দিবর দিঘি ও কৈবর্ত স্তম্ভ

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২১:৪২, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)

দিবর দিঘি ও কৈবর্ত স্তম্ভ  নওগাঁ জেলায় পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর-সান্তাহার মহাসড়কের উত্তরে অবস্থিত গ্রামের প্রায় ১০০ একর উঁচু ভূমির মধ্যখানে ২০ একর ভূমিতে কর্তিত একটি বিশাল দিঘি।

দিঘির কেন্দ্রস্থলে  গ্রানাইট প্রস্তর নির্মিত নয় কোণ বিশিষ্ট কৈবর্ত স্তম্ভটির অবস্থান। স্তম্ভটির শীর্ষদেশ পরপর তিনটি বৃত্তাকার স্ফীত বলয় সহ মুকুটাকারে অলঙ্কৃত। স্যার বুকানন হ্যামিলটন ১৮০৭-০৮ সালে এ দিঘি পরিদর্শন করে স্তম্ভটির দৈর্ঘ্য ১০.৩৩ মিটার বলে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে ১৮৭৯-৮০ সালে স্যার আলেকজান্ডার  Kvwbsnvg দিঘিটি পরিদর্শন করেন। তাঁর রিপোর্টে স্তম্ভের দৈর্ঘ্য ৯.১৪ মিটার বলে উল্লেখ করেছেন। কানিংহামের বর্ণনা অনুসারে স্তম্ভটির সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ২.৫ মি থেকে ৩ মি মাটির নিচে, ৪ মি পানির তলায় এবং ৩ মি পানির উপরে রয়েছে। স্তম্ভটির প্রতিটি কোণের পারস্পরিক দূরত্ব প্রায় ৪ মিটার।

#চিত্র:দিবর দিঘি ও কৈবর্ত স্তম্ভ html 88407781.png

  1. দিবর দিঘি ও কৈবর্ত স্তম্ভ

ঐতিহাসিক বিবরণ হতে অনুমিত হয় যে, কৈবর্ত রাজা  দিব্য বা দিব্যক পাল রাজা দ্বিতীয় মহীপালকে (আনু ১০৭৫-১০৮০ খ্রি.) পরাজিত করে পাল সিংহাসন অধিকারের পর সম্ভবত দিব্যকের বিজয়ের স্মৃতি হিসেবে এ স্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়। স্তম্ভটি খুব সম্ভব দিব্যক অথবা তাঁর উত্তরাধিকারী রুদক কিংবা ভীম কর্তৃক এগারো শতকের শেষার্ধে নির্মিত হয়েছিল। গ্রামটির ‘দিবর’ নামকরণ সম্ভবত ‘দিব্য’ বা ‘দিব্যক’ নামের অপভ্রংশ হতে পারে।  [কাজী মোস্তাফিজুর রহমান]