টিলা
টিলা (Tila) ক্ষুদ্রাকৃতি ও ক্ষয়সাধিত অনুচ্চ পাহাড়। বৃহত্তর সিলেট বিভাগের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ ভাগে এবং সিলেট শহরের চতুষ্পার্শেত এ ধরনের বহুসংখ্যক টিলা দেখতে পাওয়া যায়। সিলেট অঞ্চলের টিলাগুলোকে প্রধানত চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় এবং এ সকল টিলাশ্রেণীর বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচের ছকে বর্ণনা করা হলো:
সারণি সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রধান টিলাসমূহ
টিলা শ্রেণী | অবস্থান | গুরুত্বপূর্ণ টিলাসমূহ (মিটার) | দিক বিন্যাস | স্থানিক বিস্তার |
ছাতক | সিলেট জেলার উত্তরাংশে | তারামুন টিলা (৪৪) | উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে | ৬৫ বর্গ কিমি |
সিলেট | সিলেট শহর | অর্থকি টিলা (২৯), আবাঙ্গী টিলা (৭৭), বরুন্তী টিলা (৭৯), চেরাগং টিলা (৯১) | উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে | ৭০ বর্গ কিমি |
ঢাকা দক্ষিণ | গোলাপগঞ্জ এলাকার নিকটে, ইটা সারি | কৈলাস টিলা (৬৪) | উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে | ৭৮ বর্গ কিমি |
বিয়ানীবাজার | বিয়ানীবাজার, পাথারিয়া সারি | বিয়ানীবাজার টিলা (৩০) | উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে | ৫২ বর্গ কিমি |
উপরে বর্ণিত টিলাসমূহ ছাড়াও সিলেট অঞ্চলে আরও কিছু টিলা রয়েছে; যেমন, কুলিরাল টিলা (২২৬ মি), ডুপি টিলা (১০০ মি), খাসিয়া টিলা (১০৮ মি), চাতাল টিলা (১৩০ মিটারেরও বেশি) প্রভৃতি। ভূতাত্ত্বিক গঠনের দিক থেকে বাংলাদেশের টিলাসমূহ ডুপি টিলা স্তরসমষ্টি তথা প্লাইসটোসিন মোটা লৌহময় বেলেপাথরের উপর কর্দম ও বালু, কঙ্করময় বেলে কর্দম ইত্যাদি দিয়ে গঠিত। এক সময় টিলাগুলো গভীর বনাচ্ছাদিত থাকলেও বর্তমানে মানুষের কর্মকান্ডের দরুন অধিকাংশ বনই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। বেশিরভাগ টিলাই এখন চা বাগানের আওতায় চলে গেছে। [মোহা. শামসুল আলম]
আরও দেখুন টাকেরঘাট টিলাসারি।