আরটি-পিসিআর

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৪:১৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ ("'''আরটি-পিসিআর''' (Reverse Transcription-Polymerase Chain Reaction) বিপরীতমুখী ট্রান্সক্র..." দিয়ে পাতা তৈরি)

আরটি-পিসিআর (Reverse Transcription-Polymerase Chain Reaction) বিপরীতমুখী ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন বিক্রিয়া (আরটি-পিসিআর) হলো একটি নিউক্লিক এসিড-জাতক পরীক্ষাগার টেকনিক বা কৌশল যার মাধ্যমে আরএনএ (রাইবোনিউক্লিক এসিড)-এর বিপরীত প্রতিলিপি সম্পূরক বা কমপ্লিমেন্টারি ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড) তৈরি করা হয়। এবং পরবর্তীতে মৌলিক পলিমারেজ চেইন বিক্রিয়ার মতো করে কমপ্লিমেন্টারি ডিএনএর একটি নির্দিষ্ট অংশকে বা জীনের একটি অংশকে অ্যাম্পিলিফিকেশন বা বহুগুণ বাড়ানো হয়। এটি প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট আরএনএর পরিমাণ পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। আরটি-পিসিআর হচ্ছে অতি সংবেদনশীল এবং স্বর্ণমান সম্পূর্ণ আধুনিক টেকনিক যার মাধ্যমে আরএনএ পর্যায় থেকে যেকোনো প্রজাতির কোন নির্দিষ্ট জীনের উপস্থিতি নির্ণয় করার পাশাপাশি ঐ জীনের প্রকাশ বা আরএনএতে রূপান্তরের পরিমাণ পরিমাপ করা যায়। নিখুঁত এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় আরটি-পিসিআরকে যেকোনো পরিবর্তীত শরীরবৃত্তীয় কার্যক্রমের সাথে জড়িত জীনের রূপান্তরের পরিমাণ পরিমাপ করা হয়। তাছাড়া আরটি-পিসিআর টেকনিক আরএনএ-ভিত্তিক হওয়ায় বহুলাংশে আরএনএ ভাইরাস যেমনÑ করোনা বা সার্স-কোভ-২, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের উপস্থিতি নির্ভুলভাবে নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়। আরটি-পিসিআর টেকনিক এক-ধাপে অথবা দুই-ধাপে সম্পূর্ণ করা যায়। এক-ধাপের প্রক্রিয়ায় একটিমাত্র টিউবেই সকল এনজাইম, নির্দিষ্ট জীনের প্রাইমারসমূহ এবং পিসিআর মিশ্রণের বা মাস্টার মিক্সারের সমন্বয়ে আরএনএ-কে এর বিপরীত প্রতিলিপি সম্পূরক বা কমপ্লিমেন্টারি ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড) তৈরি করার সংগে সংগে পলিমারেজ চেইন বিক্রিয়া করে নির্দিষ্ট জীনের অ্যাম্পলিফিকেশন করা হয়। অন্যদিকে দুই-ধাপের প্রক্রিয়ায় প্রথমে একটি টিউবে আরএনএ-কে রির্ভাস ট্রাসক্রিপশন এনজাইমের মাধ্যমে সম্পূরক বা কমপ্লিমেন্টারি ডিএনএ-তে (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিডে) রূপান্তর করা হয় এবং আলাদাভাবে অন্য টিউবে নির্দিষ্ট জীনের প্রাইমারসমূহ এবং পিসিআর মিশ্রণের বা মাস্টার মিক্সারের সমন্বয়ে পলিমারেজ চেইন বিক্রিয়া করে নির্দিষ্ট জীনের অ্যাম্পলিফিকেশন করা হয়। উল্লেখ্য আরটি-পিসিআর সাধারণত এক ধরনের বিশেষ থার্মো-সাইক্লার মেশিনের সাহায্যে করা হয় এবং উক্ত মেশিন-সংশ্লিষ্ট সফট্ওয়ারের মাধ্যমে যেকোনো প্রজাতির নির্দিষ্ট-জীনের উপস্থিতির পাশাপাশি ঐ জীনের পরিমাণ বা কপি নাম্বার জানা যায়। উপরোউক্ত যেকোনো প্রজাতির নির্দিষ্ট-জীনের উপস্থিতি ও পরিমাণ (যেমন-ভাইরাসের উপস্থিতি) ছাড়াও বর্তমানে আরটি-পিসিআর টেকনিক কৃষি ও চিকিৎসা গবেষণায়, স্বাস্থ্য ও রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল টেকনিক। [মো. মহসিন]