পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:০২, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়  ১৮৪৫ সালে উপজেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষানুরাগী দুর্গা কিংকর দত্ত পটিয়া থানার ভূর্ষি গ্রামে প্রথমে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। অল্পদিনের মধ্যেই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিণত হয়। শিক্ষানুরাগী জমিদার মীর এহিয়ার আর্থিক সহায়তায় প্রাথমিক বিদ্যালয়টি মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ে পরিণত হয় এবং দুর্গা কিংকর দত্ত প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। ১৮৫৯ সালে বিদ্যালয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পেয়ে উচ্চ ইংরেজি স্কুলের পর্যায়ভুক্ত হয় এবং ১৮৬৭ সালে সর্বপ্রথম এই বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রাস পরীক্ষায় ছাত্ররা অংশ নেয়। উনিশ শতকের পূর্ব পর্যন্ত এই স্কুলটি সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে একমাত্র স্কুল ছিল।

উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত হওয়ার পর বিক্রমপুরের রসিকচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান শিক্ষক হয়ে আসেন। ১৯০৭ সাল থেকে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত সূর্যকুমার ছিলেন এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পটিয়া স্কুলে তাঁর শিক্ষকতার সময়কে ‘সূর্যযুগ’ বলা হয়। এ যুগে বিদ্যালয়টির পঠন-পাঠনের মান ব্যাপকভাবে উন্নত হয়। চট্টগ্রামের উনিশ ও বিশ শতকের বহু খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। প্রত্নতত্ত্ববিদ রায় বাহাদুর শরৎচন্দ্র দাস, ম্যাজিট্রেট রায় বাহাদুর নবীন চন্দ্র দাশ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখর শশাংক মোহন সেন, চট্টগ্রামে নারীশিক্ষার অগ্রদূত অন্নদাচরণ খাস্তগীর, সমাজ সংস্কার আন্দোলনের পথিকৃৎ যাত্রামোহন সেন এবং বাংলা সাহিত্যের পুথি বিশেষজ্ঞ  আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ প্রমুখ এই বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করেন। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ছাত্রের সংখ্যা প্রায় ১,০০০ এবং শিক্ষক সংখ্যা ১৬ জন। এই বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন বই ও পুথি রয়েছে।  [তুষার কান্তি দাশ]