বাংলাদেশ রেশম বোর্ড
বাংলাদেশ রেশম বোর্ড রাজশাহীতে অবস্থিত, রাষ্ট্রপতির এক অধ্যাদেশে ১৯৭৮ সালে (অধ্যাদেশ ১৯৭৭ সাল) প্রতিষ্ঠিত। রেশম উৎপাদনে উৎসাহ দান ও রেশম শিল্পে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। চার জন সার্বক্ষণিক ও ৭ জন খন্ডকালীন সদস্য নিয়ে এই বোর্ড গঠিত। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হলেন চেয়ারম্যান। বোর্ডের কার্যাবলি নিম্নোক্ত প্রধান বিভাগসমূহে বিভক্ত: ১. অর্থসংস্থান ও পরিকল্পনা; ২. সম্প্রসারণ ও উদ্বুদ্ধকরণ; ৩. উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ এবং ৪. প্রশাসন।
বোর্ডের প্রধান লক্ষ্যসমূহের মধ্যে রয়েছে: ১. রেশম উৎপাদন ও রেশম শিল্পের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন; ২. রেশম উৎপাদনে বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক গবেষণা ও প্রশিক্ষণে উদ্যোগ, সহায়তা বা উৎসাহ প্রদান; এবং ৩. তুঁত, ভেরেন্ডা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট উদ্ভিদের উন্নত চাষপদ্ধতি উদ্ভাবন।
দেশের বিভিন্ন অংশে বোর্ডের ১৪টি নার্সারি, ৩৯টি কেন্দ্র ও ১৫৯টি উপকেন্দ্র রয়েছে। বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আজ পর্যন্ত বোর্ডের উদ্যোগে দেশের ৪৮টি জেলা ও ২০২টি উপজেলায় রেশম উৎপাদন কার্যক্রম সম্প্রসারিত হয়েছে; প্রায় ১ কোটি তুঁত গাছ রোপণ করা হয়েছে; ৫০ লক্ষাধিক ব্যক্তির কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে; রেশমগুটি উৎপাদনের পরিমাণ ১০ লক্ষাধিক কেজি বৃদ্ধি পেয়েছে; উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসরকারি সংস্থা রেশম উৎপাদন কার্যক্রমে জড়িত হয়েছে এবং এর ফলে গ্রামীণ দরিদ্রদের কর্মসংস্থান বেড়েছে। বোর্ডের সহায়তায় দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক রেশম কারখানা গড়ে উঠেছে এবং রেশম উৎপাদনে ১১ হাজারেরও অধিক ব্যক্তি প্রশিক্ষণ পেয়েছে।
[মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম]
আরও দেখুন তুঁত; বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট; রেশমপোকা।