আমিনা বেগম

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৮:০৬, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

আমিনা বেগম  নওয়াব আলীবর্দী খানের কনিষ্ঠা কন্যা। তাঁর বিয়ে হয়েছিল হাজী আহমদের কনিষ্ঠ পুত্র জৈনউদ্দীনের সঙ্গে। তাদের পুত্রদ্বয় সিরাজউদ্দৌল্লা ও মির্জা মেহেদী ইকরামউদ্দৌলা। বিদ্রোহী আফগান নেতাগণ পাটনার তৎকালীন নায়েব সুবাহদার জৈনউদ্দীনকে হত্যা করে আমিনা বেগমকে তার দুছেলেসহ বন্দি করে। আলীবর্দী খান বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান করে তাদেরকে মুক্ত করেন।

আমিনা বেগম তাঁর বড় বোন ঘসেটি বেগমের মতো তেমন রাজনৈতিক গুরুত্ব লাভ করেন নি। পলাশীর যুদ্ধের (১৭৫৭) পর  মীরজাফর আলী খান ও তার পুত্র মীরন, আলীবর্দী খান ও সিরাজউদ্দৌলার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অত্যন্ত নির্মম আচরণ করেন। মীরজাফর সিরাজের স্ত্রী লুৎফুন্নেসা বেগম, মা আমিনা বেগম, প্রয়াত নওয়াব আলীবর্দীর বিধবা স্ত্রী শরীফুন্নেছা ও অন্যান্য সম্ভ্রান্ত মহিলাদের বন্দি করেন। আলীবর্দীর বড় মেয়ে ঘসেটি বেগম যদিও মীরজাফকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছিলেন, তবুও তাঁকে বাদ দেওয়া হয়নি।

এদের সকলকে নৌকাযোগে জাহাঙ্গীরনগরে (ঢাকা) পাঠানো হয় এবং সেখানে তাদের অন্তরীণ রাখা হয় (১৭৫৮)। ১৭৬০ সালে মীরজাফরের ছেলে মীরন তাদেরকে মুর্শিদাবাদ নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়ে তার একজন অনুচরকে জাহাঙ্গীরনগর পাঠান। তাদের সবাইকে একটি নৌকায় তুলে মীরনের প্ররোচনায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নৌকাটি বুড়িগঙ্গায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়। ফলে আমিনা বেগমসহ সকলেই জলমগ্ন হয়ে সলিল-সমাধি লাভ করেন।  [কে.এম করিম]