রজন

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৫:০৭, ৮ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

রজন (Resin)  ঔষধ, বার্নিশ ও প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহার্য কতিপয় উদ্ভিদের নিঃসৃত পদার্থ। তরল হিসেবে নিঃসৃত রজন বাতাসে এসে জারণের ফলে কঠিন আকার ধারণ করে। এগুলির অধিকাংশই হালকা হলুদ রঙের কঠিন পদার্থ, পানিতে অদ্রাব্য, কিন্তু অ্যালকোহল, তার্পিন ও স্পিরিটে দ্রাব্য। তার্পিন পাইনগাছ থেকে সংগৃহীত আরেক ধরনের অলিওরজন (oleoresin)। বাংলাদেশে ডামরজাতীয় অনেক রজনপ্রদায়ী গাছ আছে। Hopea odorata ও Shorea robusta গাছ থেকে সংগৃহীত রজন বার্নিশ ও ধুনা তৈরিতে ব্যবহূত হয়। Dipterocarpus alatus, D. indicus, এবং D. turbinatus গাছের কান্ড থেকে নিঃসৃত পুরু ও অস্বচ্ছ অলিওরজন বার্নিশ ও লিথোগ্রাফিক কালি তৈরির উপাদান। এটি কাঠের বার্নিশেও লাগে। বিশ শতকের আগ পর্যমত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে অলিওরজন উৎপন্ন হতো। উত্তরাঞ্চলের জেলাসমূহে বাণিজ্যিকভাবে লাক্ষা উৎপন্ন হয়। লাক্ষা লাক্ষাকীটের উৎপন্ন পদার্থ। কীটগুলি গাছের রস থেকে খাদ্য পায় এবং এক পর্যায়ে রজন নিঃসরণ করে। Tachardia lacca নামক লাক্ষাকীট চাষের জন্য নির্বাচিত কয়েক ধরনের পোষক গাছের মধ্যে রয়েছে পলাশ (Butea monosperma), বাবলা (Acacia nilotica), অড়হড় (Cajanus cajan), বরই (Zizyphus mauritiana) ইত্যাদি। বৈদ্যুতিক কারখানায় ইনস্যুলেটর তৈরিতে ও মানসম্পন্ন বার্নিশ প্রস্ত্ততে লাক্ষা ব্যবহূত হয়।  [মোস্তফা কামাল পাশা]

আরও দেখুন লাক্ষাকীট