ইতিহাস একাডেমী
ইতিহাস একাডেমী ইতিহাস গবেষকদের একটি সংগঠন। ২০০১ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়, এবং নিবন্ধিত হয় ২০০৫ সালে। প্রবীন নবীন শিক্ষক, অনুসন্ধিৎসু শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বিজ্ঞানসম্মত ও প্রাতিষ্ঠানিক ইতিহাস চর্চা ও গবেষণার নতুন দিক নির্দেশনা প্রদান ইতিহাস একাডেমীর উদ্দেশ্য।
দেশ ও দেশের বাইরের গবেষকদের নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্র তৈরীতে একাডেমী প্রতি বছর ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করে আসছে। একাডেমী ইতিহাস বিষয়ের ওপর সেমিনার ও সম্মেলন ছাড়াও গবেষণা পদ্ধতি বিষয়ক ওয়ার্কসপের আয়োজন এবং ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ক গবেষণামূলক পত্রিকা ও পুস্তক প্রকাশে অবদান রেখেছে। একাডেমী ইতিহাস : সমকালীন ঐতিহাসিকদের কলমে ’শিরোনামে ২০০৩ সালে প্রথম জার্নাল প্রকাশ করে। ২০০৯ সাল থেকে ইতিহাস প্রবন্ধমালা শিরোনামে একাডেমীর উদ্যেগে নিয়মিত জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে। এছাড়াও একাডেমী থেকে ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ক কিছু আকর গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে। এসব গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে - ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার রাজনৈতিক অর্থনৈতিক উৎস, সোমপুর মহাবিহারের পোড়ামাটির ফলকে জীব বৈচিত্র্য এবং The Early History of South East Bengal. একাডেমী বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্য, স্থাপত্য, প্রত্নতত্ত্ব ও শিল্পকলা, নারীবাদ, নারী আন্দোলন, জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা-সাহিত্য, দর্শন, ইতিহাস, ধর্ম ও রাজনীতি এবং সংস্কৃতি বিষয়ের ওপর গবেষণায় প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
একটি নির্বাহী কমিটি কর্তৃক ইতিহাস একাডেমীর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। নির্বাহী কমিটিতে রয়েছে একজন সভাপতি, একজন পরিচালক, পাঁচজন সহসভাপতি, একজন সচিব, একজন সহকারি সচিব, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং পনেরো জন সদস্য।
ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহী যেকোন স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী ব্যক্তি একাডেমীর সদস্যপদ লাভ করতে পারেন। ইতিহাস একাডেমীর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত। [ফজিলাতুন নেছা]