সন্ধানী
সন্ধানী স্বাস্থ্যখাতের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যার মাধ্যমে মানুষের রক্তের এবং অঙ্গের ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা রয়েছে। কয়েকজন তরুণ চিকিৎসক ও সমাজকর্মীর উদ্যোগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজকে কেন্দ্র করে এটি প্রথম সংগঠিত হয়। দেশব্যাপী প্রধান শহরগুলিতে সন্ধানী এখন রক্ত সংগ্রহের কেন্দ্র পরিচালনা করে। এছাড়া যেসব মানুষ মৃত্যুর আগে দেহের কোন অঙ্গ দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, মৃত্যুর পর তাঁদের কাছ থেকে সেসব অঙ্গ সংগ্রহ করা হয়। মৃত্যুর পূর্বে চোখ, কর্নিয়া ও কিডনি স্বেচ্ছাপ্রণোদিত দানের ব্যাপারে উৎসাহদানের ব্যাপারে সন্ধানী উলেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। মানুষের কাছে এদের বার্তা হচ্ছে ‘আপনি যেমন বেঁচে আছেন তেমনি অন্যদেরও বাঁচতে দিন’। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সন্ধানীর শাখা আছে এবং জেলা শহরে হাসপাতাল ভিত্তিক দাতাদের সমিতি আছে।
বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবীদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে সন্ধানী নিয়মিত রক্তদান কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রথমে সংগৃহীত রক্তকে কোন নির্দেশক ভাইরাস যেমন হেপাটাইটিস বি ভাইরাস-এর জন্য পৃথকীকরণ করা হয় এবং সংরক্ষণের পূর্বে তা শ্রেণীবিন্যাস করা হয়। রক্তদাতাগণ সন্ধানীতে এলে তাদেরকে একটি শনাক্তপত্র দেওয়া হয়, যা তারা পরবর্তীতে যখন তাদের বা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের রক্ত দরকার হয় তখন তারা সেটা উপস্থাপন করতে পারে। এই শনাক্তকরণ পত্রের সাহায্যে দেশব্যাপী সন্ধানীর সমস্ত কেন্দ্র থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রক্ত সংগ্রহ করা যায়।
মৃত্যুর আগে স্বেচ্ছায় দান করা বা দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের নিকট থেকে অঙ্গ সংগ্রহের জন্য সন্ধানীর কর্মীদল সদা তৎপর। অঙ্গ প্রদান ও বিতরণের ব্যাপারে যেসব সংগঠন জড়িত তাদের সমস্ত কাজে নিয়মগত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। কোন কোন মহলে এটি খুব তীব্রভাবে অনুভূত হয় যে, বাংলাদেশে অঙ্গ সম্প্রদানে সচেতনতা সৃষ্টিকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। [জিয়া উদ্দিন আহমেদ]