ইমাম
ইমাম শব্দটি পবিত্র কুরআনে বিভিন্ন অর্থে মোট এগারোবার ব্যবহূত হয়েছে। এ শব্দের অর্থ নেতা (২ঃ১২৪), আদর্শ (১১ঃ১৭), কিতাব (৩৬ঃ১২)। শব্দটি চিহ্ন বা নিদর্শন অর্থেও ব্যবহূত হয়। বাস্তব জীবনে তিনটি ক্ষেত্রে ইমাম শব্দের প্রয়োগ দেখা যায়: (১) ইমাম জামা‘আতে অনুষ্ঠিত সালাতের নেতা। পাঞ্জেগানা সালাতের ইমামকে পেশ ইমাম এবং জুম‘আর সালাতের ইমামকে খতিব বলা হয়। সালাতের আহকাম সম্বন্ধে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতাসম্পন্ন যে কোনো মুসলিম ইমাম হতে পারেন। (২) সুন্নীগণ নামাজের নেতা অর্থে খলীফাদের প্রতি এবং সম্মান প্রদর্শনার্থে বিখ্যাত আলিমদের প্রতি ইমাম শব্দটি প্রয়োগ করে থাকেন। (৩) শী’আগণ ইমাম শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করে থাকেন। তবে এ সম্পর্কে তাদের ধারণার মর্মকথা এ যে, কেবল হযরত ‘আলী (রাঃ) ইব্ন আবু তালিব’ বংশধরই হবেন ইসলাম জগতে সর্বোচ্চ শাসনকর্তা। বাংলার কোনো কোনো সুলতান খলিফা এবং ইমাম উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। [সৈয়দ আশরাফ আলী]