মোনাজাতউদ্দিন

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:৪৮, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)

মোনাজাতউদ্দিন (১৯৪৫-১৯৯৫)  সাংবাদিক ও লেখক। তিনি রংপুর শহরের কেরাণীপাড়ায় ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আলিমউদ্দিন, মাতা মতিজাননেছা। ‘রংপুর কৈলাশরঞ্জন স্কুল’ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, ‘রংপুর কারমাইকেল কলেজ’ থেকে আইএ পাস করেন। পিতার মৃত্যু হলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিএ পাস করে আর্থিক অনটনের জন্য তাঁকে কর্মসংস্থানে মনোযোগ দিতে হয়।

শিক্ষা জীবন থেকে তাঁর সাংবাদিক জীবন শুরু হলেও ১৯৬২ সালে তিনি রংপুরের স্থানীয় বিভিন্ন কাগজে লেখালেখি শুরু করেন এবং দৈনিক রংপুর নামে একটি পত্রিকা প্রকাশনা ও সম্পাদনা করেন। দৈনিক পূর্বদেশ ও দৈনিক আজাদ-এর উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি ছিলেন ১৯৭২-১৯৭৬ সাল পর্যন্ত। অতঃপর ১৯৭৬ সালে তিনি দৈনিক সংবাদ-এর উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ পরিবেশন করে সাংবাদিকতায় খ্যাতি অর্জন করেন।

সংবাদপত্রের প্রতিনিধি হিসেবে গ্রামীণ জীবনের খবরাখবর নগরবাসী-পাঠকের কাছে ভিন্ন মাত্রায় পরিবেশন করে তিনি সাংবাদিকতাকে জনগণের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল কাজ বলে প্রতিষ্ঠিত করতে তৎপর হন। স্বাধীনতার পর দেশ পরিচালকদের ব্যর্থতায় আর্থ-সামাজিক সংকটকে কেন্দ্র করে দেশের সাধারণ মানুষ যে চরম দুর্ভিক্ষ অনাহারে নিপতিত হয়, তাঁর সবকিছুই তিনি তথ্যনিষ্ঠভাবে সংবাদপত্রের পাতায় তুলে ধরেন।

মোনাজাতউদ্দিন


তাঁর লেখা গ্রন্থের মধ্যে শাহ আলম ও মজিবরের কাহিনী (১৯৭৫), পথ থেকে পথে (১৯৯১), কানসোনার মুখ ও সংবাদ নেপথ্যে (১৯৯২), পায়রাবন্দ শেকড় সংবাদ (১৯৯৩) প্রভৃতি প্রধান।

মোনাজাতউদ্দিন ‘চারণ সাংবাদিক’ হিসেবে কয়েকটি পুরস্কার লাভ করেন। তার মধ্যে ‘জহুর হোসেন স্বর্ণপদক’ (১৯৮৪), ‘ফিলিপস পুরস্কার’ (১৯৯৩),  ‘একুশে পদক’ (১৯৯৭ মরণোত্তর) উল্লেখযোগ্য।

১৯৯৫ সালের মধ্যপর্বে তিনি দৈনিক জনকণ্ঠ-এর সাংবাদিকতায় যোগ দেন এবং ডিসেম্বর মাসে যমুনা নদী পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা যান। [মুহম্মদ মনিরুজ্জামান]