মুহুরী নদী

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:৪৭, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

মুহুরী নদী  বাংলাদেশের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী, উৎপত্তি ত্রিপুরার পার্বত্য অঞ্চলে। ভারতীয় পাহাড়ি অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার নীজকালিকাপুর এবং মাঝিরখালী গ্রামের কাছে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নদীটি খরস্রোতা, ভীষণভাবে এঁকে বেঁকে প্রবাহিত। কোন কোন জায়গায় নদীটি বাংলাদেশ-ভারত (ত্রিপুরা রাজ্য)-এর আন্তর্জাতিক সীমা নির্দেশ করে। নদীটি পাহাড়ি বলে বৃষ্টি হলেই হঠাৎ করে পানি ফুলেফেঁপে ওঠে এবং সমতল এলাকায় দুকূল ছাপিয়ে বন্যার সৃষ্টি করে।

ত্রিপুরা রাজ্যের বিলোনিয়া শহরটিকে নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য ভারত সরকার ১৯৭৫-এর আগে ইমপারমিবেল স্পার নির্মাণ করেছিল। কিন্তু পরে যৌথ নদী কমিশনে  সিদ্ধান্ত হয় যে, দুদেশের কেউই ভবিষ্যতে আর স্পার বা গ্রোয়েন নির্মাণ করতে পারবে না। মুহুরীর মাঝখানে যে চরগুলি জেগেছে তার কিছু ভারতীয় দখলে, কিছু বাংলাদেশের দখলে রয়েছে।

মুহুরী নদীটি বেশি চওড়া নয়, প্রস্থ মাত্র ১৫০-২০০ মিটার। এটি খুব গভীরও নয়, শুকনার দিনে, বিশেষ করে শীতের সময় মানুষ হেঁটেই এপার ওপার হতে পারে। তবে যতই সাগরের দিকে এগিয়ে গেছে ততই চওড়া হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের কাছে অর্থাৎ মোহনায় মুহুরী নদীর এক পারে চট্টগ্রাম অন্য পারে ফেনী; ফলে নদীটি দুই জেলার সীমারেখা হিসেবে গণ্য হয়। এই এলাকায় নদীটি জোয়ারভাটা দ্বারা প্রভাবিত।

ফেনীর বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প উত্তোলন ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প ব্যবহার করে সেচকার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে মুহুরী নদীর ধারা সাগরে মিলিত হওয়ার ৩/৪ কিমি উজানে ১ কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা আড়াআড়ি বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। একে ক্লোজার ড্যাম বলা হয়। ভারি জোয়ারের সময় লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্যও এই বাঁধ এবং তার রেগুলেটর কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে।  [মাসুদ হাসান চৌধুরী]