নিবেদিতা, সিস্টার
নিবেদিতা', 'সিস্টার (১৮৬৭-১৯১১) একজন সমাজকর্মী ও মানবতাবাদী এবং আইরিশ গির্জার মিনিস্টার স্যামুয়েল নোবেলের জ্যেষ্ঠ কন্যা। তাঁর প্রকৃত নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল। খুব অল্প বয়সেই আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক ভাবধারার প্রতি তাঁর ঝোঁক লক্ষ করা যায়। হ্যালিফ্যাক্স কলেজে পড়াশোনা করার পর তিনি নিজে ১৮৯২ সালে উইম্বলডনে ‘রাসকিন স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সক্রিয়ভাবে সামাজিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাহিত্যচর্চায় আত্মনিয়োগ করেন।
সত্যের সন্ধানে নিবেদিতা নোবেল ১৮৯৫-৯৬ সালে লন্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ এর সংস্পর্শে আসেন। বেদান্ত দর্শনের উন্নত দার্শনিকতায় আস্থাশীল হয়ে তিনি স্বামী বিবেকানন্দকে তাঁর গুরু হিসেবে গ্রহণ করেন এবং ১৮৯৮ সালের ২৮ জানুয়ারি কলকাতায় চলে আসেন। ঐ বছর ২৫ মার্চ বিবেকানন্দ তাঁকে রামকৃষ্ণ মতবাদে শিক্ষানবিশ হিসেবে দীক্ষা দেন এবং তাঁর নাম দেন নিবেদিতা।
বাংলার মহিলাদের ভাগ্য উন্নয়নের কাজে নিবেদিতা নিজেকে নিয়োজিত করেন। ১৮৯৮ সালের নভেম্বরে তিনি কলকাতায় মেয়েদের জন্য একটি বিদ্যালয় চালু করেন। ১৮৯৯ সালের জুলাই মাসে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং সেখানে এক বছর ধরে গণসংযোগের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন।#চিত্র:নিবেদিতা, সিস্টার html 88407781.png
- সিস্টার নিবেদিতা
১৯০২ সালের জুলাই মাসে বিবেকানন্দের মৃত্যুর পর নিবেদিতা রামকৃষ্ণ মতাদর্শ পরিত্যাগ করেন এবং আধ্যাত্মিক চিন্তা-ভাবনা ছেড়ে তিনি ভারতের বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলনে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯০৭ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডে অবস্থানকালে তিনি একই লক্ষ্যে কাজ করেন। ১৯০৯ সালের জুলাই মাসে তিনি ভারতে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১৯১১ সালের ১৩ অক্টোবর দার্জিলিং-এ তাঁর মৃত্যু হয়। [অনিল বরণ রায়]