মনপুরা উপজেলা
মনপুরা উপজেলা (ভোলা জেলা) আয়তন: ৩৭৩.১৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°০৬´ থেকে ২২°২৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৫২´ থেকে ৯১°০১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে তজুমদ্দিন উপজেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে হাতিয়া উপজেলা, পশ্চিমে লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলা।
জনসংখ্যা ৬৭৩০৪; পুরুষ ৩৬৫৪৫, মহিলা ৩০৭৫৯। মুসলিম ৬২১১৪, হিন্দু ৫১৩৮ এবং অন্যান্য ৫২।
জলাশয় মেঘনা নদী এবং শাহবাজপুর চ্যানেল ও হরির খাল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন মনপুরা থানা গঠিত হয় ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭০ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ৭ নভেম্বর ১৯৮৩ সালে।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১১০, মন্দির ১৩।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
- | ৩ | ২১ | ২৭ | ২১৫৯ | ৬৫১৪৫ | ১৮০ | ৩৫.৮ | ৩৫.৭ |
উপজেলা শহর | ||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) |
৩.৯৫ | ১ | ২১৫৯ | ৫৪৭ | ৩০.৯৬ |
ইউনিয়ন | ||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |
পুরুষ | মহিলা | |||
মনপুরা ৪৭ | ৯৫৯৩ | ৭৭৯৭ | ৬১৫৩ | ৩৯.৮৪ |
সাকুচিয়া ৭১ | ১০০৩১ | ১৭৪২৪ | ১৪৪৩১ | ৩৩.৮২ |
হাজিরহাট ২৩ | ১২৭০৩ | ১১৩২৪ | ১০১৭৫ | ৩৫.৬০ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৫.৭%; পুরুষ ৩৮.৭%, মহিলা ৩২%। কলেজ ২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৯, মাদ্রাসা ৩৫। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মনপুরা ডিগ্রি কলেজ (১৯৯৬), মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজ (২০০৩), মনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাকুচিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী মনপুরা বানী।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ৩৫, সিনেমা হল ১, খেলার মাঠ ৯, শিল্পকলা একাডেমী ১।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭২.৫০%, অকৃষি শ্রমিক ৪.৩০%, শিল্প ০.১৯%, ব্যবসা ৯.৬৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ০.৮৬%, চাকরি ৩.৩২%, নির্মাণ ০.৪৮%, ধর্মীয় সেবা ০.৩২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.০৩% এবং অন্যান্য ৮.৩২%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৪৭.২১%, ভূমিহীন ৫২.৭৯%। শহরে ৫৭.৯৫% এবং গ্রামে ৪৬.৮৪% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, ডাল, মরিচ, মিষ্টি আলু, বাদাম, আলু, শাকসবজি।
প্রধান ফল-ফলাদিব আম, কাঁঠাল, পেঁপে, কলা, আঙ্গুর, তরমুজ।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৪৮ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১৬ কিমি, কাঁচারাস্তা ১১৫.৭৫ কিমি। ব্রিজ ১৪; কালভার্ট ৯০; হেলিপ্যাড ১।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন গরুর গাড়ি, পাল্কি।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, মৃৎশিল্প, লৌহশিল্প, বাঁশের কাজ, কাঠের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১১, মেলা ২। মাস্টার হাট, বাংলা বাজার, হাজির হাট, রাম-নেওয়াজ হাট, সাকুচিয়া বাজার এবং চৈত্রসংক্রান্তি মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, মরিচ, ডাল, বাদাম, ইলিশ।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪.৭১% (শহরে ২২.৪৯% এবং গ্রামে ৪.১%) পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৪.১৩%, ট্যাপ ০.২%, পুকুর ৩.৭৬% এবং অন্যান্য ১.৯১%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ১৬.২০% (শহরে ৪০.৫৯% এবং গ্রামে ১৫.৩৭%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৭৩.২৩% (শহরে ৪১.৮১% এবং গ্রামে ৭৪.৩%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১০.৫৭% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১।
প্রকৃতিক দুর্যোগ ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে এ উপজেলার বহু লোক মারা যায়।
এনজিও কারিতাস, ব্র্যাক, স্বনির্ভর বাংলাদেশ।
[জাকির হোসেন]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মনপুরা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।