শ্রীপুর উপজেলা (মাগুরা)
শ্রীপুর উপজেলা (মাগুরা জেলা) আয়তন: ১৭৯.১৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৩২´ থেকে ২৩°৪১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২১´ থেকে ৮৯°৩২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে পাংশা ও বালিয়াকান্দি উপজেলা, দক্ষিণে মাগুরা সদর উপজেলা, পূর্বে মধুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলা, পশ্চিমে শৈলকূপা উপজেলা।
জনসংখ্যা ১৫৬৪০১; পুরুষ ৭৮৯৯৯, মহিলা ৭৭৪০২। মুসলিম ১২৩২৮১, হিন্দু ৩৩০৩৮, বৌদ্ধ ৭১ এবং অন্যান্য ১১।
জলাশয় প্রধান নদী: গড়াই, কুমার ও মুচিখালী।
প্রশাসন ১৮৫৯ সালে শ্রীপুর থানা গঠিত হয় এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।
উপজেলা | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
- | ৮ | ৮৩ | ১৬৩ | ৪২৮২ | ১৫২১১৯ | ৮৭৩ | ৫৭.২ | ৪৩.১ |
উপজেলা শহর | ||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) |
৩.১১ | ২ | ৪২৮২ | ১৩৭৭ | ৫৭.২ |
ইউনিয়ন | ||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |
পুরুষ | মহিলা | |||
আমলসার ১০ | ৬৪১৯ | ১২৩২২ | ১২০৬১ | ৩১.২৭ |
কাদিরপাড়া ৪২ | ৩৭৬৬ | ৭৬৬৪ | ৭৫৬৯ | ৪৯.৫০ |
গয়েসপুর ৩১ | ৫১৪১ | ৮৯৩৫ | ৮৮৫০ | ৩৬.৫৭ |
দ্বারিয়াপুর ২১ | ৩৫২২ | ৭৭৫০ | ৭৮১৩ | ৪৭.০৬ |
নাকোল ৫২ | ৪৭৬৪ | ৯৫৪৮ | ৯১৯৯ | ৪৯.৫৯ |
শ্রীকোল ৭৩ | ৭৯২১ | ১২১৪৮ | ১১৬০৫ | ৪৪.৪৬ |
শ্রীপুর ৮৪ | ৫৩৬১ | ১০৪৬৫ | ১০২৬২ | ৪৫.২১ |
সবদালপুর ৬৩ | ৬০৯৬ | ১০১৬৭ | ১০০৪৩ | ৪৮.৪২ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ বিরাট রাজার রাজপ্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ, রাধানগর নীলকুঠি (কাদিরপাড়া), বৌদ্ধ সংঘারাম, পিলখানা, মুন্সি গয়রাতুলাহর বাড়ি।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১১৫, মন্দির ২০, মাযার ১। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: উপজেলা জামে মসজিদ, পীর করিম শাহের মাযার (সবদালপুর), নাকোল মিয়াপাড়া হাজরাতলা বেদান্ত মঠ ও মিশন, বড়ালীদহ পশ্চিমপাড়া কালীমন্দির।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৩.৫%; পুরুষ ৪৭.৩%, মহিলা ৩৯.৭%। কলেজ ৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৬, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭১, কমিউনিটি স্কুল ৫, কিন্ডার গার্টেন ৩, মাদ্রাসা ১৬। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: নাকোল রাইচরণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯০১), শ্রীপুর এম সি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯০২)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১, সিনেমা হল ৪, ক্লাব ২৩।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৪.৩৫%, অকৃষি শ্রমিক ২.০৭%, শিল্প ১.৫০%, ব্যবসা ১২.৭৯%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৪.৭২%, চাকরি ৮.১৭%, নির্মাণ ১.২৭%, ধর্মীয় সেবা ০.১৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৬২% এবং অন্যান্য ৪.৩৬%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬১.১৯%, ভূমিহীন ৩৮.৮১%। শহরে ৬১.৭১% এবং গ্রামে ৬১.১৭% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, সরিষা, ডাল, কাজুবাদাম, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি অড়হর, চীনা, যব।
প্রধান ফল-ফলাদিব আম, কাঁঠাল, নারিকেল, লিচু, কলা।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৪৫, গবাদিপশু ৪০, হাঁস-মুরগি ১৫।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৮৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ৬২৫ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ২৪ কিমি; নৌপথ ৩৫ নটিক্যাল মাইল।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা ধানকল, বরফকল, ওয়েল্ডিং কারখানা।
কুটিরশিল্প তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২৪, মেলা ৬। আমলসার হাট, দ্বারিয়াপুর হাট, গয়েসপুর হাট, কাদিরপাড়া হাট, নাকোল হাট, সবদালপুর হাট, শ্রীকোল হাট, শ্রীপুর হাট এবং বড়ালীদহের চড়ক মেলা উলেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, পাট, কলা, কাঁঠাল।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৬.৯৫% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৬.৮০%, পুকুর ০.০৫%, ট্যাপ ০.৫৫% এবং অন্যান্য ২.৬০%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ১৯.১৯% (গ্রামে ১৮.২৯% ও শহরে ৫০.৯৮%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৬০.৭৩% (গ্রামে ৬১.৩৫% ও শহরে ৩৮.৯৯%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। তবে ২০.০৭% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৮।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৫৮৫ ও ১৯০৯ সালের ঝড়ে এ উপজেলায় অনেক লোকের প্রাণহানি ঘটে।
এনজিও ব্র্যাক, আশা, পল্লী শিশু ফাউন্ডেশন। [মো. মহেববুলাহ]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; শ্রীপুর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।