তুবড়ি

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২১:৩১, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

তুবড়ি  শুষির জাতীয়  লোকবাদ্যযন্ত্র। সাধারণত সাপের খেলায় এ যন্ত্রটি বাজানো হয়। তিক্ত জাতীয় লাউয়ের খোলের সঙ্গে একজোড়া  বাঁশি লাগিয়ে তুবড়ি তৈরি করা হয়। জোড়া বাঁশিতে অসমসংখ্যক ছিদ্র থাকে এবং সেগুলিতে আঙুল দিয়ে সুর নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বাঁশিটি বিরামহীনভাবে বাজে, আর বাদক তাতে প্রয়োজনমতো সুর তোলে।

খোলের অপর দিকে ফুঁ দেওয়ার জন্য থাকে একটি নল। নলটি দিয়ে বাদক খোলের ভেতর বাতাস পুরে দেয় এবং সে বাতাস খোলে সঞ্চিত হয়। এর ফলে বাদক শ্বাস নেওয়ার সময়ও খোলের সঞ্চিত বাতাস দ্বারা যন্ত্রটি বাজতে থাকে। সাধারণ বাঁশির সঙ্গে তুবড়ির এটাই মৌলিক পার্থক্য।

তুবড়ির স্বর বাঁশির স্বরের মতো সূক্ষ্ম ও বিচিত্র হয় না; ভেঁপুর মতো মোটা ও টানা সুরে তুবড়ি বাজতে থাকে। ছিদ্রযুক্ত বাঁশি দুটি পাশাপাশি অথবা সামান্য দূরত্বে পৃথকভাবে খোলের সঙ্গে যুক্ত থাকে। নাকের বাতাস দিয়েও তুবড়ি বাজানো যেতে পারে; এজন্য এটি ‘নাসাবংশী’ নামেও পরিচিত। পাশ্চাত্যের ‘ব্যাগ পাইপে’র সঙ্গে তুবড়ির বাদনরীতি ও স্বরধ্বনির মিল রয়েছে।  [ওয়াকিল আহমদ]