মাহমুদ, আল
মাহমুদ, আল (১৯৩৬-২০১৯) একজন প্রথিতযশা কবি। বিশ শতকের বাংলা সাহিত্যে তিনি এক প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিভা। আধুনিক বাংলা কবিতার নগরকেন্দ্রিক প্রেক্ষাপটে ভাটি বাংলার জনজীবন, গ্রামীণ আবহ, নদীনির্ভর জনপদ, চরাঞ্চলের জীবনপ্রবাহ এবং নরনারীর চিরন্তন প্রেম-বিরহ তাঁর কবিতার বিশেষ উপাদান। তাঁর কবিভাষা লোকজ জীবনকেন্দ্রিক। কথাসাহিত্যেও রয়েছে তাঁর অসামান্য অবদান। সাহিত্যচর্চার প্রথম দিকে সমাজতন্ত্রের প্রতি ভীষণভাবে আস্থাশীল ছিলেন। ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়সে তাঁর কবিতায় বিশ্ব¯্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস উৎকীর্ণ হতে থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে প্রকাশিত সরকারবিরোধী একমাত্র পত্রিকা দৈনিক গণকণ্ঠ-এর সম্পাদক হিসেবে তিনি সুপরিচিত।
আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ই জুলাই বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মীর আবদুর রব। মাতা রওশন আরা মীর। রব ও রওশন পরস্পর চাচাতো ভাই-বোন ছিলেন। মীর আবদুর রব সংগীত-অনুরাগী ছিলেন। পিতামহ মীর আবদুল ওহাব ছিলেন কবি। জারি গান লিখতেন। আরবি-ফার্সি ভাষায় সুণ্ডিত ছিলেন। সংস্কৃত ভাষাও জানতেন। আবদুল ওহাব স্থানীয় স্কুলে শিক্ষকতা ও কেরানির চাকরি করতেন।
আল মাহমুদ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, পাকিস্তান-আন্দোলন, ভারত উপমহাদেশের বিভাজন এবং নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানের ভাষা-আন্দোলনের প্রবল প্রবাহের সময়ে শৈশব-কৈশোর অতিক্রম করেছেন। নতুন দেশের জন্য অফুরন্ত আশা আর আশাভঙ্গের দারুণ হতাশার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছেন তিনি। শৈশবে পারিবারিক ইসলামি ঐতিহ্যে লালিত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাগরিক ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক আবহ, বিশেষ করে, লালমোহন পাঠাগারকেন্দ্রিক বামচিন্তাধারা ও বৈপ্লবিক চেতনা এবং জগতপুরের স্কুলজীবনে নির্মল প্রকৃতির প্রভাব তাঁর কল্পনা ভুবনে সৃজনশীলতার বীজ বপন করে। যৌবনের শুরুতে দেখেছেন স্বাধিকারের স্বপ্ন-ঘেরা এটি জাতির প্রস্তুতিকাল।
১৯৪২ সালে দাদি বেগম হাসিনা বানু মীরের কাছে বর্ণপাঠ দিয়ে শিক্ষাজীবন শুরু। তাঁর কাছ থেকেই বিশাল বৈচিত্র্যময় আকাশের বিস্তার অবলোকনের প্রথম পাঠ গ্রহণ। ওই সময়ে মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছ থেকে গ্রহণ করেন ধর্মীয় শিক্ষা। ১৯৪৩-৪৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এম. ই স্কুলে ২য় থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। ১৯৪৮ সালে ৬ষ্ঠ জর্জ হাইস্কুলে পড়েছেন ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত। ৮ম শ্রেণিতে পড়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দির জগতপুরে সাধনা হাইস্কুলে। তারপর তিনি ভর্তি হন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড হাইস্কুলে। ১৯৫২ সালে ভাষা-আন্দোলনের সময় তিনি নিয়াজ মোহাম্মদ হাইস্কুলে ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
১৯৫৪ সালে কবি আল মাহমুদ দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে সাপ্তাহিক কাফেলা পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫৭-৬২ সালে তিনি ড্রেজার ডিভিশনে গেজ রিডার পদে এবং লাইফবয় সাবানের সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করেন। ১৯৬৩ সালে দৈনিক ইত্তেফাক-এ প্রুফ রিডার পদে যোগ দেন। পরে তাঁকে জুনিয়র সাব এডিটর এবং মফস্বল সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৬৮ সালে ইত্তেফাক প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গেলে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সৈয়দ আলী আহসানের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়ে আর্ট প্রেসে প্রকাশনা তদারকির কাজ করেন এবং চট্টগ্রামের প্রখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা 'বইঘর'-এর প্রকাশনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালে পুনরায় ইত্তেফাক চালু হলে তিনি সহ-সম্পাদক পদে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ইত্তেফাক কার্যালয় গুড়িয়ে দিলে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডে মুজিবনগর সরকারের প্রতিরক্ষা বিভাগের জুনিয়র স্টাফ অফিসার পদে যোগ দেন। ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাসদ-এর মুখপত্র এবং সরকারবিরোধী একমাত্র পত্রিকা দৈনিক গণকণ্ঠ-এর সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন। ১৯৭৪ সালের মার্চে কারাবরণ করেন। প্রায় ১ বছর কারাভোগের পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালে মুক্তি পান। কারামুক্তির কয়েকদিন পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ লাভ করেন। কারাবাসের সময়ে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব পঠন-পাঠনের ফলে তাঁর চিন্তাজগতে পরিবর্তন ঘটে। নাস্তিকতার পথ থেকে আস্তিকতার দিকে ফিরে আসেন। ১৯৯৩ সালের ১০ জুলাই তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ওই বছরই তিনি দৈনিক সংগ্রাম-এ সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দিয়ে সাংবাদিকতা পেশায় প্রত্যাবর্তন করেন। একই সময়ে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক কর্ণফুলি পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
আল মাহমুদের প্রথম প্রকাশিত রচনা ছিল একটি ছোটগল্প। তারপর ভাষা-আন্দোলন কমিটির একটি লিফলেটে ৪ পংক্তির কবিতা ছাপা হয়। ১৯৫৪ সালে তাঁর ১৮ বছর বয়স থেকে ঢাকা ও কলকাতার স্বনামধন্য পত্রিকায় কবিতা প্রকাশ পেতে থাকে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল পত্রিকা এবং কলকাতার নতুন সাহিত্য, চতুষ্কোণ, ময়ুখ ও কৃত্তিবাস ও বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায় লেখালেখির সুবাদে ঢাকা-কলকাতার পাঠকদের কাছে তাঁর নাম পরিচিত হয়ে ওঠে এবং তাঁকে নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়। তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: কবিতা- লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৭৩), মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো (১৯৭৬), অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না (১৯৮০), বখতিয়ারের ঘোড়া (১৯৮৫), আরব্য রজনীর রাজহাঁস (১৯৮৭), প্রহরান্তে পাশফেরা (১৯৮৮), একচক্ষু হরিণ (১৯৮৯), মিথ্যাবাদী রাখাল, (১৯৯৩), আমি দূরগামী (১৯৯৪), হৃদয়পুর (১৯৯৫), দোয়েল ও দয়িতা, (১৯৯৬), দ্বিতীয় ভাঙন (২০০০), নদীর ভিতরে নদী (২০০১), উড়ালকাব্য (২০০৩), না কোনো শূন্যতা মানি না (২০০৪), বিরামপুরের যাত্রী (২০০৫), তোমার জন্য দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী (২০০৫), তুমিই তৃষ্ণা তুমিই পিপাসার জল (২০০৭), সেলাই করা মুখ (২০০৮), পিপাসার বালুচরে (২০০৮), প্রেমপত্র পল্লবে (২০০৯), তোমার রক্তে তোমার গন্ধে (২০১১), পাখির কথায় পাখা মেললাম (২০১২), ইতিহাস দেখো বাঁক ঘুরে গেছে ফের ইতিহাসে (২০২০); মহাকাব্য'- এ গল্পের শেষ নেই শুরুও ছিল না (২০২০); শিশু-কিশোর সাহিত্য (ছড়া/কবিতা)- পাখির কাছে ফুলের কাছে (১৯৮০), একটি পাখি লেজ ঝোলা (২০০০), মোল্লাবাড়ীর ছড়া (২০০৫), ফড়িং ধরার গল্প (২০১১), নেবু ফুলের গন্ধে (২০২০), আমার নামে ডাকছে পাখি (২০২০); ছোটগল্প- পানকৌড়ির রক্ত (১৯৭৫), সৌরভের কাছে পরাজিত (১৯৮২), গন্ধবণিক (১৯৮৮), ময়ূরীর মুখ (১৯৯৪), নদীর সতীন (২০০৪), ছোট-বড় (২০০৫), চারপাতার প্রেম (২০০৯), সপ্তর্ষী (২০১৪), জলবেশ্যা ও তাহারা (২০১৫), প্রিয় পঞ্চমী (২০১৬); উপন্যাস- ডাহুক (১৯৯২), কাবিলের বোন (১৯৯৩), উপমহাদেশ (১৯৯৩), কবি ও কোলাহল (১৯৯৩), পুরুষ সুন্দর (১৯৯৪), নিশিন্দা নারী (১৯৯৫), আগুনের মেয়ে (১৯৯৫), যে পারো ভুলিয়ে দাও (১৯৯৫), পুত্র (২০০০), চেহারার চতুরঙ্গ (২০০১), কলঙ্কিনী জ্যোতির্বলয় (২০০৩), ধীরে খাও অজগরী (২০০৪), যে যুদ্ধে কেউ জেতেনি (২০০৬), তুহিন তামান্না উপাখ্যান (২০০৭), তুষের আগুন (২০০৮), জীবন যখন বাঁক ঘোরে (২০১৮), সহোদরা (২০২০), রাগিনী (২০২০); কিশোর উপন্যাস- মরু মুষিকের উপত্যকা (১৯৯৫); আত্মজীবনী- যেভাবে বেড়ে উঠি (১৯৯৭), বিচূর্ণ আয়নায় কবির মুখ (২০০৭); প্রবন্ধ- দিনযাপন (১৯৯০), কবির আত্মবিশ্বাস (১৯৯১), নারী নিগ্রহ (১৯৯৭), কবিতার জন্য বহুদূর (১৯৯৭), কবিতার জন্য সাত সমুদ্র (১৯৯৯), কবির সৃজন বেদনা (২০০৫), সময়ের সাক্ষী (২০০৫), মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) (১৯৮৯), দশ দিগন্তে উড়াল (২০০৯), কবির কররেখা (২০০৯), বারো মাস তেরো পার্বন (২০০৮), কবির মুখ (২০১৫); সম্পাদনা- কাফেলা (১৯৫৫-৫৬), দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-৭৫), আহত কোকিল (১৯৭৭), শিল্পকলা (১৯৮০), আফগানিস্তান আমার ভালোবাসা (১৯৮৩), দৈনিক কর্ণফুলী (১৯৯৫-২০০৪), সঙ্গীত সিরিজ-১ (গুল মোহাম্মদ খানা, কানাইলাল শীল, ফুলঝুরি খান) ইত্যাদি।
আল মাহমুদ ১৯৮০ সালে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ ও ১৯৮৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশীয় কবিতা সম্মেলনের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ও সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় নাগরিক ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া প্রায় ৭ দশক ধরে তিনি সমাজ-সাহিত্য-সংস্কৃতি-রাজনীতি বিষয়ক সভা-সমিতি-সেমিনারে নিয়মিতভাবে যোগদান করে বক্তৃতা ও মতামত প্রকাশ করে জাতীয় ভাবধারা ও অগ্রগতিতে অবদান রেখেছেন।
১৯৭৮ সালে কবি আল মাহমুদ তৃতীয় বিশ্বগ্রন্থমেলায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। আশির দশকে ভারতের ভূপালে এশীয় কবিতা সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি একাধিকবার ভারতের দিল্লি এবং কলকাতার আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালে ব্রিটিশ সরকারের আমন্ত্রণে ওল্ডহ্যাম সিটিতে একটি সাহিত্যানুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০০৫ সালে PEN International-এর বাংলাদেশের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রচনা ইংরেজি, ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
সাহিত্যচর্চার জন্য কবি ও কথা নির্মাতা আল মাহমুদ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- 'বাংলা একাডেমি' পুরস্কার (১৯৬৮), 'জয়বাংলা সাহিত্য' পুরস্কার (১৯৭২), 'হুমায়ুন কবির স্মৃতি' পুরস্কার (১৯৭৪), 'জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি' পুরস্কার (১৯৭৪), 'সুফী মোতাহার হোসেন সাহিত্য' স্বর্ণপদক (১৯৭৬), 'বাংলাদেশ লেখক সংঘ' পুরস্কার (১৯৮০), 'বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ' পুরস্কার (১৯৮১), 'শিশু একাডেমি' (অগ্রণী ব্যাংক) পুরস্কার (১৯৮১), 'আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি সাহিত্য' পুরস্কার (১৯৮৩), 'অলক্ত সাহিত্য' পুরস্কার (১৯৮৩), 'কাফেলা সাহিত্য' পুরস্কার (কলকাতা, ১৯৮৪), 'হুমায়ুন কাদির স্মৃতি' পুরস্কার (১৯৮৪), 'একুশে পদক' (১৯৮৬), 'ফিলিপ্স সাহিত্য' পুরস্কার (১৯৮৭), 'নাসিরউদ্দিন' স্বর্ণপদক (১৯৯০), 'ফররুখ স্মৃতি' পুরস্কার (১৯৯৫), 'মুক্তিযুদ্ধ পদক' (১৯৯৭), BJWA of America (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৯৮), 'কিশোরকণ্ঠ সাহিত্য' পুরস্কার (২০০২), 'অগ্রদূত গুণীজন' পুরস্কার (২০০২), 'নতুনগতি সাহিত্য' পুরস্কার (কলকাতা, ২০০৩), 'জাতীয় মঙ্গলপদক' (২০০৩), 'ঢাকা পোস্ট' স্বর্ণপদক (২০০৪), 'শিশু একাডেমি' পুরস্কার (২০০৫) প্রভৃতি।
আল মাহমুদ ২০১৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। [ফজলুল হক সৈকত]
তথ্যসূত্র আল মাহমুদ, যেভাবে বেড়ে উঠি, ঢাকা: অনন্যা, দ্বিতীয় সংস্করণ ২০১১; আল মাহমুদ, বিচূর্ণ আয়নায় কবির মুখ, ঢাকা: একুশে বাংলা প্রকাশন, ২০০৭; ওমর বিশ্বাসস (সম্পা.), চাঁড়–লিয়া, ১ম বর্ষ ৩য় সংখ্যা (আল মাহমুদ সংখ্যা), জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর, ঢাকা, ২০০১; খন্দকার আবদুল মোমেন (সম্পা.), প্রেক্ষণ, ৬ষ্ঠ মুর্দ্রণ (আল মাহমুদ সংখ্যা), জুলাই-সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর-ডিসেম্বর, ঢাকা, ২০০৭।