অটিজম

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৭:৪৭, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

অটিজম (Autism)  শিশুর বিকাসকালিন তার শারীরিক, সামাজিক ও ভাষা আয়ত্বের অপারগতাজনিত অবস্থা। প্রাথমিক অবস্থায় গৌণ প্রতিয়মান হলেও সাধারণত তিনবৎসর বয়সের আগেই তা প্রকাশ পেয়ে থাকে এবং অটিস্টিক ছেলেদের সংখ্যা মেয়েদের চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি হয়ে থাকে। তাদের কথা শিখতে দেরি হয় এবং আদরযত্নের প্রতি তারা আগ্রহ না দেখিয়ে উদাসীন হয়। তবে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু ধীরে ধীরে তাদের মাতাপিতা বা বিশেষ কোনো ব্যক্তির প্রতি আকর্ষণ (attachment) দেখায়। অনেকে কোনো অর্থহীন বা অন্যের উচ্চারিত কোনো শব্দ বারংবার উচ্চারণ করে। কেহ কেহ কোনো বিশেষ শব্দের প্রতি ভীত হয়। ব্যথায় ও বিপদজনক পরিস্থিতিতে এদের মধ্যে সবাভাবিক সাড়ার (reflex) অনুপস্থিতি  পরিলক্ষিত হয় যদিও তাদের মধ্যে ভাবাবেগের কোনো অভাব দেখা যায় না। অনেককে ছন্দময় শরীর বা শরীরের কোনো অংশ দোলাতে বা হাত তালি দিতে বিভোর দেখা যায়। প্রায় ২৫% শিশু বয়ঃসন্ধিতে খিঁচুনিতে ভোগে। যদিও অটিজমের সঠিক কারণ জানা নেই, মাতৃগর্ভে ব্রেন (brain) এর পরিপূর্ণ বিকাশের অসম্পূর্ণতাই এর কারণ বলে ধারণা করা হয়। অটিজম যদিও চিকিৎসায় পুরো সারে না, বিভিন্ন থেরাপী ও ঔষধ সেবনে এদের অনেক উপসর্গের তীব্রতা লাঘব হয়। অটিস্টিক শিশুরা স্বাভাবিক আয়ু লাভ করে এবং শতকরা ১৫ হতে ২০ জন সবনির্ভরতা অর্জনে এবং কোনো পেশা  গ্রহণে সমর্থ হয়।

উন্নত দেশে অটিস্টিক শিশুদের সংখ্যা প্রতি ১০০০০ জনে ১০ হতে ২০ জন। ধারণা করা হয় বাংলাদেশেও এ সংখ্যা তথৈব। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে অটিজম শব্দটি এখনও তেমন পরিচিতি লাভ করেনি। অটিস্টিক শিশুদের সর্বাঙ্গীন কল্যাণে বাংলাদেশে ইতিমধ্যে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু ও সমিতি গঠিত হয়েছে।  [এম.কে.আই কাইয়ুম চৌধুরী]