গোদরোগ

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২০:২২, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

গোদরোগ (Filariasis)  Wuchereria bancrofti, Brugia malayi ও Brugia timori পরজীবী ঘটিত মশাবাহিত ব্যাধি। শরীরের বিভিন্ন ধরনের কোষে, লসিকা নালিতে, লসিকা গ্রন্থিতে এবং রক্তে ফাইলেরিয়া কৃমির উপস্থিতির কারণে সৃষ্ট দীর্ঘস্থায়ী এক রোগ। পরিণত কৃমি মেরুদন্ডী প্রাণীতে বাস করে। সাধারণভাবে, স্ত্রী কৃমি জন্ম দেয় মাইক্রোফাইলেরিয়া লার্ভা যা একসময় শরীরের রক্তপ্রবাহে বা লসিকা নালিতে পৌঁছয়। সেখান থেকে এগুলি সাধারণত রক্ত শোষণকারী মশার শরীরে প্রবেশ করে। মাইক্রোফাইলেরিয়া লার্ভা মাধ্যমিক পোষকে র‌্যাবডিটয়েড লার্ভায় পরিণত হয়। পরবর্তীতে এটি রূপান্তরিত হয়ে ফাইলেরিয়ার লার্ভায় পরিণত হয়। এটি মশার শুঁড়ের মধ্য দিয়ে বের হয়ে এক সময় পোষক মেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে চামড়ার উপরে বা ভেতরে জমা হয়।

পরিণত ক্রিমি লসিকা নালিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে বিশেষ করে যদি এরা একত্রে দল বেঁধে থাকে অথবা মরে যায় কিংবা দেহের বিভিন্ন অংশ খন্ডিত হয়ে যায়। পোষকের দেহের রক্তে লার্ভা অবস্থান করলেও অনেক সময় তা পরিণত কৃমিতে রূপান্তরিত হয় না। সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতার ফলে শরীরের উপরিভাগের লসিকানালি এবং লসিকা গ্রন্থিগুলি ফুলে যায় এবং লসিকানালি অবরুদ্ধ হয়ে ওঠে। এ রোগে দেহের বিশেষ বিশেষ স্থানের কলা ব্যাপকভাবে পুরু এবং শক্ত হয়ে যায়। পা এবং অন্ডকোষ (scrotum) সাধারণত আক্রান্ত হয়। মারাত্মকভাবে আক্রান্ত রোগীর পা হাতির পায়ের ন্যায় (Elephantiasis) ফুলে যেতে পারে।  বাংলাদেশে এ রোগ মূলত দেখা যায় উওরাঞ্চলে।  [মু. সায়ীদুর রহমান]