং লাইন: ১০ নং লাইন:
ইউসুফ হারুন ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক এইচপি রায় স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। এছাড়া তিনি ১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিচারপতি ইব্রাহিম মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক, ১৯৯৩ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ কর্তৃক হালিমা-শরাফুদ্দিন পুরস্কার, ২০০২ সালে নিউট্রিশন সোসাইটি অব বাংলাদেশ কর্তৃক পুষ্টি পুরস্কার, ১৯৭৩ সালে যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশন প্রদত্ত কমনওয়েলথ বৃত্তি, ১৯৮১-১৯৮৩ সাল এবং ১৯৮৫-১৯৮৬ সাল সময়কালে আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট ফাউন্ডেশন দ্বারা পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চ ফেলোশিপ প্রাপ্ত হন।  
ইউসুফ হারুন ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক এইচপি রায় স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। এছাড়া তিনি ১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিচারপতি ইব্রাহিম মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক, ১৯৯৩ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ কর্তৃক হালিমা-শরাফুদ্দিন পুরস্কার, ২০০২ সালে নিউট্রিশন সোসাইটি অব বাংলাদেশ কর্তৃক পুষ্টি পুরস্কার, ১৯৭৩ সালে যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশন প্রদত্ত কমনওয়েলথ বৃত্তি, ১৯৮১-১৯৮৩ সাল এবং ১৯৮৫-১৯৮৬ সাল সময়কালে আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট ফাউন্ডেশন দ্বারা পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চ ফেলোশিপ প্রাপ্ত হন।  


অধ্যাপক হারুনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে ৯১টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাগ্রন্থ রয়েছে। তিনি ১৯৯৯-২০০১ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক (ভাইস-চ্যান্সেলর সমতুল্য) হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এছাড়া তিনি ইতালির আইসিটিপি (ICTP)-এর ফেলো; সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইপিপিএস (IPPS)-এর ফেলো; বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো ছিলেন।  
হারুন কে.এম ইউসুফ-এর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে ৯১টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাগ্রন্থ রয়েছে। তিনি ১৯৯৯-২০০১ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক (ভাইস-চ্যান্সেলর সমতুল্য) হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এছাড়া তিনি ইতালির আইসিটিপি (ICTP)-এর ফেলো; সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইপিপিএস (IPPS)-এর ফেলো; বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো ছিলেন।  


হারুন কে.এম ইউসুফ ২০০৯ সালের ১১ই নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।  [ইয়ারুল কবীর]
হারুন কে.এম ইউসুফ ২০০৯ সালের ১১ই নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।  [ইয়ারুল কবীর]


[[en: Yusuf, Harun KM]]
[[en: Yusuf, Harun KM]]

১৭:৩৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ইউসুফ, হারুন কে.এম (১৯৪৭-২০০৯) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী এবং পুষ্টিবিদ। তিনি বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলায় ১৯৪৭ সালের ৩১শে জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।

হারুন কে.এম ইউসুফ

তিনি ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে, ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ সারে থেকে হিউমান নিউট্রিশন বিষয়ে পিএইচ.ডি সম্পন্ন করেন।

ইউসুফ হারুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগে ১৯৭০-১৯৭৬ সাল পর্যন্ত প্রভাষক, ১৯৭৬-১৯৭৯ সাল পর্যন্ত সহকারী অধ্যাপক, ১৯৭৯-১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৮৫-২০০৯ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এ খ-কালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।

তিনি প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর-ইন-চার্জ হিসেবে ব্র্যাক/বিবিএস/ইউনিসেফের ন্যাশনাল লো বার্থ ওয়েট অ্যান্ড অ্যানিমিয়া সার্ভে ইন বাংলাদেশ-২০০৩ প্রকল্পের সাথে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নির্বাচিত এলাকায় মানুষের খাদ্যগ্রহণ এবং পুষ্টির অবস্থা নিয়ে কাজ করেন। তিনি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (WFP) কান্ট্রি প্রোগ্রামে ২০০৬-২০১০ সাল পর্যন্ত পুষ্টি উপাদান তৈরিতে কাজ করেন। তিনি ২০০৪-২০০৫ সময়কালে বাংলাদেশে জাতীয় আয়োডিন ডেফিসিয়েন্সি ডিসঅর্ডার (আইডিডি) এবং ইউনিভার্সাল সল্ট আয়োডাইজেশন (ইউএসআই) জরিপ পরিচালনা কাজের সাথে সংযুক্ত ছিলেন।

ইউসুফ হারুন ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক এইচপি রায় স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। এছাড়া তিনি ১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিচারপতি ইব্রাহিম মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক, ১৯৯৩ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ কর্তৃক হালিমা-শরাফুদ্দিন পুরস্কার, ২০০২ সালে নিউট্রিশন সোসাইটি অব বাংলাদেশ কর্তৃক পুষ্টি পুরস্কার, ১৯৭৩ সালে যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশন প্রদত্ত কমনওয়েলথ বৃত্তি, ১৯৮১-১৯৮৩ সাল এবং ১৯৮৫-১৯৮৬ সাল সময়কালে আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট ফাউন্ডেশন দ্বারা পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চ ফেলোশিপ প্রাপ্ত হন।

হারুন কে.এম ইউসুফ-এর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে ৯১টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাগ্রন্থ রয়েছে। তিনি ১৯৯৯-২০০১ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক (ভাইস-চ্যান্সেলর সমতুল্য) হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এছাড়া তিনি ইতালির আইসিটিপি (ICTP)-এর ফেলো; সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইপিপিএস (IPPS)-এর ফেলো; বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো ছিলেন।

হারুন কে.এম ইউসুফ ২০০৯ সালের ১১ই নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। [ইয়ারুল কবীর]