বসু, শরৎচন্দ্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
(Text replacement - "সোহ্রাওয়ার্দী" to "সোহ্‌রাওয়ার্দী")
 
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
'''বসু, শরৎচন্দ্র''' (১৮৮৯-১৯৫০)  ব্যারিস্টার, জাতীয়তাবাদী রাজনীতিক, বঙ্গীয় আইন সভায় বিরোধী কংগ্রেস দলীয় নেতা ও [[ফরওয়ার্ড ব্লক|ফরোয়ার্ড ব্লক]] এর নেতা। জানকীনাথ বসুর পুত্র ও [[বসু, সুভাষচন্দ্র|সুভাষচন্দ্র বসু]]র বড় ভাই শরৎচন্দ্র বসু ১৮৮৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতায় স্নাতক পর্যায়ের পড়াশোনা শেষ করে তিনি ১৯১১ সালে ইংল্যান্ড যান। [[দাশ, চিত্তরঞ্জন|চিত্তরঞ্জন দাশ]] এর অনুপ্রেরণায় শরৎচন্দ্র বসু রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি বেঙ্গল কংগ্রেসের সভাপতি হন।
'''বসু, শরৎচন্দ্র''' (১৮৮৯-১৯৫০)  ব্যারিস্টার, জাতীয়তাবাদী রাজনীতিক, বঙ্গীয় আইন সভায় বিরোধী কংগ্রেস দলীয় নেতা ও [[ফরওয়ার্ড ব্লক|ফরোয়ার্ড ব্লক]] এর নেতা। জানকীনাথ বসুর পুত্র ও [[বসু, সুভাষচন্দ্র|সুভাষচন্দ্র বসু]]র বড় ভাই শরৎচন্দ্র বসু ১৮৮৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতায় স্নাতক পর্যায়ের পড়াশোনা শেষ করে তিনি ১৯১১ সালে ইংল্যান্ড যান। [[দাশ, চিত্তরঞ্জন|চিত্তরঞ্জন দাশ]] এর অনুপ্রেরণায় শরৎচন্দ্র বসু রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি বেঙ্গল কংগ্রেসের সভাপতি হন।


১৯৩৬ থেকে ১৯৪৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন। কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা নিয়ে কংগ্রেসের ভূমিকা সম্পর্কিত ইস্যুতে তিনি ১৯৪৭ সালে তাঁর সদস্য পদ ত্যাগ করেন। একজন দেশপ্রেমিক বাঙালি হিসেবে শরৎচন্দ্র বসু বাংলা বিভাগের ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি সমাজ ও ভাষার ভিত্তিতে গঠিত স্বশাসিত সমাজতান্ত্রিক রাজ্যের সমন্বয়ে একটি অখন্ড ভারত গঠনের পক্ষে ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী [[সোহ্রাওয়ার্দী, হোসেন শহীদ|হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী]]র সাথে তাঁর চিন্তাধারার যথেষ্ট মিল ছিল। সোহরাওয়ার্দীও এ সময় আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মিলিত স্বাধীন বাংলা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। উভয় নেতা পরবর্তী সময়ে একটি অখন্ড স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক হয়ে কাজ করেন।  
১৯৩৬ থেকে ১৯৪৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন। কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা নিয়ে কংগ্রেসের ভূমিকা সম্পর্কিত ইস্যুতে তিনি ১৯৪৭ সালে তাঁর সদস্য পদ ত্যাগ করেন। একজন দেশপ্রেমিক বাঙালি হিসেবে শরৎচন্দ্র বসু বাংলা বিভাগের ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি সমাজ ও ভাষার ভিত্তিতে গঠিত স্বশাসিত সমাজতান্ত্রিক রাজ্যের সমন্বয়ে একটি অখন্ড ভারত গঠনের পক্ষে ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী [[সোহ্‌রাওয়ার্দী, হোসেন শহীদ|হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী]]র সাথে তাঁর চিন্তাধারার যথেষ্ট মিল ছিল। সোহরাওয়ার্দীও এ সময় আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মিলিত স্বাধীন বাংলা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। উভয় নেতা পরবর্তী সময়ে একটি অখন্ড স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক হয়ে কাজ করেন।  


কিন্তু সাম্প্রদায়িক রূপরেখার ভিত্তিতে বাংলা ও পাঞ্জাবের বিভক্তি এবং ভারত বিভাগের অনুকূলে রাজনৈতিক অগ্রগতির ফলে সে স্বপ্ন অতিমাত্রায় ‘ইউটোপীয়’ হয়ে যায়। ১৯৫০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শরৎচন্দ্র বসুর কলকাতায় মৃত্যু হয়।  [চিত্তরঞ্জন মিশ্র]
কিন্তু সাম্প্রদায়িক রূপরেখার ভিত্তিতে বাংলা ও পাঞ্জাবের বিভক্তি এবং ভারত বিভাগের অনুকূলে রাজনৈতিক অগ্রগতির ফলে সে স্বপ্ন অতিমাত্রায় ‘ইউটোপীয়’ হয়ে যায়। ১৯৫০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শরৎচন্দ্র বসুর কলকাতায় মৃত্যু হয়।  [চিত্তরঞ্জন মিশ্র]


[[en:Bose, Sarat Chandra]]
[[en:Bose, Sarat Chandra]]

১৬:৩৮, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

শরৎচন্দ্র বসু

বসু, শরৎচন্দ্র (১৮৮৯-১৯৫০)  ব্যারিস্টার, জাতীয়তাবাদী রাজনীতিক, বঙ্গীয় আইন সভায় বিরোধী কংগ্রেস দলীয় নেতা ও ফরোয়ার্ড ব্লক এর নেতা। জানকীনাথ বসুর পুত্র ও সুভাষচন্দ্র বসুর বড় ভাই শরৎচন্দ্র বসু ১৮৮৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতায় স্নাতক পর্যায়ের পড়াশোনা শেষ করে তিনি ১৯১১ সালে ইংল্যান্ড যান। চিত্তরঞ্জন দাশ এর অনুপ্রেরণায় শরৎচন্দ্র বসু রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি বেঙ্গল কংগ্রেসের সভাপতি হন।

১৯৩৬ থেকে ১৯৪৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন। কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা নিয়ে কংগ্রেসের ভূমিকা সম্পর্কিত ইস্যুতে তিনি ১৯৪৭ সালে তাঁর সদস্য পদ ত্যাগ করেন। একজন দেশপ্রেমিক বাঙালি হিসেবে শরৎচন্দ্র বসু বাংলা বিভাগের ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি সমাজ ও ভাষার ভিত্তিতে গঠিত স্বশাসিত সমাজতান্ত্রিক রাজ্যের সমন্বয়ে একটি অখন্ড ভারত গঠনের পক্ষে ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে তাঁর চিন্তাধারার যথেষ্ট মিল ছিল। সোহরাওয়ার্দীও এ সময় আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মিলিত স্বাধীন বাংলা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। উভয় নেতা পরবর্তী সময়ে একটি অখন্ড স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক হয়ে কাজ করেন।

কিন্তু সাম্প্রদায়িক রূপরেখার ভিত্তিতে বাংলা ও পাঞ্জাবের বিভক্তি এবং ভারত বিভাগের অনুকূলে রাজনৈতিক অগ্রগতির ফলে সে স্বপ্ন অতিমাত্রায় ‘ইউটোপীয়’ হয়ে যায়। ১৯৫০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শরৎচন্দ্র বসুর কলকাতায় মৃত্যু হয়।  [চিত্তরঞ্জন মিশ্র]