পাথরঘাটা উপজেলা
পাথরঘাটা উপজেলা (বরগুনা জেলা) আয়তন: ৩৮৭.৩৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৫৮´ থেকে ২২°১৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৩´ থেকে ৯০°০৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে মঠবাড়ীয়া ও বামনা উপজেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে বরগুনা সদর উপজেলা ও বিশখালী নদী, পশ্চিমে শরণখোলা উপজেলা ও হরিণঘাটা নদী।
জনসংখ্যা ১৬২০২৫; পুরুষ ৮২৬৮৭, মহিলা ৭৯৩৩৮। মুসলিম ১৪৩৪৬৬, হিন্দু ১৮৪৬৪, বৌদ্ধ ১৮, খ্রিস্টান ২১ এবং অন্যান্য ৫৬।
জলাশয় বিশখালী, হরিণঘাটা ও বলেশ্বরী নদী উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন পাথরঘাটা থানা গঠিত হয় ১৯২৫ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮২ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
১ | ৭ | ৪২ | ৬৬ | ২৪৪৮৮ | ১৩৭৫৩৭ | ৪১৮ | ৬৭.৪ | ৬২.৪ |
পৌরসভা | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | মহল্লা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |||
১৩.১১ | ৯ | ৯ | ১৪২৭৫ | ১০৮৯ | ৭১.১ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
১৩.৯৫ | ৩ | ১০২১৩ | ৪৫৫ | ৬২.১ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
পাথরঘাটা ৭১ | ১২৫২১ | ১৪৫৩৪ | ১৩৭৫০ | ৬৪.৫৬ | ||||
কালমেঘা ৩৫ | ১২৪৩১ | ১৩০২১ | ১৩০৫৯ | ৬২.২৫ | ||||
কাকচিড়া ২৩ | ৬৫১৯ | ১০০০৬ | ৯৮৮২ | ৬০.২০ | ||||
রায়হানপুর ৮৩ | ৬১১৪ | ৭৭২৪ | ৭৭৭২ | ৫৭.৭৯ | ||||
চরদুআনি ১১ | ৮৯২১ | ১২৩৮৫ | ১১৬৬৪ | ৫৯.৫২ | ||||
কাঁঠালতলী ৪৭ | ৫৭৯৩ | ৯৭৯৯ | ৯৭২০ | ৬৪.৭১ | ||||
নাচনাপাড়া ৫৯ | ৫৫৫১ | ৭৪১৫ | ৭০১৯ | ৬৭.৮৭ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৪৪৩, মন্দির ৫৬।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬৩.২%; পুরুষ ৬৩.৯%, মহিলা ৬২.৪%। কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৪। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পাথরঘাটা কেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৯)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী সংকল্প সংলাপ (নিয়মিত), পাথরঘাটা বার্তা (অবলুপ্ত)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রে্রি ১, ক্লাব ৩৫, মহিলা সংগঠন ৭, সিনেমা হল ৫।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬০.৩%, অকৃষি শ্রমিক ৩.৮৭%, শিল্প ০.৫৫% ব্যবসা ১৫.৮৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.২১%, চাকরি ৬.৪২%, নির্মাণ ১.৪৬%, ধর্মীয় সেবা ০.১৯%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৫% এবং অন্যান্য ৮.৮৭%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, আলু, খেসারি, মুগ, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি মিষ্টি আলু, ফুটি, তরমুজ, তিল, তামাক।
প্রধান ফল-ফলাদি কাঁঠাল, পেঁপে, কলা, আনারস, কাগজিলেবু।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৬১, গবাদিপশু ৬, হাঁস-মুরগি ১০।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।
শিল্প ও কলকারখানা স’মিল, ধানকল, বরফকল, ওয়েল্ডিং কারখানা।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, সূচিশিল্প, বাঁশ ও কাঠের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৬। পাথরঘাটা, কাকচিড়া, রূপদোন, হরিণঘাটা এবং চরদুআনি বাজার উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, ইলিশ মাছ, চিংড়ি পোনা।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৫.৪৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৮১.৩৪%, ট্যাপ ১৫.৭৬%, পুকুর ১.৭৫% এবং অন্যান্য ১.১৫%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৪৭.৬৪% (গ্রামে ৪৪.০২% ও শহরে ৬৭.৬৩%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪৬.৬৬% (গ্রামে ৪৯.৮২% ও শহরে ২৯.২৪%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৫.৭% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৫, ক্লিনিক ১।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর জলোচ্ছ্বাসে এবং ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর টর্নেডোতে উপজেলায় ৪ শতাধিক প্রাণহানির ঘটনাসহ ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এনজিও আশা, কারিতাস, ব্র্যাক, প্রশিকা। [সফিউদ্দিন আহমেদ]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; পাথরঘাটা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।