কেবিনেট কমিটি

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৯:৪৮, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

কেবিনেট কমিটি  জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত এ কমিটিগুলো মন্ত্রিসভা পর্যায়ে অথবা প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত নির্দেশে গঠিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালের কার্যবিধিতে এ ধরনের কেবিনেট কমিটি গঠনের সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। মন্ত্রিসভা বা প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার স্থায়ী কমিটি গঠন করে এদের উপর প্রয়োজনীয় কার্যভার ন্যস্ত করতে পারেন। সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে অ্যাড হক কেবিনেট কমিটিও গঠিত হতে পারে।

সরকার কর্তৃক এপর্যন্ত গঠিত স্থায়ী কেবিনেট কমিটিগুলোর মধ্যে রয়েছে: সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কেবিনেট কমিটি, অর্থ বিষয়ক কেবিনেট কমিটি, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহি কমিটি; আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কেবিনেট কমিটি এবং জাতীয় পুরস্কার সম্পর্কিত কেবিনেট কমিটি। প্রধানমন্ত্রী বা তার অনুপস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ এবং এ পরিষদের নির্বাহি কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পাঁচসালা পরিকল্পনা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও অন্যান্য সমষ্টিগত অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নে দিগনির্দেশনা প্রদান। অন্যদিকে পরিষদের নির্বাহি কমিটি যাবতীয় বিনিয়োগ প্রকল্পের ধারণা সম্পর্কিত সকল কাগজপত্র বিবেচনা ও অনুমোদন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন পুনরীক্ষণ এবং বেসরকারি ও যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব ইত্যাদি বিবেচনা করে থাকে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক পরিষদ এবং এর নির্বাহি কমিটিকে প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক সহায়তা যোগায়। অর্থ বিষয়ক কেবিনেট কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কেবিনেট কমিটির প্রধান থাকেন অর্থমন্ত্রী, এবং কেবিনেট ডিভিশন এ দুটি কেবিনেট কমিটিকে দাপ্তরিক সহায়তা প্রদান করে। আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কেবিনেট কমিটির প্রধান থাকেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কমিটিকে দাপ্তরিক সহায়তা দেয়। বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার সম্পর্কিত কেবিনেট কমিটির প্রধান থাকেন, এবং এ কমিটিকে দাপ্তরিক সহায়তা দেয় কেবিনেট ডিভিশন। এ কমিটি জাতীয় পুরস্কার প্রদানের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রদত্ত প্রস্তাবসমূহ পরীক্ষা করে। মন্ত্রিসভার সবগুলো স্থায়ী কমিটি জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে, যদিও অন্যান্য মন্ত্রীসহ উপমন্ত্রীরাও কোনো কোনো কেবিনেট কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।

কেবিনেট কমিটির গৃহীত যেসব সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত হলে সেগুলো মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হয়। কিছু নির্দিষ্ট কেবিনেট কমিটির আলোচনা ও সিদ্ধান্তের কার্যবিবরণী কেবিনেট সচিব (বা তার কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা) কর্তৃক মন্ত্রিসভার সকল সদস্যের নিকট প্রেরিত হয়। কিন্তু অন্যান্য মন্ত্রণালয়/ডিভিশনের অধীনস্থ কেবিনেট কমিটিগুলোকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ দাপ্তরিক সহায়তা প্রদান করে থাকেন। সরকারের নীতি বাস্তবায়ন ও একাধিক মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি মীমাংসার জন্য সরকার অবশ্য কিছুসংখ্যক আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে থাকে। এ আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি প্রধানত জ্যেষ্ঠ আমলাদের সমন্বয়ে গঠিত হয়। সরকারের নীতি নির্ধারণ বিষয়ক কমিটিগুলোতে সাধারণত মন্ত্রিগণ প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। [মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া]