পঞ্চমীঘাট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
(Text replacement - "\[মুয়ায্যম হুসায়ন খান\]" to "[মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]")
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:


'''পঞ্চমীঘাট'''  হিন্দুদের তীর্থস্থান। নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে অবস্থিত। মহাভারতে বর্ণিত কুরু-পাণ্ডব যুদ্ধের সঙ্গে পঞ্চমীঘাটের একটি ঐতিহ্যগত সম্পর্ক নির্দেশ করা হয়েছে। মহাভারতে বর্ণিত আছে যে, পঞ্চপাণ্ডব তাদের বারো বছর নির্বাসনকালে বিভিন্ন তীর্থস্থলে পরিভ্রমণ করে ধর্মানুষ্ঠান পালন করেন এবং গঙ্গানদীর সংগমস্থলে আনুষ্ঠানিক স্নান সম্পন্ন করেন। কথিত আছে, এক সময় তাঁরা ব্রহ্মপুত্রের পবিত্র জলে স্নান করেন। ব্রহ্মপুত্রে তাঁদের স্নানের স্থলকে পঞ্চমীঘাটের সঙ্গে অভিন্ন বলে অনুমান করা হয়।
'''পঞ্চমীঘাট'''  হিন্দুদের তীর্থস্থান। নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে অবস্থিত। মহাভারতে বর্ণিত কুরু-পাণ্ডব যুদ্ধের সঙ্গে পঞ্চমীঘাটের একটি ঐতিহ্যগত সম্পর্ক নির্দেশ করা হয়েছে। মহাভারতে বর্ণিত আছে যে, পঞ্চপাণ্ডব তাদের বারো বছর নির্বাসনকালে বিভিন্ন তীর্থস্থলে পরিভ্রমণ করে ধর্মানুষ্ঠান পালন করেন এবং গঙ্গানদীর সংগমস্থলে আনুষ্ঠানিক স্নান সম্পন্ন করেন। কথিত আছে, এক সময় তাঁরা ব্রহ্মপুত্রের পবিত্র জলে স্নান করেন। ব্রহ্মপুত্রে তাঁদের স্নানের স্থলকে পঞ্চমীঘাটের সঙ্গে অভিন্ন বলে অনুমান করা হয়।
প্রতিবছর চৈত্র মাসে শুক্লপক্ষরে অষ্টম দিনে (অষ্টমী) হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুগপৎ পঞ্চমীঘাট ও নিকটস্থ [[লাঙ্গলবন্দ|লাঙ্গলবন্দ]]এ তীর্থস্থান করেন। এই স্নান উপলে পঞ্চমীঘাটেও এক মেলা অনুষ্ঠিত হয়।  [মুয়ায্যম হুসায়ন খান]  
প্রতিবছর চৈত্র মাসে শুক্লপক্ষরে অষ্টম দিনে (অষ্টমী) হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুগপৎ পঞ্চমীঘাট ও নিকটস্থ [[লাঙ্গলবন্দ|লাঙ্গলবন্দ]]এ তীর্থস্থান করেন। এই স্নান উপলে পঞ্চমীঘাটেও এক মেলা অনুষ্ঠিত হয়।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]  
[[en:Panchamighat]]
[[en:Panchamighat]]

১৬:৩৩, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

পঞ্চমীঘাট হিন্দুদের তীর্থস্থান। নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে অবস্থিত। মহাভারতে বর্ণিত কুরু-পাণ্ডব যুদ্ধের সঙ্গে পঞ্চমীঘাটের একটি ঐতিহ্যগত সম্পর্ক নির্দেশ করা হয়েছে। মহাভারতে বর্ণিত আছে যে, পঞ্চপাণ্ডব তাদের বারো বছর নির্বাসনকালে বিভিন্ন তীর্থস্থলে পরিভ্রমণ করে ধর্মানুষ্ঠান পালন করেন এবং গঙ্গানদীর সংগমস্থলে আনুষ্ঠানিক স্নান সম্পন্ন করেন। কথিত আছে, এক সময় তাঁরা ব্রহ্মপুত্রের পবিত্র জলে স্নান করেন। ব্রহ্মপুত্রে তাঁদের স্নানের স্থলকে পঞ্চমীঘাটের সঙ্গে অভিন্ন বলে অনুমান করা হয়। প্রতিবছর চৈত্র মাসে শুক্লপক্ষরে অষ্টম দিনে (অষ্টমী) হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুগপৎ পঞ্চমীঘাট ও নিকটস্থ লাঙ্গলবন্দএ তীর্থস্থান করেন। এই স্নান উপলে পঞ্চমীঘাটেও এক মেলা অনুষ্ঠিত হয়। [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]