ধনবাড়ী উপজেলা
ধনবাড়ী উপজেলা (টাঙ্গাইল জেলা) আয়তন: ১৪৩.৮২ বর্গ কিমি। অবস্থান ২৩°৩৭´ থেকে ২৪°৪৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°১০´ থেকে ৯০°০০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে জামালপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে গোপালপুর ও মধুপুর উপজেলা, পূর্বে মধুপুর উপজেলা, পশ্চিমে সরিষাবাড়ী উপজেলা।
জনসংখ্যা ১৫১৬৪৭; পুরুষ ৭৬৮১৯, মহিলা ৭৪৮২৮। মুসলিম ১৪৮৫৭৭, হিন্দু ৩০২৫ এবং অন্যান্য ৪৫। এ উপজেলায় গারো ও কোচ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
জলাশয় প্রধান নদী: ঝিনাই।
প্রশাসন ধনবাড়ী থানা গঠিত হয় ২০০০ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ২০০৬ সালে। পৌরসভা গঠিত হয় ১৯৯৬ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
১ | ৭ | ১০১ | ১২৯ | - | ১০৮৪২৬ | ১০৮০ | - | ৩৯.১৮ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন(একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার(%) | |||||
</nowiki>পুরূষ | মহিলা | |||||||
ধনবাড়ী ৪৭ | ৯০৭০ | ১৭৭৩৫ | ১৪০০৬ | ৪১.৯২ | ||||
ধোপাখালী ৫৭ | ৪০৪৯ | ১০৩০৬ | ৯৯৩৭ | ৩৯.০৮ | ||||
পাইশকা ৮৫ | ৬৬৫১ | ১০৩২৬ | ১০১৯৩ | ৩৫.৭০ | ||||
বলিভদ্র ৮০ | ২৮৩১ | ৬৯২৯ | ৬৮৭০ | ৩৭.৩০ | ||||
বানিয়াজান ৩৮ | ১২৩৭ | ২৯৩৫ | ২৮৪২ | ৪১.০৭ | ||||
বীরতারা ৩৮ | ৬৪৬৪ | ১৭৭৭৯ | ১৭২৫০ | ৪১.৯২ | ||||
মুসুূদ্দি ৮০ | ৫৬৫৪ | ১৪২০৭ | ১৪০৮৮ | ৩৭.৩২ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ ধনবাড়ী মসজিদ ও নবাব মঞ্জিল।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১৮০, মন্দির ৩, গির্জা ৬।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৮.৩৩%; পুরুষ ৪০.৬২%, মহিলা ৩৬%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ধনবাড়ী ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৭), ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন (১৯১০), পানপাতা ইসলামিয়া হাইস্কুল (১৯৪৩), পাইশকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬০), ফকির আফাজ উদ্দিন হাইস্কুল (১৯৬৯)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী সাপ্তাহিক: ধনবাড়ী বার্তা।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১, ক্লাব ৭৩, সিনেমা হল ৬, নাট্যদল ১৭, সাংস্কৃতিক সংগঠন ৫, খেলার মাঠ ২৯।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭৭.৩৭%, অকৃষি শ্রমিক ১.৯২%, শিল্প ০.৫৩%, ব্যবসা ৭.৭১%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.২৬%, চাকরি ০.৬৫%, নির্মাণ ০.১৮%, ধর্মীয় সেবা ৩.৭৬%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৩১% এবং অন্যান্য ৫.৩১%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৪৪.৬৮%, ভূমিহীন ৫৫.৩২%। শহরে ৩২.২৭% এবং গ্রামে ৫০.৭৪% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, আখ, আলু, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি মটর, খেসারি, মাষকলাই ডাল, মিষ্টিআলু, তিল।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, পেঁপে।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার এ উপজেলায় মৎস্য, গবাবিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৪৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৮৭ কিমি; নৌপথ ৭ নটিক্যাল মাইল।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন ঘোড়া ও গরুর গাড়ি, পাল্কি, ডুলি।
শিল্প ও কলকারখানা রাইসমিল, বেকারি, স’মিল।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, মৃৎশিল্প, লৌহশিল্প, তাঁতশিল্প, সেলাই, বাঁশ, বেত ও কাঠের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২০, মেলা ৩। ধনবাড়ী হাট, পাইশকা হাট, ধোপাখালী হাট, বলিভদ্র হাট, মুসুদ্দি হাট এবং ধনবাড়ীর বৈশাখী মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য পাট, আখের গুড়, আলু।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৯.৩৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৩.৮৩%, পুকুর ০.১৮%, ট্যাপ ০.৪৫% এবং অন্যান্য ৫.৫৪%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৩৮.৪৭% (গ্রামে ২৫.৪৬% ও শহরে ৬৫.১৩%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪৯.৩৬% (গ্রামে ৮.৪৫% ও শহরে ৩০.৭৫%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১২.১৭% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১, দাতব্য চিকিৎসালয় ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৪, ক্লিনিক ৩।
এনজিও ব্র্যাক, প্রশিকা। [সাজেদা বেগম]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; ধনবাড়ী উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।