নদীখাত

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৯:২৯, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

নদীখাত (Channel)  গঠনপ্রকৃতি ভেদে প্রণালী তিন ধরনের হতে পারে- ক) নদী গর্ভ খ) সমুদ্রের প্রশস্ত দুটি অংশকে সংযোগকারী দুপাশ থেকে ভূখন্ড দিয়ে আবদ্ধ সমুদ্রের তুলনামূলক সরু অংশবিশেষ এবং গ) উপসাগরের নৌচলাচলযোগ্য গভীর অংশ, পোতাশ্রয় ইত্যাদি। প্রথম ধরনের প্রণালী সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে বিস্তর দেখা যায়। উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের নদী প্রণালীকে বিভিন্ন ভিত্তিতে শ্রেণিবিভাগ করা যায়; যেমন- জালিকার অঙ্গসংস্থানিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত, নদীগর্ভ ও তীরের বৈশিষ্ট্যগত সম্পর্ক, পাললিক ও জলজ প্রক্রিয়া, অঙ্গসংস্থান প্রণালী বা এর ধারা, অথবা প্রণালীর স্থিতিশীলতা। প্রণালী বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের নদীগুলিকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা যায় যথা- ক) সর্পিল খ) চরোৎপাদী এবং গ) বিন্ধনি নদী পদ্মা ও মেঘনা সর্পিলাকার, যমুনা হলো চরোৎপাদী এবং বদ্বীপ সৃষ্টিকারী নদীর মোহনা হলো বিন্ধনি নদীর প্রকৃত উদাহরণ। ধরনের প্রণালী উপকূলবর্তী অঞ্চলে দেখা যায় এবং এগুলি নৌচলাচলের জন্য ও মৎস্যক্ষেত্র হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হয়। বাংলাদেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকূলবর্তী প্রণালী হলো- মহেশখালী, কুতুবদিয়া, হাতিয়া, তেঁতুলিয়া এবং সন্দ্বীপ।

নদীখাত হল প্রবাহিত পানির শক্তির ফলে গঠিত একটি সরু বা চওড়া, গভীর বা অগভীর, সোজা বা বাঁকা সুষম ঢাল বিশিষ্ট প্রাকৃতিক পথ যার মধ্য দিয়ে ধীর বা প্রবলবেগে সারা বছর বা স্বল্প সময়ে পানি প্রবাহিত হয়।

নদী তার চলার পথে যদি সামঞ্জস্যপূর্ণ বক্রতার সৃষ্টি করে চলে তবে তাকে সর্পিল নদী বলে। আবার নদী যখন সমভূমি অঞ্চলে তীর ক্ষয় ও নদী খাতে সঞ্চয়ের মাধ্যমে চরের সৃষ্টি করে প্রবাহিত হয় তখন বিন্ধুনি ধরনের নদী খাত দেখা যায়। অনেক সময় এ ধরনের নদীকে চরোৎপাদী নদী হিসেবে অভিহিত করা হয়। [মোহা শামসুল আলম]