উত্তরখান থানা
উত্তরখান থানা (ঢাকা মেট্রোপলিটন) আয়তন: ২০.০৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৫০´ থেকে ২৩°৫৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২৪´ থেকে ৯০°২৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে টঙ্গী খাল ও গাজীপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে খিলক্ষেত ও দক্ষিণখান থানা, পূর্বে বালু নদী ও কালীগঞ্জ (গাজীপুর) উপজেলা, পশ্চিমে গাজীপুর সদর উপজেলা ও দক্ষিণখান থানা।
জনসংখ্যা ৫২০১৪, পুরুষ ২৭২৫৪; মহিলা ২৪৭৬০। মুসলিম ৪৯৪৮৮, হিন্দু ২১১৪, বৌদ্ধ ৪০৮ এবং অন্যান্য ৪।
জলাশয় বালু প্রধান নদী ও টঙ্গী খাল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন ২০০৬ সালে ১টি ইউনিয়ন ও ১৪টি মৌজা নিয়ে উত্তরখান থানা গঠিত হয়। উত্তরখান ইউনিয়নের নামানুসারে এই থানার নামকরণ করা হয়েছে।
থানা | ||||||
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন | মহল্লা | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||
১ | ১৪ | - | ৫২০১৪ | ২৫৯০ | - | ৬৪.৫৮ |
ইউনিয়ন | ||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (বর্গ কিমি) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |
পুরুষ | মহিলা | |||
উত্তরখান ইউনিয়ন ৭৬ | ২০.০৯ | ২৭২৫৪ | ২৪৭৬০ | ৬৪.৫৮ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ কবির শাহ মাযার।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৬১, মন্দির ৫, গীর্জা ২।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬৪.৫৮%; পুরুষ ৬৮.৯৮%, মহিলা ৫৯.৭৭%। কলেজ ২, উচ্চ বিদ্যালয় ৬, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৯, মাদ্রাসা ১২।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সংগীত একাডেমি ১, খেলার মাঠ ৩।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ১২.৫৭%, কৃষি শ্রমিক ৪.৪০%, অকৃষি শ্রমিক ২.৯০%, শিল্প ০.৯৫%, ব্যবসা ২৫.৫০%, পরিবহন ৬.৫৬%, নির্মাণ ৪.৭৫%, চাকরি ২৬.৫৮%, ধর্মীয় সেবা ০.১৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিট্যান্স ২.০৬% এবং অন্যান্য ১৩.৬০%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৪৯.৪৬%, ভূমিহীন ৫০.৫৪%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসল পাট।
প্রধান ফল-ফলাদিব আম, কাঁঠাল, জাম, পেয়ারা।
গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার গবাদিপশু ১, হাঁস-মুরগি ৪০।
যোগাযোগ বিশেষত্ব মোট সড়ক ৩২.৭৯ কিমি; খেয়াঘাট ৫।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পালকি।
শিল্প ও কলকারখানা রাসায়নিক কারখানা ৩, পোশাক শিল্প ১৬, অন্যান্য ১২।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৫, মেলা ৫।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য তৈরি পোশাক।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবক‘টি ইউনিয়ন বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৮৯.১৭% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস ট্যাপ ৯.০১%, নলকূপ ৮৮.৭৬%, পুকুর ০.২১% এবং অন্যান্য ২.০২%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা ৮৪.৪৪% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১৪.০১% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১.৫৫% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১।
এনজিও ব্র্যাক, আশা। [শরীফ খুরশীদ আলম]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; উত্তরখান থানা মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০০৮।