বনউজার

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:১৯, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)

বনউজার (Deforestation)  বাংলাদেশে বনবিনাশের প্রধান কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি। এর সাথে জড়িত বনজসম্পদ ও জ্বালানি কাঠের ক্রমবর্ধমান চাহিদা, নতুন কৃষি জমি আবাদ, শিল্প ও কলকারখানা স্থাপন, নগরায়ণ, পরিবহণ ও শক্তি উৎপাদনের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ ইত্যাদি। আরও একটি কারণ হলো বনভূমির বেআইনি দখল।

১৯৮৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বনাঞ্চলের ৭৬,৫৯৬ হেক্টর বনভূমি বেআইনি দখলে চলে গেছে। একটি হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের বন আচ্ছাদনের পরিমাণ ১৫% থেকে এখন মাত্র ৫%। মোট ২০ লক্ষ হেক্টর বনভূমির কেবল অর্ধেকটাই বৃক্ষপূর্ণ। বনউজারের আনুমানিক হার বার্ষিক প্রায় ৮,০০০ হেক্টর। ধারণা করা হয়, ১৯৬০-১৯৯০ সালের মধ্যে ৪০% বনভূমি হারিয়ে গেছে। ১৯৭০ সালে বনউজার হার ছিল ০.৯% এবং তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৮৪-৯০ সালে হয়েছে ২.৭%। উপগ্রহ জরিপে জানা যায় যে, বিশ্বে বার্ষিক বনধ্বংসের পরিমাণ ৭০,০০০ হেক্টর।

বনউজার

বাংলাদেশে এখন মাথাপিছু বনভূমির পরিমাণ ০.০২ হেক্টরেরও কম। এটি বন ও মানুষের বিশ্ব-অনুপাতে সর্বনিম্ন হার। এই ধারা অটুট থাকলে আগামী ৩৫-৪০ বছরের মধ্যে বা তার আগেই বনভূমি পুরোপুরি ধ্বংস হবে। অব্যাহত বনউজারের ফলে মূল্যবান প্রজাতিগুলি অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বনউজার হবার ফলে পরিবেশীয় নানা কুফলের মধ্যে রয়েছে জমির উর্বরতা  হ্রাস, বন্যা, ভূমিক্ষয় ও সর্বোপরি জলবায়ুর পরিবর্তন।  [এম আমিনুল ইসলাম]