মাগুরা জেলা

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৬:১১, ৬ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Robot: Automated text replacement (-\|\s''জনসংখ্যা''\s\|\| +| জনসংখ্যা ||))

মাগুরা জেলা (খুলনা বিভাগ)  আয়তন: ১০৪৮.৬১ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°১৫´ থেকে ২৩°৪১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°১৫´ থেকে ৮৯°৪২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে রাজবাড়ী জেলা, দক্ষিণে যশোর ও নড়াইল জেলা, পূর্বে ফরিদপুর এবং পশ্চিমে ঝিনাইদহ জেলা।

জনসংখ্যা ৮২৪৩১১; পুরুষ ৪২০৯০৭, মহিলা ৪০৩৪০৪। মুসলিম ৬৬৪৯৩৭, হিন্দু ১৫৮৬৮৫, বৌদ্ধ ৩৪২, খ্রিস্টান ২১ এবং অন্যান্য ৩২৬।

জলাশয় গড়াই-মধুমতি, নবগঙ্গা ও কুমার নদী উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন মাগুরা মহকুমা গঠিত হয় ১৯৪৫ সালে এবং ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয়।

জেলা
আয়তন(বর্গ কিমি) উপজেলা পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম
১০৪৮.৬১ ৩৬ ৫৩৭ ৭০০ ১০৫৩২৩ ৭১৮৯৮৮ ৭৮৬ ৪৪.৭
জেলার অন্যান্য তথ্য
উপজেলার নাম আয়তন(বর্গ কিমি) পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
মাগুরা সদর ৪০৬.৫০ ১৩ ২২২ ২৩৬ ৩৩১৪৯৪ ৮১৫ ৪৫.৮
মোহাম্মদপুর ২৩৪.২৯ - ১৩২ ১৮৩ ১৮৮৭৫৩ ৮০৬ ৪৪.৫
শালিখা ২২৮.৬৪ - ১০০ ১১৮ ১৪৭৬৬৩ ৬৪৬ ৪৪.০
শ্রীপুর ১৭৯.১৮ - ৮৩ ১৬৩ ১৫৬৪০১ ৮৭৩ ৪৩.৫

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ৮ নং সেক্টরের অধীনে মাগুরাবাসী পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে ১৬ টি যুদ্ধে অংশ নেয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় শালিখা উপজেলার মাগুরা-যশোর সড়কের শতখালী রাস্তার পাশে পাকবাহিনী ৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে জীবন্ত কবর দেয় এবং রাজাকারদের হাতে তালখড়িতে ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ৪ (মাগুরা পিটিআই এলাকা, ওয়াপদা ক্যানাল, বিনোদপুর বাজার ঘাট, ছয়ঘরিয়ার গলাকাটা ব্রিজ); স্মৃতিস্তম্ভ ১ (মাগুরা বিশ্বরোড সংলগ্ন পিটিআই-এর প্রধান গেট)।

মাগুরা জেলা

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৪.৭%; পুরুষ ৪৯.২%, মহিলা ৪০.১%। কলেজ ১৭, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১৫, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৭০, স্যাটেলাইট ২১, কিন্ডার গার্টেন ৩, ব্র্যাক স্কুল ১২৪, কমিউনিটি স্কুল ১৩৪, মাদ্রাসা ৭৬। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ (১৯৪০), মাগুরা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় (১৮৫৪), নহাটা রাণী পতিত পাবনী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৪), গঙ্গারামপুর পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯০০), নাকোল রাইচরণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯০১), শ্রীপুর এমসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯০২), বিনোদপুর বসন্ত কুমার বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯০৪), হাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৪), শত্রুজিৎপুর কালীপ্রসন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৯), ধূলজোড়া চুড়ার গাতী প্রতাপচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৭), সীমাখালী প্রাইমারি স্কুল (১৯৩২), বড়রিয়া এডব্লিউ সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯০৭), নহাটা এজি ফাজিল মাদ্রাসা (১৯২১)।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৬.৩%, অকৃষি শ্রমিক ২.৬৫%, শিল্প ১.২৯%, ব্যবসা ১২.৩৪%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.৫৯%, চাকরি ৭.৮৫%, নির্মাণ ১.৩৪%, ধর্মীয় সেবা ০.১৪%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৪৩% এবং অন্যান্য ৪.০৭%।

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক: খেদমত; সাপ্তাহিক: অঙ্গীকার, গ্রামীণ বাংলা।

লোকসংস্কৃতি জারি গান, সারি গান, ভাটিয়ালি, কবিগান, হালোই গান, যাত্রা, পালা উল্লেখযোগ্য।  [আবু নাসের মজনু]

আরও দেখুন সংশ্লিষ্ট উপজেলা।

তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মাগুরা জেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭; মাগুরা জেলার উপজেলাসমূহের সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।