ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর কুষ্টিয়ায় প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম সরকারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একটি ইসলামী বিদ্যাপীঠ স্থাপনের উদ্যোগ অনেক পুরনো। ১৯১২সালে বৃটিশ সরকার ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণায় ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব থাকে। ১৯২০ সালে মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী চট্টগ্রামের পটিয়ায় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ফান্ড গঠন করেন। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে প্রস্তাবিত ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ খোলা হয়। ১৯৩৫ সালে মওলানা শওকত আলী মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৪১ সালে মাওলা বক্স কমিটি ‘ইউনিভার্সিটি অব ইসলামিক লার্নিং’ প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করে। ১৯৪৬-৪৭ সালে সৈয়দ মোয়াজ্জেম উদ্দীন কমিটি এবং ১৯৪৯ সালে মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ কমিটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করে। ১৯৬৩ সালের ৩১ মে ড. এস. এম. হোসাইন-এর সভাপতিত্বে ‘ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ গঠন করা হয়। ১৯৭৪ সালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী টাঙ্গাইলের সন্তোষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলেন।
বাংলাদেশ সরকার ১ ডিসেম্বর ১৯৭৬ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। ১৯৭৭ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রফেসর এম. এ. বারীকে সভাপতি করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ২০ অক্টোবর ১৯৭৭ সালে রিপোর্ট পেশ করে। কমিটির সুপারিশে থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের অধীন (১) আল-কুরআন ওয়া উলূমুল কুরআন, (২) উলূমুত তাওহীদ ওয়াদ দা‘ওয়াহ, (৩) আল হাদীস ওয়া উলূমুল হাদীস, (৪) আশ-শরীয়াহ ওয়া উসূলুস শরীয়াহ, এবং (৫) আল ফাল সাফাহ ওয়াততাসাউফ ওয়াল আখলাক বিভাগ,মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অধীন (১) আরবী ভাষা ও সাহিত্য, (২) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, (৩) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, (৪) অর্থনীতি, (৫) লোক প্রশাসন, (৬) তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব, (৭) ভাষাতত্ত্ব, এবং (৮) বাণিজ্য বিভাগ এবং বিজ্ঞান অনুষদের অধীন (১) পদার্থ বিজ্ঞান, (২) গণিত, (৩) রসায়ন, (৪) উদ্ভিদবিদ্যা, এবং (৫) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করা হয়। এছাড়া রিপোর্টে টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, অনুবাদ ও প্রকাশনা ব্যুরো, মধ্যপ্রাচ্য অধ্যয়ন ও মুসলিম বিশ্বের ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউট এবং ১টি স্কুল-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার কথাও উল্লেখ থাকে।
৩১ মার্চ-৮ এপ্রিল ১৯৭৭ সালে মক্কায় অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি)-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের এক সম্মেলনে বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। এই সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৭৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রফেসর এ.এন.এম মমতাজ উদ্দীন চৌধুরীকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হয়।
২২ নভেম্বর ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শন্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে ১৭৫ একর জমিতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৮০ সালের ১৮ জুলাই সরকারি আদেশে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুরের বোর্ড বাজারে স্থানান্তর করা হয়। ২০সেপ্টেম্বর ১৯৮০ সালের জাতীয় সংসদে Act No. XXXI of 1980 বলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮০ সালের ২৭ ডিসেমতর জাতীয় সংসদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন (অ্যাক্ট নং ২৭, ১৯৮০) পাশ হয়। অ্যাক্টে বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যাবলি পরিচালনায় সতায়ত্তশাসন প্রদান হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন-এর অর্থে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হবে। প্রধানমন্ত্রী হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন ভাইস চ্যান্সেলর। তিনি চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত হবেন। ১৯৮১ সালের ১ জানুয়ারি প্রফেসর এ.এন.এম মমতাজ উদ্দীন চৌধুরীকে প্রথম উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স ১৯৮২ (৪২)-এর ৪(বি) ধারা অনুসারে বোর্ড বাজারে ৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ১৯৮২ সালে Ordinance No. XLIII of 1982 এর মাধ্যমে ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টার বিলুপ্ত করা হয়। ১৯৮৩ সালের ২১ জুলাই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বোর্ডবাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয়বার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২ অক্টোবর ১৯৮৩ সালে স্মারক নং SVIII/7U-3/83/919-Edn. মোতাবেক ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টার পুনঃস্থাপিত হয়।
১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে থিত্তলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের আল-কুরআন ওয়া উলূমুল কুরআন এবং উলূমুত তাত্তহীদ ওয়াদ দা’ওয়াহ বিভাগে এবং মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে তিনশত ছাত্র ভর্তি করা হয়। ১৯৮৬ সালের ২৮ জুন ৮ জন শিক্ষক ও ৩০০ জন ছাত্র নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ড বাজারে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। কলেজ ছাত্রদের জন্য ১০০ নম্বরের আরবি ও ইসলামিয়াত এবং মাদ্রাসা ছাত্রদের জন্য ১০০ নম্বরের ইংরেজি বাধ্যতামূলক করা হয়। ১৯৮৫-৮৬ থেকে ১৯৮৭-৮৮ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত প্রত্যেক বিভাগে মোট ছাত্রের ৫০% মাদ্রাসা ছাত্র ভর্তি করা হয়।
১৯৮৯ সালের ৩ জানুয়ারি মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষিত হয়। ১৯৯০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর থেকে কুষ্টিয়া শহরে পুনরায় স্থানান্তর করা হয়। ১৯৯০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মহিলা শিক্ষক নিয়োগ ও ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম ছাত্রী ভর্তি করা হয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি ও শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরে পিটিআই এবং প্যারামেডিক্যাল ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ১ নভেম্বর ১৯৯২ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মূল ক্যাম্পাস শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে নিয়ে আসা হয়।
১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত ৩ বছরের পরিবর্তে ৪ বছরের অনার্স কোর্স এবং ২০০৬-২০০৭ শিক্ষা বর্ষ থেকে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সাহায্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এবং প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি, ওয়ার্কস কমিটি, উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা কমিটি, অনুষদীয় কমিটি, বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটি ও একাডেমিক কমিটি রয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৫টি অনুষদ ও ২২টি বিভাগ রয়েছে। অনুষদ ও বিভাগগুলি হচ্ছে ১. থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ: আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, দাওয়াহ্ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ এবং আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ২. মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ: অর্থনীতি বিভাগ, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, বাংলা বিভাগ,ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ এবং রাষ্ট্রনীতি ও লোকপ্রশাসন বিভাগ, ৩. আইন ও শরীয়াহ্ অনুষদ: আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগ এবং আল-ফিকহ বিভাগ, ৪. ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ: হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগ; ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং ফিনান্স বিভাগ। ৫. ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ: ইলেক্ট্রনিক্স ও ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রযুক্তি বিভাগ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ, ইনফরমেশন সায়েন্স ও টেকনোলজি বিভাগ, বায়ো-টেকনোলজি বিভাগ, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগ, পরিসংখ্যান বিভাগ এবং গণিত বিভাগ।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১১২৬২। ২৫ জন মহিলা শিক্ষকসহ মোট শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৩৩৫। কর্মকর্তাকর্মচারীর সংখ্যা ৭২৬। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৬টি আবাসিক হল আছে। ১. সাদ্দাম হোসেন হল ২.শহীদ জিয়াউর রহমান হল ৩.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (এখানে বিদেশি ছাত্ররাও থাকেন)। ৪. লালনশাহ হল ৫. বেগম খালেদা জিয়া হল এবং ৬. বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল।
সউদী সরকারের অর্থানুকূল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা ৮১,১০০ এবং জার্নালের সংখ্যা ১৭০৭১। প্রতিটি বিভাগে বিভাগীয় গ্রন্থাগার এবং কম্পিউটার সেন্টার রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে শরীরচর্চা ও ক্রীড়া বিভাগ, ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর ও স্কাউটস। এছাড়া ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ রয়েছে চিকিৎসা কেন্দ্র, স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, প্রেস, কেন্দ্রীয় মসজিদ, শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য, ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ এবং নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সমাবর্তন ১৯৯৩ সালের ২০ এপ্রিল, দ্বিতীয় সমাবর্তন ১৯৯৯ সালের ৫ নভেমতর এবং তৃতীয় সমাবর্তন ২০০২ সালের ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালের ৩০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ বছর পূর্তিতে রজত-জয়ন্তী উৎসব পালন করা হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ৯টি জার্নাল প্রকাশিত হয়। অনুষদগুলি থেকে দ্যা ইসলামিক ইউনিভারসিটি স্টাডিজ জার্নাল, আইআইইআর রিসার্চ জার্নাল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জার্নাল, আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে দ্যা কুরআনিক স্টাডিজ, দাওয়াহ্ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে দাওয়াহ রিসার্চ র্জানাল, আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে হাদীস রিসার্চ জার্নাল, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে এরাবিক রিসার্চ জার্নাল, ইংরেজি বিভাগে থেকে ক্রিটিক এবং বাংলা বিভাগ থেকে বাংলা গবেষণা পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়।
Islamic University (Amendment) Act, 2006 মোতাবেক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাযিল (ডিগ্রী) ৩ বৎসর এবং কামিল (স্নাতকোত্তর) ২বৎসর মোট ৫ বৎসরের আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা কোর্স চালু করা হয়। উক্ত অ্যাক্ট অনুসারে ১০৮৭ টি ফাযিল (স্নাতক) ও ১৯৪টি কামিল (স্নাতকোত্তর) মোট ১২৮১ টি মাদ্রাসা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িতত পালন করেন প্রফেসর এ.এন.এম মমতাজ উদ্দীন চৌধুরী। এরপর প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম, প্রফেসর মুহাম্মদ আব্দুল হামীদ, প্রফেসর ইনআম-উল হক, প্রফেসর মুহম্মদ কায়েস উদ্দীন, প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান, প্রফেসর মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর এম. রফিকুল ইসলাম এবং প্রফেসর ফয়েজ মোহাম্মদ সিরাজুল হক ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর এম আলাউদ্দীন ও প্রফেসর কামাল উদ্দীন। [এ.বি.এম সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী]