দৌলতপুর থানা
দৌলতপুর থানা (খুলনা জেলা) আয়তন: ১৩.৬২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৫০´ থেকে ২২°৫৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২৮´ থেকে ৮৯°৩২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে খান জাহান আলী থানা, দক্ষিণে খালিশপুর থানা ও ডুমুরিয়া উপজেলা, পূর্বে দিঘলিয়া উপজেলা ও ভৈরব নদী, পশ্চিমে ডুমিরিয়া থানা।
জনসংখ্যা ১১৮৩৮০; পুরুষ ৬৩০৬৬, মহিলা ৫৫৩১৪। মুসলিম ১০৪৯৩০, হিন্দু ১২২৯৪, বৌদ্ধ ১১৪৪ এবং অন্যান্য ১২।
জলাশয় প্রধান নদী: ভৈরব।
প্রশাসন দৌলতপুর থানা গঠিত হয় ১৯১৭ সালে।
থানা | ||||||
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন | মহল্লা | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||
৬+১ (আংশিক) | ৩৪ | ১০৭৫৭৩ | ১০৮০৭ | ১০০২৪ | ৬৫.৫১ | ৬০.০৮ |
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন | ||||
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন | আয়তন (বর্গ কিমি) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |
পুরুষ | মহিলা | |||
ওয়ার্ড নং ১ | ৩.৩৫ | ১০৬১৩ | ৯৬৯৮ | ৭০.১৭ |
ওয়ার্ড নং ২ আংশিক) | ০.৭৫ | ৭৪৮৬ | ৬১৫২ | ৬৯.২৭ |
ওয়ার্ড নং ৩ | ৩.২০ | ১২৩২৫ | ১০৬৯১ | ৬৩.১৪ |
ওয়ার্ড নং ৪ | ২.০২ | ৭৭৬৪ | ৬৫৩৫ | ৬৬.৩৬ |
ওয়ার্ড নং ৫ | ০.৫৭ | ৮২০১ | ৭১১৩ | ৬০.৯০ |
ওয়ার্ড নং ৬ | ০.৪৯ | ১১১৪১ | ৯৮৫৪ | ৬৩.২৪ |
আরঙ্গঘাটা ইউনিয়ন ১০ | ৩.২৪ | ৫৫৩৬ | ৫২৭১ | ৬০.০৮ |
ঐতিহাসিক ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের মে মাসের শেষদিকে শিরোমণির বাদামতলার নিকট পাকবাহিনী ১৩ জন লোককে হত্যা করে।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন ভাস্কর্য ১ (বীর বাঙালি)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১৮, মন্দির ২, মঠ ১।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬৬.৮৫%; পুরুষ ৭০.৭৪%, মহিলা ৬২.৪১%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, দৌলতপুর আর্ট কলেজ (১৯০২), দৌলতপুর হাইস্কুল (১৮৭৪), মুহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৬৭), মহেশ্বরপাশা কেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১), মহেশ্বরপাশা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় (১৮৬৪)।
চিত্র:দৌলতপুর থানা html 88407781.png
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ৬, সিনেমা হল ১, খেলার মাঠ ১৬।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৪.৪৭%, অকৃষি শ্রমিক ৬.৬৬%, শিল্প ৯.৭৩%, ব্যবসা ২৬.০২%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৮.৭৪%, চাকরি ২৪.২৫%, নির্মাণ ২.৪২%, ধর্মীয় সেবা ০.২৪%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১.৫০% এবং অন্যান্য ১৫.৯৭%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৪০.৬১%, ভূমিহীন ৫৯.৩৯%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, আখ, সুপারি, নারিকেল, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি পান, আলু।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেঁপে, নারিকেল।
যোগাযোগ বিশেষত্ব রেলপথ ৩.২ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা লবণ কারখানা।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৩০।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৭৩.৪৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৬.৮২%, পুকুর ০.১৩%, ট্যাপ ২.০৭% এবং অন্যান্য ০.৯৮%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ থানার ৬৬.৫৬% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩০.৮৬% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ২.৫৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য লবণ, গুড়।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৩, ইউএফএইচপি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১। [একরামুল কবির]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।