ঢাকা সিটি করপোরেশন
ঢাকা সিটি করপোরেশন ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টি হলে ঢাকা নবগঠিত পূর্ববঙ্গ প্রদেশের রাজধানীর মর্যাদা লাভ করে। শহরটির মর্যাদা বৃদ্ধির সাথে সাথে অবশ্য এর স্থানীয় শাসন ব্যবস্থার কোনো হেরফের হয় নি। এ শহরের স্থানীয় শাসন আগেও যেমন একটি মিউনিসিপ্যালিটি কর্তৃক পরিচালিত হতো, প্রাদেশিক রাজধানী হওয়ার পরও সেই একই ব্যবস্থা অনুসৃত হতে থাকে। ১৮৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত মিউনিসিপ্যাল শাসনব্যবস্থা ঢাকার মতো একটা শহরের স্থানীয় শাসন পরিচালনার জন্য যথেষ্টই ছিল, কারণ ঢাকা ছিল তখন একটি ছোট্ট বিভাগীয় কেন্দ্র মাত্র। তখন শহরটির পরিব্যাপ্তি ছিল ২০.৭২ বর্গ কিমি এবং এর জনসংখ্যা ছিল ৫২,০০০-এর কাছাকাছি। ১৮৬৪ সালের Act III মোতাবেক প্রতিষ্ঠিত এ মিউনিসিপ্যালিটির উপর এ ছোট্ট শহরের স্বল্পসংখ্যক নাগরিককে পৌরসেবা প্রদান করার দায়িত্ব বর্তায়। এ সেবার অন্তর্গত ছিল রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংরক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করা। এজন্য পৌরসভা করারোপ করতে পারত এবং সময় সময় সরকারি অনুদান লাভ করত।
চিত্র:ঢাকা সিটি করপোরেশন html 88407781.png
" border=1>
ঢাকা সিটি করপোরেশন ভবন
যদিও পরবর্তী সময়ে শহরটির বিস্তৃতি ঘটে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তথাপি ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের এদেশ ছেড়ে যাওয়ার এবং এটি একটি নতুন প্রদেশের রাজধানীর মর্যাদা লাভের পরই শুধু এর ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। ১৯৪৭ সালে এ শহরের আয়তন সম্প্রসারিত হয়ে প্রায় ৩১.০৮ বর্গ কিমি-এ দাঁড়ায় এবং জনসংখ্যা হয় প্রায় ২,৫০,০০০। অতঃপর ঢাকার রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক, শিল্প সংক্রান্ত, শিক্ষা বিষয়ক এবং এমনকি সামরিক গুরুত্ব এতটাই বেড়ে যায় যে পরিবর্তিত পরিস্থিতিরি সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য এর স্থানীয় শাসনের পরিবর্তন প্রয়োজন হয়ে পড়ে। অবশ্য এ পরিবর্তন রাতারাতি ঘটে নি, বরং দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক অবস্থার কারণে এ পরিবর্তন হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
১৯৪৭-এর পর ঢাকা পৌর প্রশাসন ‘রাজনৈতিক সুবিধাবাদ এবং প্রশাসনিক দক্ষতা’ এ দ্বিবিধ পরস্পরবিরোধী প্রয়োজন দ্বারা প্রভাবিত ছিল। দেশ ভাগের অব্যবহিত পরে বিরাজমান বিশৃঙ্খলা এবং বিপুল সংখ্যক মানুষের চাপের কারণে ঢাকা পৌরসভার সাধারণ কাজকর্ম দারুণভাবে ব্যাহত হয়। পুরানো পদ্ধতিতে পৌর প্রশাসন চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। এমনকি ভোটার তালিকায় ব্যাপক পরিবর্তন ও অন্যান্য অসুবিধার কারণে মিউনিসিপ্যাল কমিশনারবৃন্দ এবং চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানদের নিয়মিত নির্বাচন অনুষ্ঠানও করা যাচ্ছিল না। ১৯৫৮ সালে দেশে সামরিক শাসন জারি হওয়া পর্যন্ত এ অসুবিধাসমূহ অব্যাহত থাকে। পৌর প্রশাসনসহ অন্যান্য স্থানীয় সংস্থা স্থগিত করা হয়। উচ্চপদস্থ বেসামরিক কর্মকর্তা এবং অন্যান্য স্থানীয় কর্মকর্তাদের উপর পৌর সংস্থাসমূহের দায়িত্ব বর্তায়। সরকার ও প্রশাসনের মৌল কাঠামোয় সামরিক শাসক আয়ুব খান এতসব সংস্কার ও পরিবর্তন আনয়ন করেন যে, পূর্বতন সরকার ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যই পাল্টে যায়। তাঁর ১৯৫৯ সালের মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ (Basic Democracies Order, 1959) গ্রামীণ ও শহুরে দুই ধরনের স্থানীয় সংস্থাতেই ব্যাপক পরিবর্তন ঘটায়। ১৯৩২ সালের বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট-এর পরিবর্তে মৌলিক গণতন্ত্র কাঠামোর আওতায় ১৯৬০ সালের মিউনিসিপ্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অর্ডিনান্স সংস্থাপিত হয়।
চিত্র:ঢাকা সিটি করপোরেশন html 88407781.png
পারিসরিক বৃদ্ধি ও জনসংখ্যার স্ফীতি, প্রাদেশিক সরকার প্রধানের এখানে অবস্থান এবং ব্যবসা ও শিল্পসহ অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যাপক উন্নতি সত্ত্বেও সমগ্র পাকিস্তান আমল জুড়ে ঢাকা একটি মিউনিসিপ্যাল শহর হিসেবেই থাকে।
বাংলাদেশ আমলে পৌর সংস্থাসমূহের প্রাচীন রীতি অনুসারে পরিচালনার আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি ঘোষণা করে ১৯৭১ সালের রাষ্ট্রপতির ৭ নং আদেশ অনুসারে এগুলির প্রতিটিতে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। ১৯৭৩ সালের রাষ্ট্রপতির ২২ নং আদেশ অনুসারে পৌরসভাসমূহে সামান্য পরিবর্তন আনা হলেও এগুলির কার্যাবলী প্রায় আগের মতোই থাকে। ১৯৭৭ সালে একটি নতুন পৌরসভা অর্ডিনান্স ঘোষণা করা হয়, এতেও পৌরসভাসমূহের কার্যাবলীর তেমন কোনো পরিবর্তন করা হয় নি।
এই আইনের আওতায় ঢাকাও একটি পৌরসভায় পরিণত হয়। কিন্তু প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব, বিশেষ করে মিউনিসিপ্যাল সরকারে জন প্রতিনিধিত্ব ও করারোপের ব্যাপারে, এ শহরের জন্য অধিকতর ব্যাপক প্রশাসনিক কাঠামোর প্রয়োজন অনুভূত হয়। তাই বিভিন্ন মহল থেকে ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটিকে উন্নত করার দাবি উত্থাপিত হতে থাকে। এভাবে ১৯৮৩ সালে একটি স্বতন্ত্র অর্ডিন্যান্স মোতাবেক ঢাকার জন্য সিটি করপোরেশন নামে নতুন ধরনের পৌর সংস্থা গঠিত হয়।
চিত্র:ঢাকা সিটি করপোরেশন html 88407781.png
১৯৮৩ সালের মধ্যে ঢাকার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে। এর জনসংখ্যা দাঁড়ায় ৩,৪৪০,১৪৭- এর কাছাকাছি এবং আয়তন প্রায় ৪০০ বর্গ কিমি-এ। সময়ের সাথে সাথে এর ওয়ার্ড সংখ্যাও ১৯৪৭ সালের ৭টি থেকে অনেক বৃদ্ধি পায়। সুতরাং মহানগরের স্থানীয় প্রশাসনকে যুগোপযোগী করার প্রয়োজন বহুদিন ধরেই অনুভূত হচ্ছিল। ‘ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন অর্ডিনান্স’ নামে পরিচিত ১৯৮৩ সালের অর্ডিনান্স ঢাকাকে একটি করপোরেশনে পরিণত করে এবং এর নাম হয় ‘ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন’।
অর্ডিনান্সটিকে সংজ্ঞায়িত করা হয় এভাবে: করপোরেশনটি হবে স্থায়ী উত্তরাধিকার সমন্বিত এবং সাধারণ সীলমোহর বিশিষ্ট একটি একীভূত সংস্থা এবং অর্ডিনান্সে উল্লিখিত ব্যবস্থাদি ও আইনের আওতায় স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ, দখলে রাখা এবং হস্তান্তর করা এর এখতিয়ারে থাকবে এবং এ সংস্থা উপরোক্ত নামে আইনের আশ্রয় নিতে পারবে এবং একে আইনের আমলে আনা যাবে।
এই অর্ডিনান্সের আওতায় করপোরেশনটি ৭৫ জন নির্বাচিত কমিশনার, ১০জন মনোনীত মহিলা কমিশনার এবং ৫জন সরকারি কমিশনার নিয়ে গঠিত ছিল। অর্ডিনান্সের বিধি-বিধান এবং এর অধীনে প্রণীত আইন অনুসারে নির্বাচিত কমিশনারগণ প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হতেন।
সরকার মহিলা সংস্থাসমূহ এবং সমাজ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানাদির সাথে আলোচনা করে ঢাকা শহরের মহিলাদের মধ্য থেকে মহিলা কমিশনারদের মনোনয়ন দিতেন। রাজউক ও ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যানদ্বয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, ঢাকা পিডিবি-র চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ পাঁচজন পদাধিকারবলে (ex-officio) কমিশনার হতেন।
নির্বাচিত কমিশনারদের মধ্য থেকে একজনকে মেয়র এবং তিনজনকে ডেপুটি মেয়র হিসেবে বাছাই করা হতো। মেয়র এবং ডেপুটি মেয়রগণ করপোরেশনের কমিশনার হিসেবেও গণ্য হতেন। কমিশনারদের কার্যকালের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর।
অর্ডিন্যান্সের আওতায় ঢাকা সিটি করপোরেশনকে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান করা হলেও সরকার নানাভাবে এর কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করার অধিকার সংরক্ষণ করতেন। তদুপরি সরকার নিজের নির্ধারিত শর্তাধীনে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিতেন। অর্ডিন্যান্স স্থানীয় প্রশাসনের মর্যাদা বাড়ালেও নবগঠিত ঢাকা সিটি করপোরেশনের কার্যাবলী ও আর্থিক ক্ষমতা মোটামুটি আগের পৌরসভার মতোই থেকে যায়। জনস্বাস্থ্য, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন, খাদ্য ও পানীয় সম্পর্কিত বিষয়াবলি, এবং রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংরক্ষণ, রাস্তায় আলো ও পানি ছিটানোর ব্যবস্থা, জন-নিরাপত্তা, পার্ক ও বাগান সংরক্ষণ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজকল্যাণ ও শহরের সার্বিক উন্নয়ন এর কার্যাবলীর অন্তর্গত। এছাড়া সরকার প্রদত্ত যে কোনো দায়িত্ব সিটি করপোরেশন পালন করতে পারে। আবার সিটি করপোরেশনকে প্রদত্ত যে কোনো দায়িত্ব বা সিটি করপোরেশন কর্তৃক পরিচালিত যে কোনো প্রতিষ্ঠান সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হতে পারে।
নিজস্ব তহবিল গঠনের জন্য করপোরেশনকে সকল প্রকার করারোপের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে, যেমন সম্পত্তির উপর প্রদেয় কর, সেঁচ, শুল্ক, ফিস, ভাড়া ইত্যাদি। তাছাড়া করপোরেশনের নিজস্ব সম্পত্তি থেকে আয়, ব্যক্তি বিশেষের দান এবং সরকারি অনুদানও করপোরেশনের আয়ের উৎস।
১৯৮৩ সালের অর্ডিন্যান্স মোতাবেক সরকার নির্ধারিত ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাঠামো কিছুদিন অব্যাহত থাকে। কিন্তু ১৯৯০ সালে বিভাগীয় কমিশনারকে পদাধিকারবলে মেয়রের পদ প্রদান করা হয়। পরে সরকার একজন নন-অফিসিয়ালকে মেয়র পদে নিয়োগ দেয়। মেয়রকে সরকার নিয়োগ দিলেও ডেপুটি মেয়রগণ নির্বাচিত কমিশনারদের দ্বারা নির্বাচিত হতেন। ১৯৮৩ সালের ঢাকা সিটি করপোরেশন আইন ১৯৯৩ সালে সংশোধন করা হয়। সংশোধনীকে আখ্যা দেয়া হয় ‘ঢাকা সিটি করপোরেশন (সংশোধনী) আইন, ১৯৯৩।’ এ আইনে প্রধান যে পরিবর্তন আনা হয় তা করপোরেশনের কর্তৃপক্ষ গঠন সম্পর্কিত। বিধিবদ্ধ করা হয় যে ভবিষ্যতে একজন ‘মেয়র’ এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক কমিশনারদের নিয়ে করপোরেশন গঠিত হবে। এতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, এ আইনের ধারামতে মেয়র এবং কমিশনারগণ প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। এতে আরও বিধিবদ্ধ হয় যে মহিলা কমিশনারদের আসন সংখ্যা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হবে এবং ওই সকল আসন শুধু মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে এবং মহিলা কমিশনারগণ মেয়র ও কমিশনারদের দ্বারা সরকার নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন। এ আইনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয় আর তা হচ্ছে শহরটিকে অনেকগুলি অঞ্চলে বিভক্তকরণ। বিধান করা হয়, ‘উন্নততর প্রশাসন এবং করপোরেশনের কার্যাবলী অধিকতর সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সরকার শহরটিকে এমন সংখ্যক অঞ্চলে বিভক্ত করতে পারবেন যেমনটির প্রয়োজন সরকার যথোপযুক্ত বলে বিবেচনা করবেন’। প্রত্যেক অঞ্চলের জন্য একটা করে আঞ্চলিক অফিস থাকবে এবং তা মেয়রের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণে করপোরেশন প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করবে।
নতুন আইনে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে এবং ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে একজন মেয়র ও অন্যান্য কমিশনারগণ নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে সংরক্ষিত ৩০ টি আসনে মহিলা কমিশনারদের প্রত্যক্ষ নির্বাচনের বিধান প্রবর্তন এবং মহানগরের ওয়ার্ড সংখ্যা নববইটিতে উন্নীত করা হয়। এ পরবর্তী আইনগুলি অবশ্য করপোরেশনের কার্যাবলী কিংবা এর আর্থিক ক্ষমতায় কোনো বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটায় নি।
ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বর্তমানে প্রায় এক কোটি জনসংখ্যা (প্রায় বারো মিলিয়ন অধিবাসী) অধ্যুষিত এক মহানগরের নাগরিকদের সেবা করার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। শহরটি অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত এবং এগুলি সমাধানের মতো পর্যাপ্ত আয়ের উৎস এর নেই। অধিকন্তু এর অনেকগুলি কাজ সরকারের বিভিন্ন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। যেহেতু এসকল বিভাগের মধ্যে তেমন একটা সমন্বয় পরিলক্ষিত হয় না সেহেতু শহরের নাগরিক সুবিধা দারুণভাবে বিঘ্নিত হয়। সম্ভবত এজন্য করপোরেশনকে অহেতুক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়।
স্থানীয় সরকার এমেন্ডমেন্ট বিল ২০১১ (২৯ নভেম্বর ২০১১ ) অনুসারে পূর্ববর্তী ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। উক্ত আইন অনুযায়ী ৪ ডিসেম্বর ২০১১ থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দু’টি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়- সিটি করপোরেশন-ঢাকা দক্ষিণ এবং সিটি করপোরেশন-ঢাকা উত্তর। এ বিষয়ে বাংরাদেশ সরকারের গেজেট জারি করা হয় ১ ফেব্রুয়ারী ২০১২ ইং। এতে বিধান রাখা হয় যে, উভয় করপোরেশন দু’টি পৃথক প্রশাসনিক ইউনিট দ্বারা পরিচালিত হবে এবং পৃথক পৃথক দু’জন মেয়র এর প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন। [শরীফ উদ্দিন আহমেদ]