চান্দগাঁও থানা
চান্দগাঁও থানা (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন) আয়তন ২৩.৪০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°২১´ থেকে ২২°২৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫০´ থেকে ৯১°৫৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলা, পূর্বে বোয়ালখালী উপজেলা, দক্ষিণে বাঁকলিয়া থানা, পশ্চিমে কোতোয়ালী, পাঁচলাইশ ও বায়েজীদ বোস্তামী থানা।
জনসংখ্যা ১৭৮৩৯০; পুরুষ ৯৬৬৫৯, মহিলা ৮১৭৩১। মুসলিম ১৫৬৫৯১, হিন্দু ১৭৯০৬, বৌদ্ধ ৪৬৮, খ্রিস্টান ৩৩৮৮ এবং অন্যান্য ৩৭।
জলাশয় প্রধান নদী: কর্নফুলি।
প্রশাসন ১৯৭৮ সালের ২৯ নভেম্বর চান্দগাঁও থানা গঠিত হয়।
থানা | ||||||
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন | মহল্লা | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||
৩ | ১১ | ১৭৮৩৯০ | - | ৭০৪৫ | ৬২.৭০ | - |
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন | ||||
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন | আয়তন (বর্গ কিমি) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |
পুরুষ | মহিলা | |||
ওয়ার্ড নং ০৪ | ১০.৭০ | ৪১৮৩২ | ৩৫৬৫৯ | ৬৬.৬০ |
ওয়ার্ড নং ০৫ | ১০.২৯ | ৩১৮৬২ | ২৬৩৫২ | ৬০.৩০ |
ওয়ার্ড নং ০৬ | ২.৪১ | ২২৯৬৫ | ১৯৭২০ | ৫৮.৮০ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ এ থানার কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিভিন্ন সময়ে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র দখলের জন্য পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের একাধিক লড়াই সংঘটিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্বাধীনতা টাওয়ার।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চৌধুরী মসজিদ (খাজা রোড) উল্লেখযোগ্য।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬২.৭০%; পুরুষ ৬৬.৩০%, মহিলা ৫৮.৩০%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ইস্পাহানী স্কুল ও কলেজ, চৌধুরী স্কুল।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ৭৩, সিনেমা হল ১, খেলার মাঠ ৫, মহিলা সংগঠন ১।
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা শহীদ জিয়া স্মৃতি কমপ্লেক্স, মোহরা পানি শোধনাগার প্রকল্প, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রশাসনিক অফিস ভবন, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা ও বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল ইত্যাদি।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ২.৪৫%, অকৃষি শ্রমিক ১.৫১%, শিল্প ৩.৭২%, ব্যবসা ১৮.৬৯%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৮.০৮%, নির্মাণ ৪.৭৬%, ধর্মীয় সেবা ০.২১%, চাকরি ৩৫.৫০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৭.৭০% এবং অন্যান্য ১৭.৩৮%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ২৪.৪৫%, ভূমিহীন ৭৫.৫৫%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, ইক্ষু।
প্রধান ফল-ফলাদিব পেয়ারা, নারকেল।
শিল্প ও কলকারখান দেশ গার্মেন্টস, উসমানিয়া গ্লাসশিট ফ্যাক্টরি, এরামিট গ্রুপের বিভিন্ন কারখানা, ইলিয়াস ব্রাদার্স, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড উল্লেখযোগ্য।
হাটবাজার বহদ্দারহাট সিটি কর্পোরেশন বাজার, কাজীরহাট বাজার ও মোহরা বাজার উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানি দ্রব্য টিন, গ্লাস, সিমন্টে।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবক’টি ওয়ার্ড বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৮৫.১৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৪৭.৭১%, পুকুর ১.৯৩%, ট্যাপ ৪৭.১৩% এবং অন্যান্য ৩.২৩%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ থানার ৭৭.০৮% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ১৯.৫০% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৩.৪২% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
এনজিও ব্রাক, আশা, প্রশিকা। [গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যাণ ব্যুরো।