নিম

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২১:৫৯, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)
নিম গাছ

নিম (Neem)  Maliaceae গোত্রের ঔষধি বৃক্ষ Azadirachta indica। এ গাছ সাধারণত ১৫-২০ মিটার উঁচু ও ৬০-৮০ সেমি চওড়া হয়। গাছটি সচরাচর চিরসবুজ, তবে শুষ্ক মৌসুমে পাতা ঝরে। করাতের ধারের মতো পাতার প্রান্তভাগ দাঁতালো। ফুল ছোট ও সুগন্ধি। একবীজীয় ডিম্বাকৃতি ছোট ছোট ফল, পাকলে মিষ্টি হয়, পাখির প্রিয় খাদ্য। বাকল মাঝারি পুরু, খাঁজালো, বাইরে গাঢ় ধূসর, ভিতরে লালচে-বাদামি। গাছের সারাংশ লাল রঙের, শক্ত ও টেকসই।

নিম একটি স্থানীয় গাছ, সারাদেশে বিশেষ করে বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রচুর জন্মে। নিমগাছ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালয়, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মায়ানমারের শুষ্ক বনাঞ্চলেও আছে।

বহুমুখী ব্যবহার্য উদ্ভিদ প্রজাতির মধ্যে নিম অন্যতম। নিম কাঠ গৃহনির্মাণ ও  আসবাবপত্র ছাড়াও অন্যান্য সামগ্রী, বিশেষত গরুর গাড়ি, জোয়াল, দাঁড়, বাক্স, কৃষি সরঞ্জাম, ঢাক ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার্য। ছাল, আঠা, পাতা ও ফুলের আছে যথেষ্ট ভেষজগুণ। সন্ন্যাসীরা কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য পাতা ও ফল খায়। বসন্তে কচি পাতা খুবই উপকারী। কফ-শ্লেষ্মা, ডায়াবেটিস, দৃষ্টিহীনতায় ও চোখে পিঁচুটি হলে নিমপাতা উপকারী। রাতকানা রোগে নিমফুল ভাজা খাওয়া ভাল। জ্বর, যকৃতের ব্যথা, বমি, অম্লরোগ, খোস-পাঁচড়া,  জন্ডিস, খাদ্যাভাসে অরুচি, দাঁতের মাঢ়ীর ক্ষতে নিম মহৌষধ। নিমের দাঁতন অনেকে ব্যবহার করেন। নিম থেকে টুথপেস্টও তৈরি হয়। ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ দমনের জন্য কীটনাশক হিসেবে নিম পাতা ব্যবহূত হয়।  মক্কার আরাফাত ময়দানে সুদৃষ্ট নিম গাছগুলোর চারা বাংলাদেশ থেকে সংগৃহিত বলে জানা যায়।  [মোঃ মাহফুজুর রহমান]