মোগলাবাজার থানা
মোগলাবাজার থানা (সিলেট মেট্রোপলিটান) আয়তন: ১১৫.৮৩ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪৩´ থেকে ২৪°৫০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৪৭´ থেকে ৯১°৫৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে দক্ষিণ সুরমা থানা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে গোলাপগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে বালাগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলা।
জনসংখ্যা ৯৪২১৫; পুরুষ ৪৮৩১৪, মহিলা ৪৫৯০১। মুসলিম ৯০১৫৮%, হিন্দু ৪০৪৯% এবং অন্যান্য ৮%।
জলাশয় খিচ্চর ও বারভাঙ্গা নদী এবং বাদাউরা বিল, কাইছনা বিল, চালতা বিল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন মোগলাবাজার থানা ৫৭টি মৌজা ও ৪টি উইনিয়ন নিয়ে গঠিত। (প্রস্তাবিত)
থানা | ||||||
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন | মহল্লা | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||
৪ | ৫৭ | - | ৯৪২১৫ | ৮১৩ | - | ৫৫.৩৬ |
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন | ||||
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন | আয়তন (বর্গ কিমি) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |
পুরুষ | মহিলা | |||
জালালপুর ৩৭ | ৭৯০৩ | ১৩৭৩৫ | ১৩৩৬৮ | ৫২.৩১ |
দাউদপুর ৩০ | ৬৭১৭ | ১১৭৬২ | ১০৬৪৯ | ৫৬.০২ |
মোগলা বাজার ৬০ | ৯৩৭০ | ১২৮৩৫ | ১২১৭০ | ৫৬.১০ |
লালাবাজার ৫০ | ৪৯৬৭ | ৯৯৮২ | ৯৭১৪ | ৫৬.৯৯ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১,বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৪২, মন্দির ২।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫৫.৩৬%; পুরুষ ৫৮.২৭%, মহিলা ৫২.৩৩%। মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪৯, মাদ্রাসা ৬। উল্লখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: জালালপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রেবতী রমন উচ্চ বিদ্যালয়, রেঙ্গা মাদ্রাসা।
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা মোগলাবাজার রেলওয়ে স্টেশন, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, ইলাশপুর সেতু।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৪২.৫৩%, অকৃষি শ্রমিক ৬.১২%, শিল্প ০.৯৯%, ব্যবসা ১২.১২%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৮৩%, চাকরি ৫.১২%, নির্মাণ ৩.৪২%, ধর্মীয় সেবা ০.৪৫%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৯.৫২% এবং অন্যান্য ১৬.৯০%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৪৪.২৭%, ভূমিহীন ৫৫.৭৩%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, শাকসবজি।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৯৫.৫ কিমি,আধা-পাকারাস্তা ২৭ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৫০ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্ত প্রায় সনাতন বাহন গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৭। লালা বাজার, চৌধুরী বাজার, মোগলা বাজার, জালালপুর বাজার, বাবুর বাজার, নাজির বাজার, পরগনা বাজার, অনিলগঞ্জ বাজার, হাজীগঞ্জ বাজার, আশুগঞ্জ বাজার, রাখালগঞ্জ বাজার উল্লেখযোগ্য।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবকটি ইউনিয়ন বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩৮.৪১% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৫৮.৫১%, পুকুর ৩৩.৬৯%, ট্যাপ ২.২% এবং অন্যান্য ৫.৬%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ থানার ৫০.৩৮% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩৯.১৭% পরিবার অস্বাস্থাকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১০.৪৬% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ২, কমিউনিটি ক্লিনিক ৫।
এনজিও ব্রাক, এফআইভিডিবি, আশা। [সিরাজুল ইসলাম]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১,বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।