ভবিষ্য তহবিল
ভবিষ্য তহবিল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রদত্ত চাঁদা অথবা গচ্ছিত অর্থ পৃথকভাবে অথবা সাধারণত তাদের স্ব-স্ব হিসাব খাতে এই তহবিলে জমা রাখা হয়। ১৯২৫ সালের ভবিষ্য তহবিল আইনমতে (১৯২৫ সালের ১৯ নম্বর আইন) এ তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা বা অনুরূপ যেকোন জমা টাকার উপর উপচিত সুদ অথবা বর্ধন এ তহবিলের অন্তর্ভুক্ত।
ভবিষ্য তহবিল আইনে তিন ধরনের ভবিষ্য তহবিলের বিধান রয়েছে। প্রথমটি সরকারি ভবিষ্য তহবিল। এটি হলো প্রজাতন্ত্রের চাকুরিতে নিয়োজিত যেকোন শ্রেণীর লোকদের জন্য সরকারি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত তহবিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োজিত অথবা কেবলমাত্র শিক্ষার উদ্দেশ্যে কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তিরাও এর অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয়টি হলো রেলওয়ে ভবিষ্য তহবিল, যা রেলওয়ের যেকোন শ্রেণীর কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত হয়। তৃতীয়টি হচ্ছে অংশরূপে প্রদায়ক অথবা কন্ট্রিবিউটরী ভবিষ্য তহবিল। এক্ষেত্রে তহবিল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ভবিষ্য তহবিলে জমা দেয়। ভবিষ্য তহবিলে কর্মচারীদের হিসাবে তাদের জমা টাকার সঙ্গে এই টাকা যোগ হয়। এই প্রদায়ক তহবিল হলো এমন একটি তহবিল যাতে নিয়োগদানকারীকে বিধি মোতাবেক চাঁদার টাকা এই তহবিলে জমা দিতে হয়।
[এ.এম.এম শওকত আলী]