শাহ্ সৈয়দ আহমদ কল্লাশহীদ
শাহ্ সৈয়দ আহমদ কল্লাশহীদ (১৩শ-১৪শ শতক) সুফি, মুজাহিদ ও ইসলাম প্রচারক। তিনি শাহ্পীর গেসুদরাজ নামেও প্রসিদ্ধ। তাঁর মাথার চুল কান পর্যন্ত লম্বা ছিল বলে তাঁকে গেসুদরাজ বলা হতো। কথিত আছে হযরত শাহজালালএর সঙ্গে তিনি সিলেট অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সিলেটের পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ইসলাম প্রচারকালে শত্রু কর্তৃক তিনি শহীদ হন। তিতাস নদীতে তাঁর খন্ডিত মস্তক (কল্লা) পাওয়া যায়। ভক্তরা তাঁর এই মস্তক আখাউড়ার নিকটবর্তী খড়মপুর গ্রামে দাফন করে। বাংলার সুলতান তাঁর মাযার হেফাজতের জন্য ৫২ দ্রোণ জমি দান করেন। মাযারের পাশে অবস্থিত সুলতানী আমলে নির্মিত একটি মসজিদ রয়েছে যা এখন একটি প্রত্ন সম্পদ হিসেবে সংরক্ষিত। বিকল্প হিসেবে এর পাশেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি বড় আধুনিক মসজিদ। এর সঙ্গে রয়েছে একটি মুসাফিরখানা ও মাদ্রাসা। কল্লাশহীদ দর্গাহ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রয়েছে একটি স্থায়ী কমিটি। খরমপুর গ্রামের খাদেম পরিবার বংশাণুক্রমিকভাবে এ দরগাহ রক্ষণাবেক্ষণের প্রধান দায়িত্ব পালন করে থাকে নোয়াখালীর শর্সাদি রেলস্টেশনের নিকটবর্তী এক দিঘির পাশে তাঁর আরেকটি কথিত আস্তানা আছে। প্রতি বছর ২৭ শ্রাবণ থেকে ১লা ভাদ্র পর্যন্ত শাহ্পীর কল্লাশহীদের ওরস মোবারক পালিত হয়। [দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী