মিটামইন উপজেলা
মিটামইন উপজেলা (কিশোরগঞ্জ জেলা) আয়তন: ২২২.৯২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°২২´ থেকে ২৪°৩০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°০০´ থেকে ৯১°১৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ইটনা ও আজমিরিগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে অষ্টগ্রাম উপজেলা, পূর্বে বানিয়াচং ও অষ্টগ্রাম উপজেলা, পশ্চিমে করিমগঞ্জ ও নিকলি উপজেলা।
জনসংখ্যা ১২২২০০; পুরুষ ৬৩২৩২, মহিলা ৫৮৯৬৮। মুসলিম ১১২৭৬৭, হিন্দু ৯৩১২ এবং অন্যান্য ১২১।
জলাশয় প্রধান নদী: ধনু ও কালাই। বড়গোপ বিল, গজারিয়া বিল, দেওদরি বিল, শ্রীঘর বিল, রতি বিল ও নিকলি বিল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন মিটামইন থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
- | ৭ | ৫৯ | ১৩৩ | ১২৪৫০ | ১০৯৭৫০ | ৫৪৮ | ৫১.৬ | ২৯.৫ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
৯.১৫ | ১ | ১২৪৫০ | ১৩৬১ | ৫১.৬ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
কেওড়জরি ৬৭ | ৭৪০৯ | ৭০৯২ | ৬৬২৬ | ৩৬.০০ | ||||
খাটখাল ৫৪ | ৫১৯১ | ৭৭১২ | ৭১৭৮ | ২৩.৪৮ | ||||
গোপদীঘি ৪০ | ৯৫১৪ | ১০৬৮৬ | ১০০৭৫ | ৩০.৫০ | ||||
ঘাগড়া ২৭ | ৭৫০৮ | ১১৫৩৫ | ১০৯১৫ | ২৯.৫৫ | ||||
বৈরাতি | ৩৬৭৬ | ৪৫৮৪ | ৪২৬৬ | ৩৫.৭১ | ||||
ঢাকি ১৩ | ১০৭৬৭ | ১০৭৯৬ | ১০৪০০ | ৩১.৭০ | ||||
মিটামইন ৮১ | ৯০০৫ | ১০৮২৭ | ৯৫০৮ | ৪২.৫৫ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের ১ নভেম্বর পাকসেনারা এ উপজেলার ধুবাজুরা গ্রামের ১৮ জন এবং তেলিখাই গ্রামের ৩ জনকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন বধ্যভূমি ১ (বয়রা)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১০৫, মাযার ৩, মন্দির ১৭, আখড়া ৩। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: হযরত শাহ তমিজ উদ্দিনের (রঃ) মাযার, মালিকের দরগা, দিল্লীর আখড়া, ঘাগড়া গোধর গোস্বামীর আখড়া।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ১৫.৬%; পুরুষ ২০.৭%, মহিলা ১০.২%। কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৬, কমিউনিটি বিদ্যালয় ১০, মাদ্রাসা ২৫।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১, ক্লাব ৩০।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৮২.৪৮%, অকৃষি শ্রমিক ২.৩২%, শিল্প ০.২০%, ব্যবসা ৭.২৬%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ০.২৪%, চাকরি ২.৩৩%, নির্মাণ ০.৫৬%, ধর্মীয় সেবা ০.২১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২০% এবং অন্যান্য ৪.২০%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬০.৩৪%, ভূমিহীন ৩৯.৬৬%। শহরে ৬৩.৩৩% এবং গ্রামে ৬০% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, সরিষা, আলু, খিরাই, চীনাবাদাম, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি তিল, তিসি, কাউন।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার গবাদিপশু ২২, হাঁস-মুরগি ২৬।
যোগাযোগ বিশেষত্ব আধাপাকা রাস্তা ১.৩ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৬৫ কিমি; নৌপথ ৩৫ নটিক্যাল মাইল।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।
শিল্প ও কলকারখানা বরফকল, বেকারি।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, মৃৎশিল্প, লৌহশিল্প, কাঠের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১১। মিটামইন বাজার, গোপদীঘি বাজার ও ঢাকি বাজার উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, চীনাবাদাম, আলু, খিরাই।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১০.৯৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯০.৩৫%, পুকুর ২.৮৫%, ট্যাপ ০.২৪% এবং অন্যান্য ৬.৫৬%। এ উপজেলার ২০.৫০% অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৯.০৪% (গ্রামে ৭.০৮% ও শহরে ২৬.৩৮%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৮৩.৩৭% (গ্রামে ৮৫.০৮% ও শহরে ৬৮.১৮%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। তবে ৭.৫৯% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২, কমিউনিটি ক্লিনিক ১৪।
এনজিও প্রশিকা, আশা। [মোকাররম হোসেন শোকরানা]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মিটামইন উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।