চকবাজার মডেল থানা

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৫:৫৬, ২ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

চকবাজার মডেল থানা (ঢাকা মেট্রোপলিটন)  আয়তন: ২.০৭ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৪২´ থেকে ২৩°৪৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২৩´ থেকে ৯০°২৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে শাহবাগ থানা, দক্ষিণে কেরানীগঞ্জ উপজেলা ও কামরাঙ্গীরচর থানা, পূর্বে বংশাল ও কোতোয়ালী থানা, পশ্চিমে লালবাগ থানা।

জনসংখ্যা ১৬০১১২; পুরুষ ১০৪৪৮৪, মহিলা ৫৫৬২৮। মুসলিম ১৫৫২৩৭, হিন্দু ৪৫৮৬, বৌদ্ধ ২০৫, খ্রিস্টান ৪৫ এবং অন্যান্য ৩৯।

জলাশয় প্রধান নদী: বুড়িগঙ্গা।

প্রশাসন লালবাগ ও কোতোয়ালী থানার অংশবিশেষ নিয়ে ২০০৯ সালের ৩০ আগস্ট চকবাজার মডেল থানা গঠিত হয়।

থানা
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন মহল্লা জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
৩+৩ (আংশিক) ৬২ ১৬০১১২ - ৭৭৩৪৯ ৭৫.৪৯ -
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন আয়তন (বর্গ কিমি) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
ওয়ার্ড  নং ৫৬ (আংশিক) ০.২০ ১৬৬৮ ৮১৪ ৯৩.৭৬
ওয়ার্ড  নং ৬৩ ০.৪৭ ১৬৩০৬ ৯৯০১ ৭৭.৪২
ওয়ার্ড  নং ৬৪ ০.১৬ ১৫৮৮৩ ৯৭১৬ ৭৬.৮৯
ওয়ার্ড  নং ৬৫ ০.৩৫ ৩৬৭৮৬ ২২৫৮৬ ৬২.১৪
ওয়ার্ড  নং ৬৬ (আংশিক) ০.৫০ ১৮১৩১ ৮৫৬৬ ৬৮.৪৯
ওয়ার্ড  নং ৬৭ (আংশিক) ০.৩৯ ১৫৭১০ ৪০৪৫ ৭৪.২৬

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ হোসেনি দালান (১৬৪২), বড় কাটরা (১৬৪১), ছোট কাটরা (১৬৬৩), চকবাজার শাহী মসজিদ (১৬৭৬), ঢাকেশ্বরী মন্দির (১৮৯০), মীর ইয়াকুব ইমামবাড়া (১৮৯১), করতলব খান মসজিদ (১৭০৪), হাসিনা মঞ্জিল (১৯১১)।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চকবাজার শাহী মসজিদ, তাঁতখানা লেন জামে মসজিদ (১৯১৩), বায়তুল ইজ্জত শাহী মসজিদ, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি কেন্দ্রীয় মসজিদ, লালবাগ ছাতা মসজিদ, খাজো দেওয়ান মসজিদ, আহমদীয়া মুসলিম জামাত মসজিদ, বকশী বাজার জামে মসজিদ, বায়তুল মামুর জামে মসজিদ, হযরত মাক্কুশাহের (র:) মাযার উল্লেখযোগ্য।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৭৫.৪৯%; পুরুষ ৭৭.৩১%, মহিলা ৭১.১৮%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ (১৯৪৮), ড. শহীদুল্লাহ কলেজ (১৯৭৩), তিবিবয়া হাবিবিয়া কলেজ (১৯৩০), মেট্রোপলিস ডিগ্রি কলেজ (১৯৯০), বেগম আনোয়ারা গার্লস কলেজ, শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ, বেগম আনোয়ারা মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩২), ইসলামবাগ আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়, ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, নবকুমার ইনস্টিটিউট (১৯১৬), চম্পাতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পেয়ারু সর্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৬২), সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলীয়া (১৭৮০)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ১১, জিমনাসিয়াম ১, কমিউনিটি সেন্টার ৭, খেলার মাঠ ৪। শহীদ মতিয়ুর রহমান স্মৃতি কেন্দ্র ও লাইব্রেরি উল্লেখযোগ্য।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ০.৭৫%, অকৃষি শ্রমিক ১.০৩%, শিল্প ৫.০৫%, ব্যবসা ৪২.৪৬%, নির্মাণ ০.৯৮%, পরিবহণ  ও যোগাযোগ ২.৯৮%, চাকরি ৩২.৭৩%, ধর্মীয় সেবা ০.১১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিট্যান্স ২.৩৫% এবং অন্যান্য ১১.৫৬%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৩৯.৫৯%, ভূমিহীন ৬০.৪১%।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা দর্শনীয় স্থান ঢাকেশ্বরী মন্দির, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রিক্রুটিং অফিস, চাঁদনীঘাট ওয়াটার প্লান্ট।

যোগাযোগ বিশেষত্ব মোট সড়ক ৩১.১৭ কিমি।

প্রধান ফল-ফলাদিব আম, কাঁঠাল, নারিকেল, পেয়ারা।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা পোশাক শিল্প, প্লাস্টিক শিল্প, অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ, মুদ্রণশিল্প, জুতা কারখানা, লেদ মেশিন, আতর শিল্প, বোতাম শিল্প প্রভৃতি।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, পাটাশিল্প, টুপি শিল্প, হস্তশিল্প।

শপিং সেন্টার, বাজার  ফ্যাঞ্চি মার্কেট, বিসমিল্লাহ টাওয়ার, তাজমহল টাওয়ার সুপার মার্কেট, পলাশী বাজার, চকবাজার, মৌলভী বাজার, ইমামগঞ্জ বাজার, বেগমবাজার, চক মোগলটুলী বাজার, চুড়িহাট্টা বাজার, রুই হাট্টা বাজার, রহমতগঞ্জ ডালপট্টি, সোয়ারীঘাট বাজার উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য  তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক সামগ্রী, আতর।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবক’টি ওয়ার্ড বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯৯% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ১৩.১১%, ট্যাপ ৮৬.২৩%, পুকুর ০.০৪% এবং অন্যান্য ০.৬২%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা ৮৮.২৫% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১১.৬৩% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ০.১২% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উল্লেখযোগ্য।  [লিলীমা আহমেদ]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; চকবাজার মডেল থানা মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০১০।